ETV Bharat / state

শাসনে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমা, গুলি

author img

By

Published : Jun 9, 2020, 1:37 AM IST

শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত শাসন ৷ আমফানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রাম ৷ বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা পাশের গ্রাম থেকে বিদ্যুত সংযোগ নিয়ে আসতে গেলে বাধে গোলমাল ৷ ঘটনায় দুই গ্রামের তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মধ্যে বেধে যায় সংঘর্ষ ৷ বোমা ও গুলি চলার অভিযোগ ৷ পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷

TMC groups clash over power contention
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত শাসন৷

শাসন, 8 জুন: এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া নিয়ে অশান্তি৷ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রবিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শাসনের চোলপুর ও মাগরি গ্রাম। ঘটনায় দেদার বোমাবাজি হয়৷ গুলি চলে বলেও অভিযোগ। হতাহতের খবর না থাকলেও আতঙ্ক ছড়ায়। পরে, শাসন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও উত্তেজনা থাকায় এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমফানের তাণ্ডবে শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের মাগরি গ্রাম এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়া হাইটেনশন লাইনের প্রায় 12 টি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিপত্তি হয়। বিদ্যুতের খুঁটিগুলি স্থানীয় হিঞ্চি ভেড়ির মধ্যে পোঁতা ছিল। ভেড়িতে জল থাকার কারণে নতুন করে বিদ্যুতের খুঁটি পুঁততে সমস্যা হয় বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের। এই অবস্থায় পাশের গ্রাম চোলপুর থেকে হাইটেনশন লাইন মাগরি গ্রামে আনার কাজ শুরু করে দপ্তর। কিন্তু, চোলপুর গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় মসজিদের কাছ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যেতে বাধা দেন। এরপরই গণ্ডগোল বাধে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।

সমাধান সূত্র খুঁজতে মাগরি গ্রামের তৃণমূল নেতারা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি জানান। যা মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতিকে। রবিবার দুপুরে তৃণমূলের অঞ্চল নেতারা সমস্যার সমাধানের জন্য চোলপুর গ্রামে যান।অভিযোগ সেখানে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদেই রবিবার রাতে দুই গ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব ভিন্ন ভিন্ন দাবিতে মিছিল করেন। চোলপুর গ্রামে মিছিল চলাকালীন এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষই। অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় স্থানীয় বড় মসজিদ তেঁতুলতলা এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। চলে গুলিও।

এক গ্রামবাসীর দাবি, "20 টির মতো বোম পড়েছে এলাকায়। পাশাপাশি শূন্যে প্রায় 30 রাউন্ড গুলি চলে। গভীর রাত পর্যন্ত বোমা ও গুলি চলে। আতঙ্কে দু'চোখের পাতা এক করতে পারিনি।"

যদিও এরপরই শাসন থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থানে। তাঁদের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিকে, নতুন করে যাতে অশান্তি না হয়, তার জন্য সোমবার দুপুরে শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই গ্রামের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে প্রশাসন। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ঘটনার পর মুখে কুলুপ এঁটেছে৷

শাসন, 8 জুন: এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া নিয়ে অশান্তি৷ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রবিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শাসনের চোলপুর ও মাগরি গ্রাম। ঘটনায় দেদার বোমাবাজি হয়৷ গুলি চলে বলেও অভিযোগ। হতাহতের খবর না থাকলেও আতঙ্ক ছড়ায়। পরে, শাসন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও উত্তেজনা থাকায় এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমফানের তাণ্ডবে শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের মাগরি গ্রাম এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়া হাইটেনশন লাইনের প্রায় 12 টি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিপত্তি হয়। বিদ্যুতের খুঁটিগুলি স্থানীয় হিঞ্চি ভেড়ির মধ্যে পোঁতা ছিল। ভেড়িতে জল থাকার কারণে নতুন করে বিদ্যুতের খুঁটি পুঁততে সমস্যা হয় বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের। এই অবস্থায় পাশের গ্রাম চোলপুর থেকে হাইটেনশন লাইন মাগরি গ্রামে আনার কাজ শুরু করে দপ্তর। কিন্তু, চোলপুর গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় মসজিদের কাছ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যেতে বাধা দেন। এরপরই গণ্ডগোল বাধে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।

সমাধান সূত্র খুঁজতে মাগরি গ্রামের তৃণমূল নেতারা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি জানান। যা মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতিকে। রবিবার দুপুরে তৃণমূলের অঞ্চল নেতারা সমস্যার সমাধানের জন্য চোলপুর গ্রামে যান।অভিযোগ সেখানে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদেই রবিবার রাতে দুই গ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব ভিন্ন ভিন্ন দাবিতে মিছিল করেন। চোলপুর গ্রামে মিছিল চলাকালীন এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষই। অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় স্থানীয় বড় মসজিদ তেঁতুলতলা এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। চলে গুলিও।

এক গ্রামবাসীর দাবি, "20 টির মতো বোম পড়েছে এলাকায়। পাশাপাশি শূন্যে প্রায় 30 রাউন্ড গুলি চলে। গভীর রাত পর্যন্ত বোমা ও গুলি চলে। আতঙ্কে দু'চোখের পাতা এক করতে পারিনি।"

যদিও এরপরই শাসন থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থানে। তাঁদের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিকে, নতুন করে যাতে অশান্তি না হয়, তার জন্য সোমবার দুপুরে শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই গ্রামের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে প্রশাসন। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ঘটনার পর মুখে কুলুপ এঁটেছে৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.