ETV Bharat / state

তৃণমূলের দখলে ভাটপাড়া পৌরসভা - ভাটপাড়া পুরসভা কার

ভাটপাড়া পৌরসভা কার দখলে থাকবে, তা ঠিক হবে আজ ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে আজ সেখানে আস্থাভোট হবে ।

bhatpara
ভাটপাড়া
author img

By

Published : Jan 7, 2020, 12:41 PM IST

Updated : Jan 7, 2020, 4:03 PM IST

ভাটপাড়া, 7 জানুয়ারি : ফের ভাটপাড়া পৌরসভা দখল করল তৃণমূল ৷ ২ জানুয়ারি 19-0-তে আস্থাভোটে জিতে ভাটপাড়া পৌরসভা পুনর্দখল করে তৃণমূল ৷ কিন্তু, বিকেলেই বদলে গেছিল ছবিটা ৷ অনাস্থা আনতে চেয়ে তিন তৃণমূল কাউন্সিলর যে চিঠি দিয়েছিল তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট ৷ এরপর ডিভিশন বেঞ্চে যায় তৃণমূল ৷ ডিভিশন বেঞ্চ জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোটের নির্দেশ দেয় ৷ সেই অনুযায়ী আজ সেখানে আস্থাভোট হয় ৷ পৌরসভা চত্বরে জারি ছিল 144 ধারা ।

উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে আজ আস্থাভোট হয় ৷ 2 জানুয়ারি আস্থাভোটের সময় তৃণমূলের 19 জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন । BJP-র কোনও কাউন্সিলরই ছিলেন না । ফলে 19-0 ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল । BJP-র তরফে ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয় । তাদের দাবি ছিল, বেআইনিভাবে আস্থাভোট করিয়েছে তৃণমূল । সেদিনই অনাস্থা আনতে চেয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের চিঠি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট । এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ডিভিশন বেঞ্চ জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ভাটপাড়া পৌরসভায় আস্থাভোটের নির্দেশ দেয়। ভোটের পর হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দেবেন জেলাশাসক ।

আস্থাভোটের আগে ভাটপাড়া শহরের প্রতিটি রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন হয়েছে । ভাটপাড়া পৌরসভা চত্বরে জারি করা হয়েছে 144 ধারা । লোকসভা ভোটের পর বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও ভাটপাড়া পৌরসভার দখল নেয় BJP । চার মাসের মধ্যে পাঁচ পৌরসভা পুনর্দখল করে তৃণমূল। আর ভাটপাড়া পৌরসভা পুনর্দখল করে সেই বৃত্তই সম্পূর্ণ করতে চাইছে তারা ৷

গত বছর 6 ডিসেম্বর ভাটপাড়া পৌরসভার 18 জন তৃণমূল কাউন্সিলর পৌরপ্রধান সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন । সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেখানে আস্থাভোট হয়নি । তাই, 2 জানুয়ারি আস্থাভোটের দাবি জানিয়ে তিন কাউন্সিলর পৌরসভার আধিকারিক অতনু ঘোষকে চিঠি দেন ।

35 আসন বিশিষ্ট ভাটপাড়া পৌরসভায় 2015 সালের নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল 34টি আসন । একটি আসনে জয়ী হয়েছিল CPI(M) । পরে একজন কাউন্সিলরের মৃত্যু হওয়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় 33 । লোকসভা ভোটে ভাটপাড়া কেন্দ্রে জয়ী হন BJP প্রার্থী অর্জুন সিং । এরপর 18 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দেন । সম্প্রতি কয়েকজন তৃণমূল ফিরে আসেন ।

ভাটপাড়া, 7 জানুয়ারি : ফের ভাটপাড়া পৌরসভা দখল করল তৃণমূল ৷ ২ জানুয়ারি 19-0-তে আস্থাভোটে জিতে ভাটপাড়া পৌরসভা পুনর্দখল করে তৃণমূল ৷ কিন্তু, বিকেলেই বদলে গেছিল ছবিটা ৷ অনাস্থা আনতে চেয়ে তিন তৃণমূল কাউন্সিলর যে চিঠি দিয়েছিল তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট ৷ এরপর ডিভিশন বেঞ্চে যায় তৃণমূল ৷ ডিভিশন বেঞ্চ জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোটের নির্দেশ দেয় ৷ সেই অনুযায়ী আজ সেখানে আস্থাভোট হয় ৷ পৌরসভা চত্বরে জারি ছিল 144 ধারা ।

উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে আজ আস্থাভোট হয় ৷ 2 জানুয়ারি আস্থাভোটের সময় তৃণমূলের 19 জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন । BJP-র কোনও কাউন্সিলরই ছিলেন না । ফলে 19-0 ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল । BJP-র তরফে ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয় । তাদের দাবি ছিল, বেআইনিভাবে আস্থাভোট করিয়েছে তৃণমূল । সেদিনই অনাস্থা আনতে চেয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের চিঠি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট । এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ডিভিশন বেঞ্চ জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ভাটপাড়া পৌরসভায় আস্থাভোটের নির্দেশ দেয়। ভোটের পর হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দেবেন জেলাশাসক ।

আস্থাভোটের আগে ভাটপাড়া শহরের প্রতিটি রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন হয়েছে । ভাটপাড়া পৌরসভা চত্বরে জারি করা হয়েছে 144 ধারা । লোকসভা ভোটের পর বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও ভাটপাড়া পৌরসভার দখল নেয় BJP । চার মাসের মধ্যে পাঁচ পৌরসভা পুনর্দখল করে তৃণমূল। আর ভাটপাড়া পৌরসভা পুনর্দখল করে সেই বৃত্তই সম্পূর্ণ করতে চাইছে তারা ৷

গত বছর 6 ডিসেম্বর ভাটপাড়া পৌরসভার 18 জন তৃণমূল কাউন্সিলর পৌরপ্রধান সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন । সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেখানে আস্থাভোট হয়নি । তাই, 2 জানুয়ারি আস্থাভোটের দাবি জানিয়ে তিন কাউন্সিলর পৌরসভার আধিকারিক অতনু ঘোষকে চিঠি দেন ।

35 আসন বিশিষ্ট ভাটপাড়া পৌরসভায় 2015 সালের নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল 34টি আসন । একটি আসনে জয়ী হয়েছিল CPI(M) । পরে একজন কাউন্সিলরের মৃত্যু হওয়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় 33 । লোকসভা ভোটে ভাটপাড়া কেন্দ্রে জয়ী হন BJP প্রার্থী অর্জুন সিং । এরপর 18 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দেন । সম্প্রতি কয়েকজন তৃণমূল ফিরে আসেন ।

Intro:ভাটপাড়া পুরসভাঃ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ আজ 'ফ্লোর টেস্ট'

ভাটপাড়াঃ ভাটপাড়া পুরসভার ব্যাটন কাদের হাতে থাকবে সে ব্যাপারে হাইকোর্টের লির্দেশে আজ ফ্লোর টেস্ট। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে করতে হবে এই 'আস্থাভোট (ফ্লোর টেস্ট)'। তিনি সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবেন। তারপর হাইকোর্ট পুরসভার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত রায় দেবে।

গত বৃহস্পতিবার এক তরফা আস্থাভোট করে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষে ১৯ জন কাউন্সিলর সেদিন হাজির ছিলেন। বিজেপির কোনও কাউন্সিলরই হাজির হননি। ফলে ১৯-০ ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিজেপির পক্ষ থেকে ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। বিজেপির দাবি ছিল, বেআইনিভাবে আস্থাভোট করিয়েছে তৃণমূল। সেদিন হাইকোর্ট ওই আস্থাভোট খারিজ করে দিয়েছিল। নাছোড় তৃণমূল হাইকোর্টের ডিভিয়ন বেঞ্চে পালটা অভিযোগ করেন। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ভাটপাড়া পুরসভায় ফ্লোর টেস্ট করতে হবে। সেই ফ্লোর টেস্টের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। ফ্লোর টেস্টের রিপোর্ট দেখে হাইকোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পুরসভার ফ্লোর টেস্ট ঘরে চরম উত্তেজনা রয়েছে। ভাটপাড়া শহরের সব রাস্তার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এই আস্থাভোট করা হবে। ভাটপাড়া পুরসভা চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।


