নিউ ব্যারাকপুর, 29 মে : গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত চার শ্রমিকের পরিবারকে দু-লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিল রাজ্য সরকার ৷ শনিবার ঘোলার মুড়াগাছায় বিডিও অফিসে মৃত ওই চার শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে দু-লাখ টাকার চেক তুলে দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ৷ হাজির ছিলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, ব্যারাপুর- 2 পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি সুপ্রিয়া ঘোষ, বিলকান্দা-1 পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল-সহ প্রশাসনের অন্য় আধিকারিকরা ৷ বিপদের সময়ে সরকার আর্থিক সাহায্য দিয়ে পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা হলেও ভরসা পাচ্ছেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা ৷ সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসাও করেছেন তাঁরা।
নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দার গেঞ্জি কারখানা ও ওষুধের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন কারখানার চার শ্রমিক তন্ময় ঘোষ, অমিত সেন, সুব্রত ঘোষ এবং স্বরূপ ঘোষ ৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার প্রায় তিনদিনের মাথায় সকালে ড্রোন ক্য়ামেরার হদিস মেলে কারখানার নিখোঁজ ওই চার শ্রমিকের ৷ তবে, জীবিত অবস্থায় নয় ! তাঁদের দেহ উদ্ধার হয় ঝলসানো এবং দগ্ধ অবস্থায় ৷ কারখানার দোতলার সিঁড়ির মাঝখানে পড়েছিল ওই চার শ্রমিকের পোড়া দেহ ৷ কারখানার ভিতরে মৃতের পরিবারের লোকজনকে নিয়ে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে পুলিশ প্রশাসন ৷ পরে, প্লাস্টিকে মুড়ে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য সাগরদত্ত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীরা ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের সদস্যদের হাতে ৷ এমনকী, দেহ শববাহী গাড়িতে করে মৃতদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হবে পুলিশের তরফে ৷ তারই মধ্যে শনিবার বিকেলে মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে দু’লাখ টাকার চেক তুলে দিল রাজ্য সরকার ৷
আরও পড়ুন : 30 ঘণ্টা পরও গেঞ্জি কারখানায় জ্বলছে আগুন, খোঁজ নেই 4 শ্রমিকের
এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ডে মৃত ওই চার শ্রমিকের পরিবারের হাতে এদিন দু’লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হল ৷ দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যেভাবে রাজ্য সরকার এই অসহায় পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিল, তা অকল্পনীয় ৷ মৃত শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটির টাকাও যাতে পাওয়া যায়, তার চেষ্টা করা হবে ৷’’