শাসন , 7 মার্চ : ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে । ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসন পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের । অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বেই বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয় বিজয় সরদার নামে ওই বিজেপি কর্মীর উপর । হামলায় গুরুতর জখম হন তিনি । মাথা ফেটে যায় তাঁর । রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওরকমে বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন তিনি ৷ সেখানেও তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হুমকি এবং গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে । ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শাসন থানার পুলিশ ৷
আজ সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা গাড়ি করে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা হন । সেই মত শাসনের দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও গাড়ি করে ব্রিগেডে যাওয়ার তোড়জোড় করছিলেন । শাসনের সরদার হাটি থেকে মোদির ব্রিগেড সভায় যোগ দিতে একত্রিত হচ্ছিলেন সেখানকার নেতা-কর্মীরা । সেই দলে ছিলেন বিজেপি কর্মী বিজয় সরদারও ।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ,বিজয় যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে সরদার হাটি মোড়ে আসছিলেন তখনই একা পেয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ও তাঁর দলবল । বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে । যার জেরে মাথা ফেটে যায় ওই বিজেপি কর্মীর । সেখান থেকে পালিয়ে কোনওরকমে বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি ৷ কিন্তু যাতে হাসপাতালে না যেতে পারেন সেজন্য বাড়িতেই আটকে রাখা হয় তাঁকে ৷
আরও পড়ুন : ব্রিগেডে ফিল্মি আন্দাজে মহাগুরু
পরে,বিজেপি কর্মীরা আক্রান্তকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে । এবিষয়ে বিজয় সরদার বলেন,"শাসন পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সুভাষ মন্ডল ও তাঁর দলবল হামলা চালায় আমার উপর । পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় । পুলিশ বাড়িতে এসে সহযোগিতা করার বদলে হামলাকারীদেরই সহযোগিতা করে । মাথা ফেটে গেলেও আমি মোদির সভায় যেতে চাই"।
অন্যদিকে , শাসন পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সুভাষ মণ্ডল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "শাসনে বিরোধী দল বলে কিছু আছে,তা আমার জানা নেই । তাই কারা হামলা চালিয়েছে বলতে পারব না । ঘটনা ঘটার পর আমি গিয়েছিলাম ঠিকই । কিন্তু হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই । দলকে বদনাম করতেই এই ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে ।"