বারাসত, 24 মে : রাজ্যে বাড়বাড়ন্ত করোনা পরিস্থিতি ৷ তার মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া ঘূর্ণিঝড় ৷ এই সময় রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ৷ পাশপাশি সাংসদ তহবিলের টাকা বন্ধ করা নিয়েও কোন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনাও করেন তিনি ৷ অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলত্যগীদের ফের দলে ফেরা নিয়েও মন্তব্যও করেন ৷ রবিবার সাংসদ তহবিলের টাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের সহায়তায় বেশকিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম তিনি তুলে দেন বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের হাতে। হাজির ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়, প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অশনি মুখোপাধ্যায় সহ অন্যরা। সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেন ৷
শিয়রে যশ ৷ গতবছর আমফানের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য ৷ সেবিষয়ে বারাসতের সাংসদ বললেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিজে এবিষয়ে প্রশাসক মণ্ডলীর সঙ্গে মিটিং করেছেন ৷ পাশাপাশি তিনি নিজে কন্ট্রোল রুমে থকবেন ওইদিন ৷ আমি রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করব, সাবধানে থাকুন , সতর্ক থাকুন ৷ যশের মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি ৷"
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ছেড়েছিলেন বহু তৃণমূল নেতা-নেত্রী ৷ এখন ফের তাঁরা দলে ফিরতে চাইছেন ৷ সেবিষয়ে তাঁর মন্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলের সর্বময় নেত্রী। তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করে নিশ্চয় কোনও না কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন। তাই এখনই এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারব না। আমি কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে সবে পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছি। ফলে, সোনালী গুহ কিংবা দলত্যাগী অন্যরা কী আবেদন করেছেন তা জানা নেই ৷"
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাংসদ তহবিলে টাকা বন্ধ করা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি ৷ বললেন, "করোনা শুরু হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ তহবিলের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে অনৈতিক আর কিছু হতে পারে না। ফলে ইচ্ছা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না সাংসদরা ৷" করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করেন ৷ বললেন, "করোনা আবহে কেন্দ্রীয় সরকার তার প্রশাসনকে অকেজো করে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দিকে নজর দিয়েছিল । যার ফলে করোনা পরিস্থিতি এখন হাতের বাইরে ৷ করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার । " অন্যান্য রাজ্যের থেকে এই রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা যথেষ্ট উন্নত বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
প্রসঙ্গত, সাংসদ তহবিলের টাকায় তিনি করোনা রোগীদের চিকিৎসায় 17 টি বাইপাপ এবং 500 পিপিই কিট তুলে দেন বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের হাতে।
আরও পড়ুন : আমফানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যশ মোকাবিলায় তৎপর বারুইপুর প্রশাসন