লোকসভা ভোটের পরে বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও ভাটপাড়া পুরসভার দখল নেয়। চার মাসের মধ্যে শাসক দল পাঁচ পুরসভা পুনর্দখল করে। অবশেষে ভাটপাড়া পুরসভা দখল করে তৃণমূল জেলায় রাজনৈতিক এক আধিপত্যের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে চাইছে।

গত ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভায় ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর পুরপ্রধান সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আস্থাভোট হয়নি। তাই, ২ জানুয়ারি আস্থাভোটের দাবি জানিয়ে তিন কাউন্সিলর পুরসভার অর্থ দপ্তরের আধিকারিক অতনু ঘোষের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন।।

৩৫ আসন বিশিষ্ট ভাটপাড়া পুরসভায় ২০১৫ সালের নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন। একটি আসনে জয়লাভ করেছিল সিপিএম। পরে একজন কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩৩। লোকসভায় অর্জুন সিং বিজেপি প্রার্থী হয়ে জিতে যাওয়ার পর কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তৃণমূলের আসনসংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩২। অর্জুন সিং লোকসভায় জয়লাভের পর ১৮ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করা ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে কয়েক জন তৃণমূল ফিরে আসেন। তাতে তৃণমূলের ক্ষমতার পাল্লা ভারী হয়। গত ০২ জানুয়ারি একতরফা আস্থাভোটে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। বিজেপির পক্ষে কেউই সেদিন আস্থাভোটে যোগ দেননি। হাইকোর্টে সেদিনের ওই আস্থাভোট খারিজ করে দেয়। তারপর তৃণমূল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিততে ফ্লোর টেস্ট করতে হবে। জেলাশাসকই সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেবেন। Body:ভাটপাড়া পুরসভাঃ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ আজ 'ফ্লোর টেস্ট'

ভাটপাড়াঃ ভাটপাড়া পুরসভার ব্যাটন কাদের হাতে থাকবে সে ব্যাপারে হাইকোর্টের লির্দেশে আজ ফ্লোর টেস্ট। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে করতে হবে এই 'আস্থাভোট (ফ্লোর টেস্ট)'। তিনি সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবেন। তারপর হাইকোর্ট পুরসভার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত রায় দেবে।

গত বৃহস্পতিবার এক তরফা আস্থাভোট করে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষে ১৯ জন কাউন্সিলর সেদিন হাজির ছিলেন। বিজেপির কোনও কাউন্সিলরই হাজির হননি। ফলে ১৯-০ ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিজেপির পক্ষ থেকে ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। বিজেপির দাবি ছিল, বেআইনিভাবে আস্থাভোট করিয়েছে তৃণমূল। সেদিন হাইকোর্ট ওই আস্থাভোট খারিজ করে দিয়েছিল। নাছোড় তৃণমূল হাইকোর্টের ডিভিয়ন বেঞ্চে পালটা অভিযোগ করেন। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ভাটপাড়া পুরসভায় ফ্লোর টেস্ট করতে হবে। সেই ফ্লোর টেস্টের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। ফ্লোর টেস্টের রিপোর্ট দেখে হাইকোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পুরসভার ফ্লোর টেস্ট ঘরে চরম উত্তেজনা রয়েছে। ভাটপাড়া শহরের সব রাস্তার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এই আস্থাভোট করা হবে। ভাটপাড়া পুরসভা চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।


লোকসভা ভোটের পরে বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও ভাটপাড়া পুরসভার দখল নেয়। চার মাসের মধ্যে শাসক দল পাঁচ পুরসভা পুনর্দখল করে। অবশেষে ভাটপাড়া পুরসভা দখল করে তৃণমূল জেলায় রাজনৈতিক এক আধিপত্যের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে চাইছে।

গত ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভায় ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর পুরপ্রধান সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আস্থাভোট হয়নি। তাই, ২ জানুয়ারি আস্থাভোটের দাবি জানিয়ে তিন কাউন্সিলর পুরসভার অর্থ দপ্তরের আধিকারিক অতনু ঘোষের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন।।

৩৫ আসন বিশিষ্ট ভাটপাড়া পুরসভায় ২০১৫ সালের নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন। একটি আসনে জয়লাভ করেছিল সিপিএম। পরে একজন কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩৩। লোকসভায় অর্জুন সিং বিজেপি প্রার্থী হয়ে জিতে যাওয়ার পর কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তৃণমূলের আসনসংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩২। অর্জুন সিং লোকসভায় জয়লাভের পর ১৮ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করা ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে কয়েক জন তৃণমূল ফিরে আসেন। তাতে তৃণমূলের ক্ষমতার পাল্লা ভারী হয়। গত ০২ জানুয়ারি একতরফা আস্থাভোটে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। বিজেপির পক্ষে কেউই সেদিন আস্থাভোটে যোগ দেননি। হাইকোর্টে সেদিনের ওই আস্থাভোট খারিজ করে দেয়। তারপর তৃণমূল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিততে ফ্লোর টেস্ট করতে হবে। জেলাশাসকই সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেবেন। Conclusion:ভাটপাড়া পুরসভাঃ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ আজ 'ফ্লোর টেস্ট'

ভাটপাড়াঃ ভাটপাড়া পুরসভার ব্যাটন কাদের হাতে থাকবে সে ব্যাপারে হাইকোর্টের লির্দেশে আজ ফ্লোর টেস্ট। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে করতে হবে এই 'আস্থাভোট (ফ্লোর টেস্ট)'। তিনি সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবেন। তারপর হাইকোর্ট পুরসভার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত রায় দেবে।

গত বৃহস্পতিবার এক তরফা আস্থাভোট করে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষে ১৯ জন কাউন্সিলর সেদিন হাজির ছিলেন। বিজেপির কোনও কাউন্সিলরই হাজির হননি। ফলে ১৯-০ ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিজেপির পক্ষ থেকে ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। বিজেপির দাবি ছিল, বেআইনিভাবে আস্থাভোট করিয়েছে তৃণমূল। সেদিন হাইকোর্ট ওই আস্থাভোট খারিজ করে দিয়েছিল। নাছোড় তৃণমূল হাইকোর্টের ডিভিয়ন বেঞ্চে পালটা অভিযোগ করেন। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ভাটপাড়া পুরসভায় ফ্লোর টেস্ট করতে হবে। সেই ফ্লোর টেস্টের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। ফ্লোর টেস্টের রিপোর্ট দেখে হাইকোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পুরসভার ফ্লোর টেস্ট ঘরে চরম উত্তেজনা রয়েছে। ভাটপাড়া শহরের সব রাস্তার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এই আস্থাভোট করা হবে। ভাটপাড়া পুরসভা চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।


লোকসভা ভোটের পরে বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও ভাটপাড়া পুরসভার দখল নেয়। চার মাসের মধ্যে শাসক দল পাঁচ পুরসভা পুনর্দখল করে। অবশেষে ভাটপাড়া পুরসভা দখল করে তৃণমূল জেলায় রাজনৈতিক এক আধিপত্যের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে চাইছে।

গত ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভায় ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর পুরপ্রধান সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আস্থাভোট হয়নি। তাই, ২ জানুয়ারি আস্থাভোটের দাবি জানিয়ে তিন কাউন্সিলর পুরসভার অর্থ দপ্তরের আধিকারিক অতনু ঘোষের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন।।

৩৫ আসন বিশিষ্ট ভাটপাড়া পুরসভায় ২০১৫ সালের নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন। একটি আসনে জয়লাভ করেছিল সিপিএম। পরে একজন কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩৩। লোকসভায় অর্জুন সিং বিজেপি প্রার্থী হয়ে জিতে যাওয়ার পর কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তৃণমূলের আসনসংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩২। অর্জুন সিং লোকসভায় জয়লাভের পর ১৮ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করা ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে কয়েক জন তৃণমূল ফিরে আসেন। তাতে তৃণমূলের ক্ষমতার পাল্লা ভারী হয়। গত ০২ জানুয়ারি একতরফা আস্থাভোটে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। বিজেপির পক্ষে কেউই সেদিন আস্থাভোটে যোগ দেননি। হাইকোর্টে সেদিনের ওই আস্থাভোট খারিজ করে দেয়। তারপর তৃণমূল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলাশাসকের উপস্থিততে ফ্লোর টেস্ট করতে হবে। জেলাশাসকই সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেবেন।
Last Updated : Jan 7, 2020, 4:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.