বরানগর, 20 অগস্ট: বিজেপি কর্মী ও তাঁর মাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের স্বামী ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর 31 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কুটিঘাট বসাকবাগান অঞ্চলে ৷ আহত বিজেপি কর্মীর নাম শ্যামল দাস ৷ তিনি পেশায় গাড়িচালক ৷
জানা গিয়েছে, এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী এবং বুথ সভাপতি শ্যামল । শনিবার নিজের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে স্থানীয় এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি । অভিযোগ, সেই সময়ই বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে ৷ তারই প্রতিবাদ করায় ওই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় । দুষ্কৃতীরা শ্যামলকে মারধর করছে দেখে ছুটে আসেন তাঁর মা ৷ তাঁকে বাঁচাতে গেলে মাকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । এই ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় পৌর প্রতিনিধি নিবেদিতা বসাকের স্বামী অঙ্কুরের দিকে ।
গুরুতর আহত অবস্থায় গতকাল রাতেই শ্যামলকে নিয়ে যাওয়া হয় বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে । অবস্থার অবনতি হলে পরে তাঁকে আনা হয় কামারহাটিতে সাগর দত্ত হাসপাতালে । সেখানেই আক্রান্ত কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিজিৎ বকসি । রবিবার শ্যামলের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ।
আহত শ্যামল দাসের পরিবারের দাবি, ঘটনার তদন্তের আবেদন জানিয়ে বরানগর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের থানা চত্বরেই ঢুকতে দেয়নি পুলিশ কর্মীরা । অরিজিৎ বকসি জানান, শ্যামল দাস দীর্ঘদিন ধরেই অঞ্চলের অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ৷ আর সে কারণে তাঁর উপর এর আগেও আক্রমণ হয়েছিল । অসামাজিক কাজের পেছনে সক্রিয় মদত রয়েছে পুলিশের ৷ এমনই অভিযোগ করেন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে উত্তাল বামনগোলা থানা এলাকা, পুলিশকে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া মহিলাদের
বরানগর 31 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি বুথ সভাপতিকে মারধরের ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পৌর প্রতিনিধি নিবেদিতা বসাক বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে অঞ্চলের যুব সমাজকে বিনে পয়সায় বিভিন্নরকম নেশায় আসক্ত করার কাজ করছিলেন এই বিজেপি কর্মী । গতকাল রাতে এমনই ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু যুবক তারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল ৷ প্রতিবাদকারীদের উপর চড়াও হয় শ্যামল দাস ।" এমনকী তিনি এক প্রতিবাদকারীর আঙ্গুল কামড়ে দেয় বলেও অভিযোগ করছেন পৌর প্রতিনিধি । তবে ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি তাঁর ।