সন্দেশখালি, 16 জানুয়ারি: সন্দেশখালি-কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও 3 অভিযুক্ত। ধৃতদের নাম এনামুল শেখ,আইজুল শেখ ও হাজিনুর শেখ । ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা এবং মারধরের ঘটনায় এই তিন ব্যক্তি অভিযুক্ত বলে দাবি পুলিশের । যদিও ধৃতদের পরিবারের দাবি, হামলার ঘটনায় এদের কোনও যোগ নেই । পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে এই তিনজনকে তুলে নিয়ে এসেছে। ধৃতরা 'ফেরার' তৃণমূলের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এলাকায় ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্দেশখালির পৃথক দু’টি জায়গা থেকে আটক করা হয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এই তিন অভিযুক্তকে । এর আগে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল ন্যাজাট থানার পুলিশ । ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছিল তাদের। এবারও আরও তিন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে । মঙ্গলবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ছ'দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা হল 7। বাকিদের খোঁজে ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে ৷
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান আড়ালে থাকলেও তাঁর হয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতার আইনজীবী। নিজে উপস্থিত না থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি ৷ 24 ঘণ্টা কাটাতে না কাটতেই সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত ৷ এনিয়ে কড়া বার্তাও দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । স্পষ্টত জানিয়ে দেন, এখনও কেন আত্মসমর্পণ করেননি শেখ শাহজাহান। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দেশখালি তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এখনও পলাতক ৷ কোথায় আত্মগোপন করে থাকতে পারেন সেই ব্য়াপারে স্পষ্ট কোনও সদুত্তর নেই বসিরহাট জেলার পুলিশ কর্তাদের কাছেও।
আরও পড়ুন: