বনগাঁ, 6 জুলাই : টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্ত ওই নেতার নাম সুকান্ত মাহাতো (গোপাল)। তিনি তৃণমূলের উত্তর 24 পরগনা জেলার তপশিলি সেলের সভাপতি। পাশাপাশি তিনি বনগাঁ হাইস্কুলের শিক্ষকও। তাঁর স্ত্রী ছয়ঘরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যা। মঙ্গলবার বনগাঁর শিমুলতলার বাসিন্দা প্রশান্ত কুণ্ডু নামে এক ব্যাক্তি তাঁর বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন (TMC Leader Allegedly Took Money for Getting Govt Job)।
প্রশান্তের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে পারমিতা কুণ্ডুকে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে 6 লক্ষ টাকা নিয়েছিল সুকান্ত। কিন্তু এখনও চাকরি পাননি তাঁর মেয়ে। টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না সুকান্ত। প্রশান্ত বলেন, "আমার মেয়ে প্রাথমিক স্কুলের চাকরির জন্য ফর্ম-ফিলাপ করেছিল। তখন সুকান্ত বলেছিলেন চাকরি পাইয়ে দেবেন। তাঁর দাবি, চাকরি করে দেওয়ার জন্য 2021 সালের 22 সেপ্টেম্বর সুকান্ত স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে ছয় লক্ষ টাকা নেন। তখন তিনি কথা দিয়েছিলেন 2022 সালের 31 মে-এর মধ্যে চাকরি দিতে না-পারলে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। কিন্তু মেয়ের তো চাকরি হয়ইনি। টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। কিছু দিন আগে একটি ফাঁকা চেক দিয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।
আরও পড়ুন : এসএসসি গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতির প্রথম মামলাকারীকে তলব করল সিবিআই
প্রশান্তের দাবি, টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছেন সঙ্গে নানা-রকম হুমকিও দিচ্ছেন। যদিও এ বিষয়ে সুকান্তের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্কুলে আসছেন না বাড়ি থেকেও তিনি-সহ তাঁর বাড়ির লোক পলাতক ৷
বিজেপির বনগাঁ সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, "শুধুমাত্র চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া নয়। চাকরির বদলি করে দেওয়ার নাম করেও বহু লোকের থেকে টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের ওই নেতা। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।"
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ এ বিষয়ে বলেন, "অভিযোগ হলে সেটা বিচারাধীন বিষয়। বিচারক বিচার করুক তিনি অপরাধী কি না। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।" সম্প্রতি, এই নেতার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেছিলেন কয়েকজন। সেখানে সুকান্তকে বনগাঁর চন্দন বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।