বারাসত, 4 এপ্রিল : "আমি টিএমসিপিই করি। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।" সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশের পর সোমবার সন্ধেয় পুলিশি ঘেরাটোপে বারাসত আদালত থেকে বেরনোর সময় এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আলিয়াকাণ্ডে ধৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল (TMCP Leader In Court)।
উপাচার্যের সঙ্গে বিতণ্ডা প্রসঙ্গে ছাত্রনেতা বলেন,"উপাচার্য দুর্নীতিগ্রস্ত। যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের পিএইচডি-তে সুযোগ করে দিচ্ছেন। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের হয়ে আন্দোলন করতেই সেদিন উপাচার্যের ঘরে গিয়েছিলাম। তখনই কথাবার্তায় গালিগালাজ বেরিয়ে গিয়েছে।"
তবে, গালিগালাজের পিছনে যুক্তিও খাড়া করেছেন উপাচার্য হেনস্থার ঘটনায় ধৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। ছাত্রনেতা বলেন,"উপাচার্য কেন অযোগ্যদের সুযোগ করে দেবেন পিএইচডি-তে। তাদের ন্যূনতম যোগ্যতা নেই পিএইচডি করার।" সেবিষয়ে ব্যাখা দিতে গিয়ে গিয়াসউদ্দিন বলেন,"তাদের ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন। পিএইচডি ছাত্ররা 90 থেকে 95 নম্বর পাচ্ছে।" উপাচার্যকে গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার পিছনে কোনও রাজনৈতিক নেতার মদত নেই বলেও দাবি করেন ধৃত এই ছাত্রনেতা।
আরও পড়ুন: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ, নাম জড়াল তৃণমূলের
প্রসঙ্গত, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে হেনস্থার পর আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি দিতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আগেও তুলেছিলেন অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। এদিন বারাসত আদালতে আবারও সেই অভিযোগেই অনড় রইলেন ধৃত ছাত্রনেতা।