বরাসত, 8 অগাস্ট : বারাসত স্টেডিয়ামের সেফ হোমে সাপের উপদ্রব ৷ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ করছেন রোগীরা ৷ যদিও তাদের অভিযোগ কার্যত মেনে নিলেন রাজ্য সরকারের গঠিত কোভিড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্রটোকল মনিটরিং কমিটি ৷ আজ দুপুরে চিকিৎসক বিবর্তন সাহার নেতৃত্বে কমিটির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বারাসত স্টেডিয়ামের সেফ হোমে পরিদর্শন করতে আসেন ৷ সেখানে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন তাঁরা ৷ কথা বলেন সেফ হোমে থাকা আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গেও ৷ সেই সময় সেফ হোমের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ কমিটির সদস্যদের বলেন রোগীরা ৷ যদিও সবকিছু 100 শতাংশ ঠিকঠাক হওয়া সম্ভব নয় বলে সাফাই দিয়েছেন কমিটির অন্যতম সদস্য ও চিকিৎসক বিবর্তন সাহা ৷
এই বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সেফ হোমে আক্রান্ত রোগীদের কিছু অসুবিধে ও দাবিদাওয়া নথিভুক্ত করা হয়েছে ৷ সেগুলো যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ আশা করছি সেগুলোর সুরাহা নিশ্চয় হবে ৷’’ সাপের উপদ্রবের অভিযোগ প্রসঙ্গে চিকিৎসক বিবর্তন সাহা বলেন, ‘‘এতবড় স্টেডিয়ামের ঝোপঝাড়ে সাপের উপদ্রব যে একেবারে নেই, তা অস্বীকার করা যায় না ৷ তবে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শুনেছি এরকম কোনও সাপ খুঁজে পায়নি ৷ তারপরও যদি বিষয়টি নিয়ে কারওর ক্ষোভ থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই তা পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে ৷ তাঁরা নিশ্চয় এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন ৷’’ এসবের মধ্যেও সেফ হোমের ব্যবস্থাপনায় যে তাঁরা যথেষ্ট খুশি তার প্রশংসা করতেও ভোলেননি কোভিড ম্যানেজমেন্ট এন্ড প্রটোকল মনিটরিং কমিটির সদস্যরা ৷
চিকিৎসক বিবর্তন সাহা আরও বলেন, ‘‘এখানে খাওয়া দাওয়া থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো ৷ পৌরসভার তত্বাবধানে এই ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা ৷ ’’ কথা বলার সময় এই নিয়ে তাঁরা সন্তোষও প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি ৷ বারাসত স্টেডিয়ামে সেফ হোম চালু হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রশংসা করেছেন চিকিৎসক বিবর্তন সাহা ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কোরোনা মহামারি একটি নতুন অসুখ ৷ এর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে ৷ তার মধ্যেও রাজ্য সরকারের সীমিত ক্ষমতায় বারাসত স্টেডিয়াম যে সেফ হোম হতে পারে তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছি আমরা ৷ তাই একটা কথাই বলব কোরোনা হারবে বাংলা জিতবে ৷’’
কমিটির অপর এক সদস্য বলেন, ‘‘বারাসত স্টেডিয়ামের সেফ হোম নিয়ে কিছু অভিযোগ হয়তো আছে ৷ কিন্তু সদিচ্ছার অভাব নেই ৷ যে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব ও দরকার রয়েছে, সেগুলো স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে পূরণ করার চেষ্টা করা হবে ৷ এখানে 22 জন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে সাতজন বাড়ি চলে গিয়েছে ৷ আজ আরও দু'জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে ৷’’