ETV Bharat / state

জাহাজটা যে টলমল করছে মেনে নিয়েছেন ফিরহাদ : কুণাল

"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তনের জন্যই রাজ‍্যে এখন আবার পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । ২০১১ সালে তিনি যা ছিলেন ২০১৯-এ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই ।" আজ বারাসত বিশেষ আদালতে সারদা মামলায় হাজিরা দিতে এসে ফিরহাদকে কটাক্ষ করে একথা বলেন কুণাল ঘোষ ।

কুণাল ঘোষ
author img

By

Published : May 30, 2019, 9:19 PM IST

বারাসত, 30 মে : "জাহাজ টলমল করলে ইঁদুর পালায়, এটা বলতে গিয়ে উনি বলে ফেলেছেন জাহাজটা টলমল করছে ।" আজ বারাসত বিশেষ আদালতে সারদা মামলায় হাজিরা দিতে এসে ফিরহাদকে কটাক্ষ করে একথা বলেন কুণাল ঘোষ । অন্য একটি মামলায় আদালতে এসেছিলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তও । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সব্যসাচীকে পাশে নিয়ে কুণাল বলেন, "সব্যসাচীর মতো অ্যাক্টিভ ছেলেকে ভোটে ব্যবহার করল না তৃণমূল । এরকম অনেক নেতাই আছেন যাঁরা ভোটের সময় ঘরে বসে আছেন । আর যাঁদের ব্যবহার করা হল তাঁদের এমন অরাজনৈতিক বিবৃতির জন্যই বিপদ ক্রমশ বাড়ছে।"

সারদা মামলায় আজ বারাসত বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন কুণাল । রাজ্যে BJP-র উত্থান প্রসঙ্গ নিয়ে বলার পাশাপাশি তৃণমূলের হারের বিষয়টি নিয়েও মন্তব্য করেন । বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তনের জন্যই রাজ‍্যে এখন আবার পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । ২০১১ সালে তিনি যা ছিলেন ২০১৯-এ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই । যাঁদের হাত দিয়ে যে যে কারণে দলটা ডুবছে, তাঁরাই যদি ভোট বিপর্যয়ের পর্যালোচনা ও শুদ্ধিকরণের দায়িত্ব নেন, সেটা সাধারণ মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ।" তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, "যাঁরা ভুল করেছেন তাঁরা যদি পরস্পরের পিঠ চুলকোয়, তবে সেই পর্যালোচনা করে লাভ নেই । পর্যালোচনার জন্য ঘরে উলটো সুরের‌ও দরকার । দরজা না খুললে সেই পর্যালোচনার কোন‌ও মূল্যই নেই ।"


নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণে 50 টি পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । এই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, "অতীতে তৃণমূল সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস কবলিত এলাকার লোকজন হাজির হয়েছিলেন । তবে, যুগ যুগ ধরে কেন্দ্র বিরোধী রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে । বামেরাও এর আগে তাই করেছে । যা এখনও চলছে । ফলে রাজনৈতিক কারণে, ভোটব‍্যাঙ্কের কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতে এমন চললে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ।"

সারদা মামলায় বরাবরের মতো আজও রাজীব কুমার, অর্ণব ঘোষের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন তিনি । বলেন, "সারদা মামলায় এই দুই অফিসারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। কারণ, এরা সারদার তথ্য প্রমাণ লোপাট, সাক্ষীদের প্রভাবিত করা, দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন । উনি (রাজীব কুমার) পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন! সামনে আসুন । আমাকে রাজীব কুমার যখন‌ই ডেকেছেন, ততক্ষণই মাথা উঁচু করে গেছি‌ । ওর যাঁরা পৃষ্ঠপোষক, তাঁদের‌ও উচিত ওকে সামনে আনা । ওঁকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, তা আমি জানি না । তবে, এই নিয়ে আমি বলবই ।"

বারাসত, 30 মে : "জাহাজ টলমল করলে ইঁদুর পালায়, এটা বলতে গিয়ে উনি বলে ফেলেছেন জাহাজটা টলমল করছে ।" আজ বারাসত বিশেষ আদালতে সারদা মামলায় হাজিরা দিতে এসে ফিরহাদকে কটাক্ষ করে একথা বলেন কুণাল ঘোষ । অন্য একটি মামলায় আদালতে এসেছিলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তও । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সব্যসাচীকে পাশে নিয়ে কুণাল বলেন, "সব্যসাচীর মতো অ্যাক্টিভ ছেলেকে ভোটে ব্যবহার করল না তৃণমূল । এরকম অনেক নেতাই আছেন যাঁরা ভোটের সময় ঘরে বসে আছেন । আর যাঁদের ব্যবহার করা হল তাঁদের এমন অরাজনৈতিক বিবৃতির জন্যই বিপদ ক্রমশ বাড়ছে।"

সারদা মামলায় আজ বারাসত বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন কুণাল । রাজ্যে BJP-র উত্থান প্রসঙ্গ নিয়ে বলার পাশাপাশি তৃণমূলের হারের বিষয়টি নিয়েও মন্তব্য করেন । বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তনের জন্যই রাজ‍্যে এখন আবার পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । ২০১১ সালে তিনি যা ছিলেন ২০১৯-এ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই । যাঁদের হাত দিয়ে যে যে কারণে দলটা ডুবছে, তাঁরাই যদি ভোট বিপর্যয়ের পর্যালোচনা ও শুদ্ধিকরণের দায়িত্ব নেন, সেটা সাধারণ মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ।" তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, "যাঁরা ভুল করেছেন তাঁরা যদি পরস্পরের পিঠ চুলকোয়, তবে সেই পর্যালোচনা করে লাভ নেই । পর্যালোচনার জন্য ঘরে উলটো সুরের‌ও দরকার । দরজা না খুললে সেই পর্যালোচনার কোন‌ও মূল্যই নেই ।"


নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণে 50 টি পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । এই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, "অতীতে তৃণমূল সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস কবলিত এলাকার লোকজন হাজির হয়েছিলেন । তবে, যুগ যুগ ধরে কেন্দ্র বিরোধী রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে । বামেরাও এর আগে তাই করেছে । যা এখনও চলছে । ফলে রাজনৈতিক কারণে, ভোটব‍্যাঙ্কের কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতে এমন চললে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ।"

সারদা মামলায় বরাবরের মতো আজও রাজীব কুমার, অর্ণব ঘোষের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন তিনি । বলেন, "সারদা মামলায় এই দুই অফিসারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। কারণ, এরা সারদার তথ্য প্রমাণ লোপাট, সাক্ষীদের প্রভাবিত করা, দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন । উনি (রাজীব কুমার) পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন! সামনে আসুন । আমাকে রাজীব কুমার যখন‌ই ডেকেছেন, ততক্ষণই মাথা উঁচু করে গেছি‌ । ওর যাঁরা পৃষ্ঠপোষক, তাঁদের‌ও উচিত ওকে সামনে আনা । ওঁকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, তা আমি জানি না । তবে, এই নিয়ে আমি বলবই ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.