ETV Bharat / state

দেগঙ্গায় অপহরণ মামলায় 2 পুলিশ আধিকারিককে ভর্ৎসনা আদালতের

author img

By

Published : Sep 20, 2020, 2:58 PM IST

শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন সাবেরা পারভিন ৷ চলতি বছরের 18 জুলাই দুই সন্তানকে নিয়ে বেড়াচাঁপা বাজারে ডাক্তার দেখাতে আসেন সাবেরা । অভিযোগ , তখনই দলবল নিয়ে একটি গাড়িতে করে বিবি ও দুই শিশু সন্তানকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সাইফুল । এরপর সাবেরাকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে দুই শিশু সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে ৷

দেগঙ্গায় শিশুকে অপহরণের অভিযোগ

বারাসত , 20 সেপ্টেম্বর : অপহরণ মামলায় আদালতের নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ উঠল দেগঙ্গা থানার দুই তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে । নির্দেশের পরও অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করে আদালতে পেশ না করার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে বিচারকের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় । মাস দু’য়েক আগে বিবিকে খুনের চেষ্টা ও দুই সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল আবগারি দপ্তরের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় দেগঙ্গা থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয় । তারপরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ । এরপরই সুবিচার চেয়ে বারাসত আদালতের দ্বারস্থ হন বিবি সাবেরা পারভিন । সেই থেকেই বারাসত আদালতের ACJM-এর এজলাসে মামলাটি চলছে ।


2012 সালের 30 এপ্রিল মাটিয়া থানার রাজাপুরের সাবেরার সঙ্গে বিয়ে হয় দেগঙ্গার বাসুদেবপুরের বাসিন্দা আবগারি দপ্তরের আধিকারিক সাইফুল ইসলামের । 2013 সালে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সাবেরা ।2016 সালে ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । তারপর থেকে ছেলেকে নিয়ে তিনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন ৷ সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন । চলতি বছরের 18 জুলাই দুই সন্তান সাকিবুল ইসলাম (7) ও সাহিবাব পারভিন (4)-কে নিয়ে বেড়াচাঁপা বাজারে ডাক্তার দেখাতে আসেন সাবেরা । অভিযোগ , তখনই দলবল নিয়ে একটি গাড়িতে করে বিবি ও দুই শিশু সন্তানকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সাইফুল । গাড়ির মধ্যে বিবিকে খুনের চেষ্টা ও তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে দুই শিশু সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে শওহর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে । এই অভিযোগে দেগঙ্গা থানার দ্বারস্থও হয় সাবেরার পরিবার । কিন্তু অভিযোগ , কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ । এরপরই সন্তানদের ফিরে পেতে বারাসত আদালতের শরণাপন্ন হন সাবেরা পারভিন । এরপর আদালত দ্রুত অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করে আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেন । কিন্তু বারবার আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে মামলার দুই তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে । ফলে তাঁদের বিচারকের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় বলে খবর ।

এই বিষয়ে মামলাকারী সাবেরা পারভিন বলেন, "আদালতের নির্দেশ বারবার অমান্য করছেন দেগঙ্গা থানার IC ও SI । আদালত বারবার আমার সন্তানদের আদালত হাজির করানোর নির্দেশ দিচ্ছে । কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করছেন ওই দুই পুলিশ আধিকারিক । আমি চাই সন্তানদের আমার কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হোক ৷ " তাঁর অভিযোগ , "ঘটনার পর প্রথমে দেগঙ্গা থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে আইনজীবী মারফত অভিযোগ নেওয়া হয় । কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি । আমার অভিযোগ , শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও তাঁদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । তাঁরাই আমার সন্তানকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছে । আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করা হয় ৷ "

সাবেরার আইনজীবী অরিজিৎ রায় বলেন , "12 অগাস্ট আদালতের দ্বারস্থ হন মক্কেল সাবেরা পারভিন । 14 অগাস্ট থেকে আদালত বারবার পুলিশকে নির্দেশ দেন অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করে আদালতে পেশ করতে । কিন্তু কোনও বারই আদালতের নির্দেশ মানেনি দেগঙ্গা থানার IC ও SI । ফলে আদালতের কড়া ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে । সোমবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে ।সেদিনও শিশু দু’টিকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ রয়েছে । এখন সেদিন কী হয় সেটাই দেখার বিষয় ৷ "

