ETV Bharat / state

বাড়ি ফিরে আক্রান্ত 2 বিজেপি কর্মী, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে

author img

By

Published : Jun 26, 2021, 2:10 PM IST

একুশের নির্বাচনী ফল বেরনোর পরে রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল-বিজেপির হিংসাত্মক ঘটনার খবর আসছে ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ নিজে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফিরিয়ে আনে ৷ এরপরও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে ৷ শুক্রবার দুই বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ৷

গুরুতর আহত বিজেপি কর্মী
গুরুতর আহত বিজেপি কর্মী

বারাসত (উত্তর 24 পরগনা), 26 জুন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়ি ফেরানো হয়েছিল ৷ তারপরও বারাসতের 7 নং ওয়ার্ডে দুই বিজেপি কর্মীর উপর হামলা, মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । গুরুতর আহত মহম্মদ আলি ও জুলফিকার আলিকে ভর্তি করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । পরে, অবস্থার অবনতি হলে মহম্মদ আলিকে স্থানান্তরিত করা হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে । এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছে গেরুয়া শিবির । যদিও, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে । তবে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতে ।

বারাসতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

ভোটের ফলাফলের পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, তাদের ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে । সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে তালিকা অনুযায়ী ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ । পুলিশি নিরাপত্তায় 17 জুন বারাসতের প্রায় 80 জন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থক বাড়ি ফেরেন । কিন্তু সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই ফের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ।

আরও পড়ুন : বালিতে দলের অনুমতি ছাড়াই মমতা-অভিষেকের ছবি দিয়ে ফুচকা উৎসব ঘিরে বিতর্ক

জানা গিয়েছে, দুই বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলি ও জুলফিকার আলির বাড়ি 7 নম্বর ওয়ার্ডের চন্দনপুরে । শুক্রবার রাতে বাড়ির কাছে রাস্তায় বসেছিলেন জুলফিকার । তখন কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে । এর কিছুক্ষণ পরেই মহম্মদ আলির বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁকে তুলে এনে পরিবারের সামনেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । গুরুতর আহত অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সূত্রের খবর, মহম্মদ আলির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে, চোট লেগেছে বুকে, ঘাড়ে ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী জুলফিকার আলি বলেন, "দীর্ঘ দেড় মাস পর পুলিশের সাহায্যে বাড়ি ফিরেছিলাম । পুলিশ আশ্বস্ত করেছিল নির্ভয়ে বাড়ি থাকতে পারব । কিন্তু তারপরও কোথাও একটা আতঙ্ক কাজ করছিল । কারণ, অনেকে বাড়ি ফেরার পরেও হামলার মুখে পড়েছেন । সেই আতঙ্কই সত্যি হল শুক্রবার রাতে । হামলার পিছনে ইন্ধন রয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় কো-অর্ডিনেটর অরুণ ভৌমিকের । তা না হলে দুষ্কৃতীদের এত সাহস হত না", হাতজোড় করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যে সুশাসন ফেরানোর কাতর আবেদনও করেছেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী।

স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনার পর শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অনুপ দাস বলেন, "রাজ্যে কোনও আইনের শাসন নেই । শাসক দল আদালতের নির্দেশ, আইন ব্যবস্থা মানে না । স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা চলছে তৃণমূল সরকারের আমলে । পুলিশ সব কিছু জানে । আমরা নাম ধরে ধরে দুষ্কৃতীদের তালিকা জমা দিয়েছিলাম বারাসত থানায় । তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । আমরা চাই, পুলিশ অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করুক ৷"

শনিবার সকালে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ । বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, "এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে । আশা করা যায়, শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে ৷"

বারাসত (উত্তর 24 পরগনা), 26 জুন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়ি ফেরানো হয়েছিল ৷ তারপরও বারাসতের 7 নং ওয়ার্ডে দুই বিজেপি কর্মীর উপর হামলা, মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । গুরুতর আহত মহম্মদ আলি ও জুলফিকার আলিকে ভর্তি করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । পরে, অবস্থার অবনতি হলে মহম্মদ আলিকে স্থানান্তরিত করা হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে । এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছে গেরুয়া শিবির । যদিও, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে । তবে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতে ।

বারাসতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

ভোটের ফলাফলের পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, তাদের ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে । সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে তালিকা অনুযায়ী ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ । পুলিশি নিরাপত্তায় 17 জুন বারাসতের প্রায় 80 জন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থক বাড়ি ফেরেন । কিন্তু সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই ফের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ।

আরও পড়ুন : বালিতে দলের অনুমতি ছাড়াই মমতা-অভিষেকের ছবি দিয়ে ফুচকা উৎসব ঘিরে বিতর্ক

জানা গিয়েছে, দুই বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলি ও জুলফিকার আলির বাড়ি 7 নম্বর ওয়ার্ডের চন্দনপুরে । শুক্রবার রাতে বাড়ির কাছে রাস্তায় বসেছিলেন জুলফিকার । তখন কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে । এর কিছুক্ষণ পরেই মহম্মদ আলির বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁকে তুলে এনে পরিবারের সামনেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । গুরুতর আহত অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সূত্রের খবর, মহম্মদ আলির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে, চোট লেগেছে বুকে, ঘাড়ে ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী জুলফিকার আলি বলেন, "দীর্ঘ দেড় মাস পর পুলিশের সাহায্যে বাড়ি ফিরেছিলাম । পুলিশ আশ্বস্ত করেছিল নির্ভয়ে বাড়ি থাকতে পারব । কিন্তু তারপরও কোথাও একটা আতঙ্ক কাজ করছিল । কারণ, অনেকে বাড়ি ফেরার পরেও হামলার মুখে পড়েছেন । সেই আতঙ্কই সত্যি হল শুক্রবার রাতে । হামলার পিছনে ইন্ধন রয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় কো-অর্ডিনেটর অরুণ ভৌমিকের । তা না হলে দুষ্কৃতীদের এত সাহস হত না", হাতজোড় করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যে সুশাসন ফেরানোর কাতর আবেদনও করেছেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী।

স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনার পর শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অনুপ দাস বলেন, "রাজ্যে কোনও আইনের শাসন নেই । শাসক দল আদালতের নির্দেশ, আইন ব্যবস্থা মানে না । স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা চলছে তৃণমূল সরকারের আমলে । পুলিশ সব কিছু জানে । আমরা নাম ধরে ধরে দুষ্কৃতীদের তালিকা জমা দিয়েছিলাম বারাসত থানায় । তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । আমরা চাই, পুলিশ অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করুক ৷"

শনিবার সকালে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ । বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, "এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে । আশা করা যায়, শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.