বারাসত, 25 নভেম্বর : BJP প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধর নিয়ে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র ৷ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পদদলিত হচ্ছে ৷ বারাসতে এক দলীয় সমাবেশে শেষে জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধর প্রসঙ্গে আজ এমনই বললেন সোমেন মিত্র ৷ রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট বেশি পড়েছে । তবুও তাকে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট বলতে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র অবশ্য ।
দলীয় সমাবেশ শেষে তিনি বলেন, "উপনির্বাচনে ভোট বেশি পড়েছে ঠিকই । কিন্তু তা প্রতিষ্ঠান বিরোধী কি না, ফলাফলের আগেই তা বলা যাবে না ।" পাশাপাশি আজকের উপনির্বাচনে কংগ্রেস নেতার নিশানায় ছিল সিন্ডিকেট রাজ ও শাসক শিবিরের সখ্যতাও ৷ তিনি বলেন, " দিদির রাজ্যে সিন্ডিকেটের ভাইরা কীভাবে ভোট করিয়েছে, তার উপর সব নির্ভর করবে। যে দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এল, তারা এভাবে সন্ত্রাস করছে। এটা মানা যায় না। হলদিয়ায় ওরা এইভাবে ভোট করেছিল। আজও ওরা সন্ত্রাস করে ভোট করল। এটা কি গণতন্ত্র?"
রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দাবি করার পরেও উপনির্বাচনে সন্ত্রাস কেন?
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোমেন বলেন, "রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে । তবে সে উন্নয়ন সিন্ডিকেটের উন্নয়ন । দিদির ভাইদের উন্নয়ন ।" করিমপুরে BJP প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মারা প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন প্রদেশ সভাপতি ৷ সমাবেশ শেষে তিনি বলেন, "রাজ্য রাজনীতিতে এই সংস্কৃতি ছিল না । 2011 সালের পর তৃণমূল এই সংস্কৃতি চালু করেছে । করিমপুরের ঘটনাকে সমর্থন করা যায় না ।" পাশাপাশি বিধাননগরে 'আহারে বাংলা' কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "বিধাননগরে আহারে বাংলা চলছে । তার পাশেই শিক্ষকরা না খেয়ে পড়ে রয়েছেন । আহারে বাংলা সুন্দরবনে করতে পারত না?"
বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে কংগ্রেসের NRC বিরোধী এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজি আব্দুল রহিম দিলু-সহ অন্যান্য নেতারা । সমাবেশ থেকে মুখ খোলেন মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রসঙ্গেও ৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, "রাতের বেলা কাজ করে চোরেরা । মোদি-অমিত শাহরা রাতের অন্ধকারে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে । ওরা রাতের জীব । আমরা কিছু কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের শর্তে শিবসেনাকে সমর্থন করছি । সেটা মোটেও দ্বিচারিতা নয় ।"