কামারহাটি, 4 জানুয়ারি: কামারহাটিতে শুটআউট। এবার তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। আহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আসিফ ওরফে কাল্লু। তাঁর হাত এবং পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কামারহাটির ষষ্ঠীতলা এলাকায়। গুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার লোকজন। পরে সাহস করে স্থানীয়রাই ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন ওই তৃণমূল কর্মীকে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে।
তবে কী কারণে ওই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করা হল, কারণ অজানা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তদন্তের স্বার্থে এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। যদিও গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে পুলিশও যথেষ্ট ধোঁয়াশার মধ্যে। এ বিষয়ে তথ্য পেতে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে কামারহাটি থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্তও। কতজন দুষ্কৃতী এসেছিল, কোন পথে আততায়ীরা পালিয়ে গিয়েছে সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে এভাবে শাসকদলের কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ফের ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও। কারণ, কয়েকদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন বেছে বেছে শুধু শাসকদলের কর্মীদেরই গুলি খেতে হচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।
এই বিষয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করবেন বলেও জানিয়েছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক। স্বভাবতই এই শ্যুট আউটের পিছনে দলের অভ্যন্তরীণ কোনও কোন্দল রয়েছে নাকি, পুরনো কোনও শত্রুতা, তা নিয়েই এখন চলছে জোর চর্চা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: