ETV Bharat / state

Kidnapping Racket Busted: আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার 3, উদ্ধার 18 যুবক - উদ্ধার 18 জন যুবক

আজ ভোররাতে পুলিশ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে 18 জনকে উদ্ধার করে । এক চিকিৎসকের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল তাঁদের (Kidnapping Charges) ৷

Three arrested by Bidhannagar police in Kidnapping charges
Three arrested by Bidhannagar police in Kidnapping charges
author img

By

Published : Sep 25, 2022, 1:58 PM IST

Updated : Sep 25, 2022, 2:22 PM IST

বিধাননগর, 25 সেপ্টেম্বর: আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট (Kidnapping Racket Busted) । কলকাতা বিমানবন্দর থেকে 18 জন যুবককে উদ্ধার করল বিধাননগর কমিশনারেটের এনএসসিবিআই থানার পুলিশ । গত 16 সেপ্টেম্বর হরিয়ানার বাসিন্দা নরেশ কুমার এনএসসিবিআই থানায় একটি রিপোর্ট করেন ৷ তিনি জানান, তাঁর ছেলে রাহুল কুমার 28 অগস্ট থেকে নিখোঁজ ।

প্রসঙ্গত, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে পানিপথ হয়ে রাহুল কলকাতায় এসেছিলেন ৷ তারপর তাঁর আর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ নেই ৷ একটি এজেন্সি মারফত রাহুল আমেরিকা যাবেন বলে কলকাতায় আসেন ৷ সেই জন্য নরেশ কুমারের কাছে এজেন্সির তরফে 49 লক্ষ টাকা দাবি করা হয় ৷ তার মধ্যে 40 লক্ষ টাকা দেন নরেশ ৷ কিন্তু কলকাতা আসার পর রাহুলের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ এরপরই নরেশ এসে কলকাতায় থানায় অভিযোগ করেন ৷ জানান, তাঁর ছেলে কলকাতায় আছে । সেই অনুযায়ী পুলিশ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাহুলকে খোঁজা শুরু করে ৷ কিন্তু নরেশ কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি ৷ ফলে যেহেতু পানিপথ থেকে টাকাটা দেওয়া হয়েছে তাই তিনি ওখানে গিয়ে অভিযোগ করবেন জানান ৷

এরপর নরেশ পানিপথে চলে যান ৷ কিন্তু বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যায় ৷ তারা গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য নরেশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ পুলিশ জানতে পারে তিনি পানিপথে গিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি ৷ তাই পুলিশ নরেশকে কলকাতায় ইমেল মারফত অভিযোগ করতে বলেন ৷ যাতে তারা তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন ৷ এরপরে বিধাননগর এনএসসিবিআই থানার পুলিশের কাছে ইমেল মারফত অভিযোগ করেন তিনি । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ দমদম ও এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে সুরেশ সিনহা, রাকেশপ্রসাদ সিনহা, ধীরাজ দাসকে গ্রেফতার করে (Three arrested by Bidhannagar police) । এরপরেই আজ ভোররাতে পুলিশ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে 18 জনকে উদ্ধার করে ।

পুলিশের দাবি, যুবকদের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে আমেরিকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় । এরপরে তাঁদের আটকে রেখে পরিবারের থেকে টাকা আদায় করে ধৃতরা । পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে রাহুল -সহ মোট 18 জনকে ইকোপার্ক থানার অন্তর্গত চিকিৎসক গৌরচন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল ৷ যুবকদের ভয় দেখিয়ে আমেরিকার নম্বর ব্যবহার করে তাঁদের বাড়িতে ফোন করে বলানো হত ছেলে ভালো আছে ।

তদন্তকারীদের অনুমান, এটি একটি বড়সড়ো আন্তর্জাতিক কিডনাপিং রেকেট ৷ এই র‍্যাকেটের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেট (Bidhannagar City Police) ।

