ETV Bharat / state

এসো কিছু করি, বৃষ্টির জল ধরি : দিশা দেখাচ্ছে অশোকনগরের স্কুল

আগামীদিনে দেশে জলের অভাব দেখা দিতে পারে । ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে জলের জন্য হাহাকার চলছে । আর তাই বৃষ্টির জল জল সংরক্ষণ করতে পথ দেখাচ্ছে অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন স্কুল ।

author img

By

Published : Jul 9, 2019, 8:02 AM IST

Updated : Jul 9, 2019, 9:52 AM IST

স্কুলে জল দিচ্ছে এক পড়ুয়া

অশোকনগর, 9 জুলাই : দেশে ভূগর্ভস্থ জলের ভান্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে । দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যে জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে । এই বিপদ মোকাবিলায় দিশা দেখাচ্ছে উত্তর 24 পরগনার অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন স্কুল । বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা হচ্ছে স্কুলের নানা কাজে । পড়ুয়ারাও এই প্রযুক্তি বাড়িতে ব্যবহার করে জল সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে ।

নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে ভূগর্ভস্থ জলের ভান্ডার ফুরিয়ে যাবে । এর জেরে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, দিল্লি সহ একাধিক শহরে তীব্র জল সংকট দেখা দেবে । সংকটের থেকে নিস্তারের অন্যতম উপায় হল ওয়াটার হার্ভেস্টিং । ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের মাধ্যমে একদিকে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর যেমন বাড়ানো সম্ভব, তেমনি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহারও করা যায় । দ্বিতীয় কাজটাই করছে অশোকনগরের স্কুলটি । স্কুলের ছাদে পড়া বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা হচ্ছে নানা কাজে । প্রায় দেড় হাজার বর্গফুট ছাদের জল রিজার্ভারে ধরে রেখে তা দিয়ে স্কুলের ফুলবাগানে জল দেওয়া থেকে মিড ডে মিলের বাসন ধোয়া -- সবই করা হচ্ছে । স্কুলে তিনটি আর্সেনিকমুক্ত জলের কল রয়েছে । শুধু সেই কলের জল পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য়

কীভাবে কার্যকর হচ্ছে এই কর্মসূচি?

স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শ্রীপর্ণা দাস ও অনন্যা দে বলে, "আমরা নিয়মিত স্কুলের ছাদ পরিষ্কার করি । কারণ ছাদে পড়া বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে সেই জল আমরা ফুলবাগানে দিই । বাড়িতেও এইভাবে জল সংরক্ষণ করি।"
স্কুলের এক ছাত্রীর অভিভাবক সুদীপ্তা চৌধুরি বলেন, "বৃষ্টির জল ধরে রেখে সেই জল যে আবার ব্যবহার করা যায়, তা আমরা স্কুল থেকেই শিখেছি । অন্য স্কুলও যদি বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য এমন উদ্যোগ নেয়, তাহলে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার অনেকটা কমানো যাবে ।"

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ ঘোষ বলেন, "ভূগর্ভস্থ জলের আয়ু আর বেশি নেই । তাই, আমরা দু'বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করছি । তাতে সাফল্যও পেয়েছি। আমাদের স্কুলে ফুলবাগান পরিচর্যা থেকে মিড ডে মিলের বাসন ধোয়া - সবই হয় সংরক্ষিত জলে।"

পানীয় জল হিসেবে কি এই জল ব্যবহার করা যাবে ? প্রধান শিক্ষকের উত্তর, "অবশ্যই যাবে। তবে সেই প্রযুক্তি ব্যয় সাপেক্ষ । অনুদানের জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছি । এখনও সাড়া পাইনি ।" মনোজবাবুর বার্তা, "আমরা সব স্কুল বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যদি বৃষ্টির জল সংরক্ষণের উদ্যোগ নিই, তবে জলসংকটের বিপদ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাব।"

অশোকনগর, 9 জুলাই : দেশে ভূগর্ভস্থ জলের ভান্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে । দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যে জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে । এই বিপদ মোকাবিলায় দিশা দেখাচ্ছে উত্তর 24 পরগনার অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন স্কুল । বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা হচ্ছে স্কুলের নানা কাজে । পড়ুয়ারাও এই প্রযুক্তি বাড়িতে ব্যবহার করে জল সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে ।

নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে ভূগর্ভস্থ জলের ভান্ডার ফুরিয়ে যাবে । এর জেরে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, দিল্লি সহ একাধিক শহরে তীব্র জল সংকট দেখা দেবে । সংকটের থেকে নিস্তারের অন্যতম উপায় হল ওয়াটার হার্ভেস্টিং । ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের মাধ্যমে একদিকে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর যেমন বাড়ানো সম্ভব, তেমনি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহারও করা যায় । দ্বিতীয় কাজটাই করছে অশোকনগরের স্কুলটি । স্কুলের ছাদে পড়া বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা হচ্ছে নানা কাজে । প্রায় দেড় হাজার বর্গফুট ছাদের জল রিজার্ভারে ধরে রেখে তা দিয়ে স্কুলের ফুলবাগানে জল দেওয়া থেকে মিড ডে মিলের বাসন ধোয়া -- সবই করা হচ্ছে । স্কুলে তিনটি আর্সেনিকমুক্ত জলের কল রয়েছে । শুধু সেই কলের জল পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য়

কীভাবে কার্যকর হচ্ছে এই কর্মসূচি?

স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শ্রীপর্ণা দাস ও অনন্যা দে বলে, "আমরা নিয়মিত স্কুলের ছাদ পরিষ্কার করি । কারণ ছাদে পড়া বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে সেই জল আমরা ফুলবাগানে দিই । বাড়িতেও এইভাবে জল সংরক্ষণ করি।"
স্কুলের এক ছাত্রীর অভিভাবক সুদীপ্তা চৌধুরি বলেন, "বৃষ্টির জল ধরে রেখে সেই জল যে আবার ব্যবহার করা যায়, তা আমরা স্কুল থেকেই শিখেছি । অন্য স্কুলও যদি বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য এমন উদ্যোগ নেয়, তাহলে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার অনেকটা কমানো যাবে ।"

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ ঘোষ বলেন, "ভূগর্ভস্থ জলের আয়ু আর বেশি নেই । তাই, আমরা দু'বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করছি । তাতে সাফল্যও পেয়েছি। আমাদের স্কুলে ফুলবাগান পরিচর্যা থেকে মিড ডে মিলের বাসন ধোয়া - সবই হয় সংরক্ষিত জলে।"

পানীয় জল হিসেবে কি এই জল ব্যবহার করা যাবে ? প্রধান শিক্ষকের উত্তর, "অবশ্যই যাবে। তবে সেই প্রযুক্তি ব্যয় সাপেক্ষ । অনুদানের জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছি । এখনও সাড়া পাইনি ।" মনোজবাবুর বার্তা, "আমরা সব স্কুল বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যদি বৃষ্টির জল সংরক্ষণের উদ্যোগ নিই, তবে জলসংকটের বিপদ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাব।"

Last Updated : Jul 9, 2019, 9:52 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.