ETV Bharat / state

বারাসত মেডিকেল কলেজ কার টাকায়? ভিন্নমত সুপার, বিধায়কের

বারাসত মেডিকেল কলেজ প্রকল্প কার টাকায় তৈরি হচ্কেছে তা নিয়ে ভিন্নমত সুপার ও স্থানীয় বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর। বারাসত মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শিলা উন্মোচন করেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী
author img

By

Published : Feb 23, 2019, 2:18 AM IST

বারাসত, ২৩ ফেব্রুয়ারি : বারাসত মেডিকেল কলেজ প্রকল্প কেন্দ্র না রাজ্য কার টাকায় হচ্ছে তা নিয়ে হাসপাতাল সুপার ও স্থানীয় বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর ভিন্নমত। গতকাল বারাসত মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলা উন্মোচন করেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। লোকসভা ভোটের মুখে তড়িঘড়ি এই শিলান্যাস ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়েছে। বিধায়কের বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ের টাকাতেই প্রকল্প হচ্ছে। অন্যদিকে হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য, প্রকল্পের পুরো টাকাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার।


গতবছর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাধারণ বাজেটে প্রতি তিনটি লোকসভা পিছু একটি করে মেডিকেল কলেজ গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। জেলা সদরকে সম্ভাব্য সেই মেডিকেল কলেজ নির্মাণে প্রাধান্য দেওয়া হবে। দমদম, বারাসত ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সেই দিক থেকে বারাসতেই মেডিকেল কলেজ তৈরির জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময়। তাই বাড়তে থাকে আশা। ইতিমধ্যে আবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বারাসত মেডিকেল কলেজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলার সর্বত্র পোস্টার লাগান। ফলে বারাসত মেডিকেল কলেজের কৃতিত্ব কার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত জেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ গত কয়েক বছরে বেড়েছে। বনগাঁ, গাইঘাটা, হাবরা, দেগঙ্গা, আমডাঙা, বাদুড়িয়া ও মধ্যমগ্রামসহ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। নদিয়া থেকেও বহু রোগী এখানে আসেন। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে হাসপাতালে সাড়ে ১৬ লাখ রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন। তাই, স্বাভাবিকভাবে এই হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে উন্নীত করার দাবি উঠছিল। অবশেষে গতকাল হুগলির তারকেশ্বরের একটি অনুষ্ঠান থেকে তমলুক ও ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বারাসত মেডিকেল কলেজেরও শিলান্যাস করেন।

undefined

শিলাফলক উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, "রোগীর বিরাট চাপ। আমি প্রথমবার হাসপাতালের ক্যাম্পাস দেখে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে বড় হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ করার কথা বলেছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হল। আমি খুব খুশি।" এরপরই আরেকটি প্রশ্নে বিধায়ক বলেন, "এই মেডিকেল কলেজ নির্মাণে বেশিরভাগ ফান্ড রাজ্য করলেও কেন্দ্রেরও অংশ রয়েছে। স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ভালো বলতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার কিছু ফান্ড দিলেও উদ্যোগ আমাদের। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলান্যাস করছেন। ফান্ডের বেশিরভাগ রাজ্যের।"

এদিকে হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠছে। বারাসত মেডিকেল কলেজ পুরোটাই রাজ্যের প্রকল্প। রাজ্যের টাকাতেই হচ্ছে।"

বারাসত, ২৩ ফেব্রুয়ারি : বারাসত মেডিকেল কলেজ প্রকল্প কেন্দ্র না রাজ্য কার টাকায় হচ্ছে তা নিয়ে হাসপাতাল সুপার ও স্থানীয় বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর ভিন্নমত। গতকাল বারাসত মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলা উন্মোচন করেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। লোকসভা ভোটের মুখে তড়িঘড়ি এই শিলান্যাস ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়েছে। বিধায়কের বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ের টাকাতেই প্রকল্প হচ্ছে। অন্যদিকে হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য, প্রকল্পের পুরো টাকাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার।


গতবছর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাধারণ বাজেটে প্রতি তিনটি লোকসভা পিছু একটি করে মেডিকেল কলেজ গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। জেলা সদরকে সম্ভাব্য সেই মেডিকেল কলেজ নির্মাণে প্রাধান্য দেওয়া হবে। দমদম, বারাসত ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সেই দিক থেকে বারাসতেই মেডিকেল কলেজ তৈরির জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময়। তাই বাড়তে থাকে আশা। ইতিমধ্যে আবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বারাসত মেডিকেল কলেজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলার সর্বত্র পোস্টার লাগান। ফলে বারাসত মেডিকেল কলেজের কৃতিত্ব কার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত জেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ গত কয়েক বছরে বেড়েছে। বনগাঁ, গাইঘাটা, হাবরা, দেগঙ্গা, আমডাঙা, বাদুড়িয়া ও মধ্যমগ্রামসহ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। নদিয়া থেকেও বহু রোগী এখানে আসেন। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে হাসপাতালে সাড়ে ১৬ লাখ রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন। তাই, স্বাভাবিকভাবে এই হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে উন্নীত করার দাবি উঠছিল। অবশেষে গতকাল হুগলির তারকেশ্বরের একটি অনুষ্ঠান থেকে তমলুক ও ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বারাসত মেডিকেল কলেজেরও শিলান্যাস করেন।