আরও পড়ুন: কাপড় ব্যবসার আড়ালে মোবাইল পাচার, গ্রেফতার 2

মূলত বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন রাজ্যের যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত । পানিপথ এবং দিল্লিতে এজেন্সি খুলে বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই কিডনাপিং চক্র চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । এই চক্রের তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বিধাননগর পুলিশের তরফে ।

আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ

বিধাননগর, 25 সেপ্টেম্বর: আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট (Kidnapping Racket Busted) । কলকাতা বিমানবন্দর থেকে 18 জন যুবককে উদ্ধার করল বিধাননগর কমিশনারেটের এনএসসিবিআই থানার পুলিশ । গত 16 সেপ্টেম্বর হরিয়ানার বাসিন্দা নরেশ কুমার এনএসসিবিআই থানায় একটি রিপোর্ট করেন ৷ তিনি জানান, তাঁর ছেলে রাহুল কুমার 28 অগস্ট থেকে নিখোঁজ ।

প্রসঙ্গত, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে পানিপথ হয়ে রাহুল কলকাতায় এসেছিলেন ৷ তারপর তাঁর আর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ নেই ৷ একটি এজেন্সি মারফত রাহুল আমেরিকা যাবেন বলে কলকাতায় আসেন ৷ সেই জন্য নরেশ কুমারের কাছে এজেন্সির তরফে 49 লক্ষ টাকা দাবি করা হয় ৷ তার মধ্যে 40 লক্ষ টাকা দেন নরেশ ৷ কিন্তু কলকাতা আসার পর রাহুলের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ এরপরই নরেশ এসে কলকাতায় থানায় অভিযোগ করেন ৷ জানান, তাঁর ছেলে কলকাতায় আছে । সেই অনুযায়ী পুলিশ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাহুলকে খোঁজা শুরু করে ৷ কিন্তু নরেশ কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি ৷ ফলে যেহেতু পানিপথ থেকে টাকাটা দেওয়া হয়েছে তাই তিনি ওখানে গিয়ে অভিযোগ করবেন জানান ৷

এরপর নরেশ পানিপথে চলে যান ৷ কিন্তু বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যায় ৷ তারা গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য নরেশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ পুলিশ জানতে পারে তিনি পানিপথে গিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি ৷ তাই পুলিশ নরেশকে কলকাতায় ইমেল মারফত অভিযোগ করতে বলেন ৷ যাতে তারা তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন ৷ এরপরে বিধাননগর এনএসসিবিআই থানার পুলিশের কাছে ইমেল মারফত অভিযোগ করেন তিনি । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ দমদম ও এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে সুরেশ সিনহা, রাকেশপ্রসাদ সিনহা, ধীরাজ দাসকে গ্রেফতার করে (Three arrested by Bidhannagar police) । এরপরেই আজ ভোররাতে পুলিশ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে 18 জনকে উদ্ধার করে ।

পুলিশের দাবি, যুবকদের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে আমেরিকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় । এরপরে তাঁদের আটকে রেখে পরিবারের থেকে টাকা আদায় করে ধৃতরা । পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে রাহুল -সহ মোট 18 জনকে ইকোপার্ক থানার অন্তর্গত চিকিৎসক গৌরচন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল ৷ যুবকদের ভয় দেখিয়ে আমেরিকার নম্বর ব্যবহার করে তাঁদের বাড়িতে ফোন করে বলানো হত ছেলে ভালো আছে ।

তদন্তকারীদের অনুমান, এটি একটি বড়সড়ো আন্তর্জাতিক কিডনাপিং রেকেট ৷ এই র‍্যাকেটের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেট (Bidhannagar City Police) ।

আরও পড়ুন: কাপড় ব্যবসার আড়ালে মোবাইল পাচার, গ্রেফতার 2

মূলত বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন রাজ্যের যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত । পানিপথ এবং দিল্লিতে এজেন্সি খুলে বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই কিডনাপিং চক্র চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । এই চক্রের তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বিধাননগর পুলিশের তরফে ।

আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ
Last Updated : Sep 25, 2022, 2:22 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.