ভাটপাড়া, 8 অগস্ট : বিজেপিকে সমর্থন করার জন্যে এক কর্মীকে মারধর করে, তাঁর দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ৷ রবিবার সকালে ভাটপাড়া থানার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন পানপুর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে ।
প্রসেনজিৎ সাহা ভাটপাড়া থানার 33 নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাল সুভাষপুরের বাসিন্দা । তাঁর একটি মুরগির মাংসের দোকান রয়েছে ৷ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা তাঁর দোকানে আড্ডা মারতেন, দোকানে বসে মদ খেয়ে দোকান নোংরা করতেন ৷ তিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন ৷ তাই গতকাল রাতে এই তাণ্ডব চালায় তৃণমূলের কর্মীরা ৷
আগে তিনি তৃণমূল করতেন ৷ কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা বন্দুক, বোমা নিয়ে চলাফেরা করতেন, নোংরামো বেড়ে গিয়েছিল দলের ভিতরে ৷ তাই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিকে সমর্থন করতে শুরু করেন ৷
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh : কাজ না করলে জনপ্রতিনিধির বাড়ির সামনে মলত্যাগের নিদান দিলীপের
তিনি জানিয়েছেন, আজ সকালে দোকান খুলে তিনি দেখেন দোকান নোংরা করে, ভেঙে মুরগি নিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা ৷ তিনি ভাটপাড়া থানায় অভিযোগ জানান, কিন্তু থানা থেকে বলা হয় থানার অফিসার যাবে দোকানে, তারপর পদক্ষেপ করা হবে ৷ তিনি দোকানে ফিরে আসেন । কিন্তু সেখানে পুলিশের কোনও গাড়ি বা অফিসারকে দেখতে পাননি ৷ এই সময় তৃণমূলের খোকন, ভোলা, সন্তু দলবল নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷ তাঁর স্ত্রী দীপাকে মারধর করে ৷ তাঁর কোল থেকে বাচ্চাকে ছিনিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাঁকে বন্দুকের বাঁট, বাঁশ দিয়ে মারতে থাকে বলেও অভিযোগ ৷ এরপর তিনি ফের থানায় গেলে পুলিশ জানায়, পুলিশ তাঁর দোকানে দাঁড়িয়ে আছে ৷ তখন তিনি ফের ভাটপাড়া থেকে পানপুরের দোকানে আসেন ৷ সেখানে কাউকে দেখতে না পেয়ে তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপক লাহিড়ীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানান ৷ সেখানে তাঁকে 11টার সময় পার্টি অফিসে যেতে বলা হয় ৷
বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ সরকারের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই । ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে এই ঘটনা । আজ সারাদিন তৃণমূলের রক্তদান শিবির চলছে ৷ এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই ৷ এটা দুষ্কৃতীদের কাজ ৷
আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।