এদিকে , বিষয়টি নিয়ে দেগঙ্গা থানার IC সমীক মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।

বারাসত , 20 সেপ্টেম্বর : অপহরণ মামলায় আদালতের নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ উঠল দেগঙ্গা থানার দুই তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে । নির্দেশের পরও অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করে আদালতে পেশ না করার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে বিচারকের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় । মাস দু’য়েক আগে বিবিকে খুনের চেষ্টা ও দুই সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল আবগারি দপ্তরের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় দেগঙ্গা থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয় । তারপরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ । এরপরই সুবিচার চেয়ে বারাসত আদালতের দ্বারস্থ হন বিবি সাবেরা পারভিন । সেই থেকেই বারাসত আদালতের ACJM-এর এজলাসে মামলাটি চলছে ।


2012 সালের 30 এপ্রিল মাটিয়া থানার রাজাপুরের সাবেরার সঙ্গে বিয়ে হয় দেগঙ্গার বাসুদেবপুরের বাসিন্দা আবগারি দপ্তরের আধিকারিক সাইফুল ইসলামের । 2013 সালে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সাবেরা ।2016 সালে ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । তারপর থেকে ছেলেকে নিয়ে তিনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন ৷ সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন । চলতি বছরের 18 জুলাই দুই সন্তান সাকিবুল ইসলাম (7) ও সাহিবাব পারভিন (4)-কে নিয়ে বেড়াচাঁপা বাজারে ডাক্তার দেখাতে আসেন সাবেরা । অভিযোগ , তখনই দলবল নিয়ে একটি গাড়িতে করে বিবি ও দুই শিশু সন্তানকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সাইফুল । গাড়ির মধ্যে বিবিকে খুনের চেষ্টা ও তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে দুই শিশু সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে শওহর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে । এই অভিযোগে দেগঙ্গা থানার দ্বারস্থও হয় সাবেরার পরিবার । কিন্তু অভিযোগ , কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ । এরপরই সন্তানদের ফিরে পেতে বারাসত আদালতের শরণাপন্ন হন সাবেরা পারভিন । এরপর আদালত দ্রুত অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করে আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেন । কিন্তু বারবার আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে মামলার দুই তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে । ফলে তাঁদের বিচারকের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় বলে খবর ।

এই বিষয়ে মামলাকারী সাবেরা পারভিন বলেন, "আদালতের নির্দেশ বারবার অমান্য করছেন দেগঙ্গা থানার IC ও SI । আদালত বারবার আমার সন্তানদের আদালত হাজির করানোর নির্দেশ দিচ্ছে । কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করছেন ওই দুই পুলিশ আধিকারিক । আমি চাই সন্তানদের আমার কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হোক ৷ " তাঁর অভিযোগ , "ঘটনার পর প্রথমে দেগঙ্গা থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে আইনজীবী মারফত অভিযোগ নেওয়া হয় । কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি । আমার অভিযোগ , শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও তাঁদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । তাঁরাই আমার সন্তানকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছে । আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করা হয় ৷ "

সাবেরার আইনজীবী অরিজিৎ রায় বলেন , "12 অগাস্ট আদালতের দ্বারস্থ হন মক্কেল সাবেরা পারভিন । 14 অগাস্ট থেকে আদালত বারবার পুলিশকে নির্দেশ দেন অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করে আদালতে পেশ করতে । কিন্তু কোনও বারই আদালতের নির্দেশ মানেনি দেগঙ্গা থানার IC ও SI । ফলে আদালতের কড়া ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে । সোমবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে ।সেদিনও শিশু দু’টিকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ রয়েছে । এখন সেদিন কী হয় সেটাই দেখার বিষয় ৷ "

এদিকে , বিষয়টি নিয়ে দেগঙ্গা থানার IC সমীক মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.