ETV Bharat / state

TMC slams CPIM: প্রতিবাদ সভা থেকে সিপিআইএমকে আক্রমণ রথীন-কাকলির - খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ

পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুমকি-হুঁশিয়ারি অব‍্যাহত ! সিপিআইএমকে (CPIM) হুল ফোঁটানোর নিদান দিলেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh) । নাকখত দেওয়ার ফতোয়া জারি করে আবার বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar) ।

Rathin Ghosh Kakoli Ghosh Dastidar
তৃণমূল
author img

By

Published : Feb 14, 2023, 6:23 PM IST

সিপিআইএমকে আক্রমণ তৃণমূলের রথীন-কাকলির

মধ্যমগ্রাম, 14 ফেব্রুয়ারি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুমকি-হুঁশিয়ারি থামার কোনও লক্ষণই নেই । গ্রামীণ এলাকার ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন শাসক-বিরোধীদের হুঁশিয়ারিতে তেতে উঠছে রাজ্য রাজনীতি ! এবার কার্যত তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh) এবং তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakoli Ghosh Dastidar) গলাতে । সিপিআইএমকে হুমকি দিতে গিয়ে একদিকে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ হুল ফোঁটানোর নিদান দিলেন । অন‍্যদিকে, পাড়ায় মিটিং, মিছিলের আগে সিপিআইএমকে নাকখত দিয়ে অন‍্যায় স্বীকার করার ফতোয়া জারি করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র কাকলি ঘোষদস্তিদার । যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।

সিপিআইএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেলে মধ্যমগ্রামের কলুপাড়ায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের কেমিয়া খামারপাড়া অঞ্চল কমিটির তরফে। সেখানেই হাজির হন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন আগাগোড়াই সিপিআইএমের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ । তিনি বলেন,"সিপিএমের এখন নেতৃত্বের অভাব রয়েছে । তাই তাঁরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে এলাকায় মিটিং, মিছিল করছে । ভাবছে, বিশাল কিছু করে ফেলেছে । আসলে এসব করে এলাকায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে সিপিআইএম নেতৃত্ব । তার জন্য অবশ্য প্রস্তুত রয়েছে তৃণমূল । সেরকম হলে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে । সিপিআইএম যেন না-ভাবে, তৃণমূল হাতে চুড়ি পড়ে বসে রয়েছে । ভুল করবে ! মূর্খের স্বর্গে বাস করছে সিপিআইএম ৷"

এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, "আমাদের কর্মীদের আঘাত করা হলে পালটা প্রত্যাঘাত করার ক্ষমতা রাখে তৃণমূল দল । ইচ্ছা করলে আমরা পারি । কিন্তু,আমরা এমন একটা দল করি, যার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি ক্ষমতায় আসার আগে স্লোগান দিয়েছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই । তাই আমরা বদলের রাজনীতি করছি । তাই, যারা মাঝেমধ্যে এসে হুল ফোটাচ্ছেন । তাঁদের বলব, হুল ফোটাতে আসবেন না । পালটা হুল সহ‍্য করতে পারবেন না । সেটা মাথায় রেখে দলীয় কর্মকাণ্ড করুন । তাতে আমাদের আপত্তি নেই ৷"

সিপিআইএমের পাশাপাশি এদিন বিজেপির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ । উঠে এসেছে রাম-জোট তত্ত্বও । তাঁর কথায়, "রাজ্যে প্রায় 63 হাজার 949 আসনে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে । সিপিআইএম, বিজেপি ও কংগ্রেস দলের যা অবস্থা, তাতে একার পক্ষে কারোর সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয় । তাই, তিন দলের মধ্যে এখন অলিখিত আঁতাত হয়েছে । পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে । তাতে অবশ্য আমরা ভয় পাচ্ছি না । কারণ, জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করছি আমরা । তাই, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবারও জনগণ তৃণমূলকেই বেছে নেবে পঞ্চায়েত ভোটে ৷"

এদিকে, মন্ত্রীর পাশাপাশি সোমবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও 34 বছরের বাম অপশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । তা করতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ আবার ফতোয়া দিয়ে বসেছেন সিপিআইএমকে । বলেছেন, "নেতা সেজে এখন পাড়ায় পাড়ায় মিটিং, মিছিল করছে সিপিআইএমের নেতারা । কোনও মিটিং, মিছিল করা যাবে না । মিটিং করার আগে নাকখত দিয়ে অন‍্যায় স্বীকার করতে হবে সিপিআইএম নেতাদের । তারপর যেন দলীয় কর্মসূচি করার চিন্তা ভাবনা করেন তাঁরা ৷" 34 বছরে বামেরা রাজ্যকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলেও মনে করেন শাসকদলের এই সাংসদ ।

অন‍্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদের এই হুমকিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি সিপিআইএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খান । তিনি বলেন, "জনগণ আমাদের সঙ্গেই রয়েছে । তা দেখে ভয় পেয়ে এই ধরণের হুমকি দিচ্ছেন মন্ত্রী-সাংসদরা । আসলে পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে । জনগণের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে তাঁরা । মানুষ তৃণমূলের আসল রূপ দেখতে পাচ্ছে এখন । তাই, আগামীতে মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলের এই লুটপাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করব আমরা ৷"