undefined

শিলাফলক উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, "রোগীর বিরাট চাপ। আমি প্রথমবার হাসপাতালের ক্যাম্পাস দেখে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে বড় হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ করার কথা বলেছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হল। আমি খুব খুশি।" এরপরই আরেকটি প্রশ্নে বিধায়ক বলেন, "এই মেডিকেল কলেজ নির্মাণে বেশিরভাগ ফান্ড রাজ্য করলেও কেন্দ্রেরও অংশ রয়েছে। স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ভালো বলতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার কিছু ফান্ড দিলেও উদ্যোগ আমাদের। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলান্যাস করছেন। ফান্ডের বেশিরভাগ রাজ্যের।"

এদিকে হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠছে। বারাসত মেডিকেল কলেজ পুরোটাই রাজ্যের প্রকল্প। রাজ্যের টাকাতেই হচ্ছে।"

মেডিক্যাল কলেজ প্রকল্প নিয়ে বিধায়ক-সুপার মতবিরোধ বারাসতঃ লোকসভা ভোটের মুখে আজ তড়িঘড়ি শিলান্যাস হয়ে গেল বারাসত মেডিকেল কলেজের। আর এই প্রকল্প কেন্দ্র না রাজ্য কারা করছে, তা নিয়ে হাসপাতাল সুপার ও বিধায়কের ভিন্নমত। শিলান্যাসের দিনই মেডিকেল কলেজ প্রকল্প নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়ে গেলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দারা। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত জেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ গত কয়েক বছরে হুহু করে বেড়েছে। বনগাঁ, গাইঘাটা, হাবড়া, দেগঙ্গা, আমডাঙা, বাদুড়িয়া ও মধ্যমগ্রাম-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। নদিয়া থেকেও বহু রোগী এখানে আসেন। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে হাসাপাতালে সাড়ে ১৬ লক্ষ রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন। তাই, স্বাভাবিকভাবে এই হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে উন্নীত করার দাবি উঠছিল। অবশেষে আজ শিলান্যাস হয়ে গেল সেই বারাসত মেডিকেল কলেজের। হুগলির তারকেশ্বর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলান্যাস করেছেন। বারাসত জেলা হাসপাতালে সেই শিলা উন্মোচন করেন স্থানীয় বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। লোকসভা ভোটের মুখে তড়িঘড়ি বারাসত মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়েছে। গতবছর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাধারণ বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন, প্রতি তিনটি লোকসভা পিছু একটি করে মেডিকেল কলেজ গড়া হবে। জেলা সদরকে সম্ভাব্য সেই মেডিকেল কলেজ নির্মাণে প্রাধান্য দেওয়া হবে। দমদম, বারাসত ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্য সেই দিক থেকে বারাসতই মেডিকেল কলেজের সবচেয়ে সম্ভাবনাময়। তাই, বাড়তে থাকে আশা। ইতিমধ্যে আবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বারাসত মেডিকেল কলেজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলার সর্বত্র পোস্টার ঝোলান। ফলে বারাসত মেডিকেল কলেজের কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে অদৃশ্য দড়ি টানাটানি চলতেই থাকে। তারই মধ্যে আজ তারকেশ্বর থেকে মুখ্যমন্ত্রী অন্য দুই মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বারাসত মেডিকেল কলেজেরও শিলান্যাস করেছেন। বারাসতে সেই শিলাফলক উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক চিরঞ্জিৎ বলেন, 'রোগীর বিরাট চাপ। আমি প্রথমবার হাসপাতালের ক্যাম্পাস দেখে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে বড় হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ করার কথা বলেছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হল।' তারপরই বিধায়ক বলেন, 'এই মেডিকেল কলেজ নির্মাণে বেশিরভাগ ফান্ড রাজ্য করলেও কেন্দ্রের অংশ থাকবে।' আবার হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল বলছেন, 'রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠছে। বারাসত মেডিকেল কলেজ পুরোটাই রাজ্যের প্রকল্প।' ফলে বিধায়ক ও সুপারের ভিন্ন মতে ধোঁয়াশা রয়েই গেল, মেডিকেল কলেজ প্রকল্প কার-কেন্দ্রের না রাজ্যের? আপাতত দুয়ারে কড়ানাড়া লোকসভা ভোটের মুখে সেই বিতর্ক জারি থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.