বরানগর, 21 মে : পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ণ হল উত্তর 24 পরগনার বরানগর এলাকায় । ওই এলাকার রেশন ডিলার 35 জনের বাড়িতে বরাদ্দ খাদ্যদ্রব্য প্যাকেট করে পৌঁছে দিলেন । একইসঙ্গে ই-পাস মেশিনের সাহায্যে তাঁদের রেশন কার্ডের তথ্য নথিভুক্তও করেছেন । মধ্য কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট ও দক্ষিণ কলকাতার অলিপুরেও এই প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে চালু হল ।
এই দু’জায়গাতেই 15 জনের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে রেশন সামগ্রী । তবে দক্ষিণ কলকাতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফেয়ারপ্রাইজ শপের মালিক । বহু সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক তাঁর পিছু নেওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়ে ফিরে আসেন ওই ডিলার । অনেক জায়গায় এই প্রকল্পের প্রচারের জন্য ক্যাম্প করেছেন ডিলাররা । সেই ক্যাম্প থেকেই রেশন সামগ্রী দেওয়া হয় ৷ মঙ্গলবার দুয়ারে রেশন নিয়ে খাদ্যভবনের বৈঠকে খাদ্যসচিব স্পষ্টভাষায় বলে দিয়েছিলেন, দুয়ারে রেশনের অর্থ রেশন সামগ্রী সরাসরি মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়া । ক্যাম্প করে রেশন দেওয়ায় সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : নারদ মামলার শুনানিতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন হাইকোর্টের
সর্বভারতীয় ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সভাপতি বিশ্বম্ভর বসু এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এই ছবি অবশ্যই দুয়ারে রেশন নামের সঙ্গে সাযুজ্য নয় । 22টি জেলায় মোট 28টি দোকানে আজ এই প্রকল্প চালু হয়েছে ।’’ পরীক্ষামূলকভাবে হলেও এই প্রকল্প যাতে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চালু না হয় তার জন্য আবেদন জানিয়েছে ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন । তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে এই দুয়ারে রেশন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । সেকথা মাথায় রেখেই পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প চালু হল । এবার এই প্রকল্পের প্রাপকদের থেকে ফিডব্যাক নিয়ে আগামী সোমবার একটা পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে । ওই বৈঠক থেকেই আগামীতে এই প্রকল্প কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তার রূপরেখা তৈরি করবে খাদ্য দফতর ।