আরও পড়ুন: অপদার্থ শিক্ষামন্ত্রী, নিয়োগ দুর্নীতিতে ব্রাত্যকে কড়া আক্রমণ সুজনের

সিপিআইএমকে আক্রমণ তৃণমূলের রথীন-কাকলির

মধ্যমগ্রাম, 14 ফেব্রুয়ারি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুমকি-হুঁশিয়ারি থামার কোনও লক্ষণই নেই । গ্রামীণ এলাকার ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন শাসক-বিরোধীদের হুঁশিয়ারিতে তেতে উঠছে রাজ্য রাজনীতি ! এবার কার্যত তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh) এবং তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakoli Ghosh Dastidar) গলাতে । সিপিআইএমকে হুমকি দিতে গিয়ে একদিকে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ হুল ফোঁটানোর নিদান দিলেন । অন‍্যদিকে, পাড়ায় মিটিং, মিছিলের আগে সিপিআইএমকে নাকখত দিয়ে অন‍্যায় স্বীকার করার ফতোয়া জারি করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র কাকলি ঘোষদস্তিদার । যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।

সিপিআইএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেলে মধ্যমগ্রামের কলুপাড়ায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের কেমিয়া খামারপাড়া অঞ্চল কমিটির তরফে। সেখানেই হাজির হন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন আগাগোড়াই সিপিআইএমের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ । তিনি বলেন,"সিপিএমের এখন নেতৃত্বের অভাব রয়েছে । তাই তাঁরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে এলাকায় মিটিং, মিছিল করছে । ভাবছে, বিশাল কিছু করে ফেলেছে । আসলে এসব করে এলাকায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে সিপিআইএম নেতৃত্ব । তার জন্য অবশ্য প্রস্তুত রয়েছে তৃণমূল । সেরকম হলে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে । সিপিআইএম যেন না-ভাবে, তৃণমূল হাতে চুড়ি পড়ে বসে রয়েছে । ভুল করবে ! মূর্খের স্বর্গে বাস করছে সিপিআইএম ৷"

এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, "আমাদের কর্মীদের আঘাত করা হলে পালটা প্রত্যাঘাত করার ক্ষমতা রাখে তৃণমূল দল । ইচ্ছা করলে আমরা পারি । কিন্তু,আমরা এমন একটা দল করি, যার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি ক্ষমতায় আসার আগে স্লোগান দিয়েছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই । তাই আমরা বদলের রাজনীতি করছি । তাই, যারা মাঝেমধ্যে এসে হুল ফোটাচ্ছেন । তাঁদের বলব, হুল ফোটাতে আসবেন না । পালটা হুল সহ‍্য করতে পারবেন না । সেটা মাথায় রেখে দলীয় কর্মকাণ্ড করুন । তাতে আমাদের আপত্তি নেই ৷"

সিপিআইএমের পাশাপাশি এদিন বিজেপির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ । উঠে এসেছে রাম-জোট তত্ত্বও । তাঁর কথায়, "রাজ্যে প্রায় 63 হাজার 949 আসনে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে । সিপিআইএম, বিজেপি ও কংগ্রেস দলের যা অবস্থা, তাতে একার পক্ষে কারোর সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয় । তাই, তিন দলের মধ্যে এখন অলিখিত আঁতাত হয়েছে । পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে । তাতে অবশ্য আমরা ভয় পাচ্ছি না । কারণ, জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করছি আমরা । তাই, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবারও জনগণ তৃণমূলকেই বেছে নেবে পঞ্চায়েত ভোটে ৷"

এদিকে, মন্ত্রীর পাশাপাশি সোমবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও 34 বছরের বাম অপশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । তা করতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ আবার ফতোয়া দিয়ে বসেছেন সিপিআইএমকে । বলেছেন, "নেতা সেজে এখন পাড়ায় পাড়ায় মিটিং, মিছিল করছে সিপিআইএমের নেতারা । কোনও মিটিং, মিছিল করা যাবে না । মিটিং করার আগে নাকখত দিয়ে অন‍্যায় স্বীকার করতে হবে সিপিআইএম নেতাদের । তারপর যেন দলীয় কর্মসূচি করার চিন্তা ভাবনা করেন তাঁরা ৷" 34 বছরে বামেরা রাজ্যকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলেও মনে করেন শাসকদলের এই সাংসদ ।

অন‍্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদের এই হুমকিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি সিপিআইএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খান । তিনি বলেন, "জনগণ আমাদের সঙ্গেই রয়েছে । তা দেখে ভয় পেয়ে এই ধরণের হুমকি দিচ্ছেন মন্ত্রী-সাংসদরা । আসলে পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে । জনগণের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে তাঁরা । মানুষ তৃণমূলের আসল রূপ দেখতে পাচ্ছে এখন । তাই, আগামীতে মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলের এই লুটপাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করব আমরা ৷"

আরও পড়ুন: অপদার্থ শিক্ষামন্ত্রী, নিয়োগ দুর্নীতিতে ব্রাত্যকে কড়া আক্রমণ সুজনের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.