সন্দেশখালি, 10 জুন : সংঘর্ষ, গুলি, মৃত্যু । শনিবার বিকেলে আচমকা গুলির শব্দটা এখনও কানে বাজছে । পেরিয়ে গেছে প্রায় 48 ঘণ্টা । তবু থমথমে পরিবেশ থেকে বেরোতে পারেনি গোটা এলাকা । কারা যেন বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে । সন্দেশখালির হাওয়ায় ভাসছে আতঙ্ক ।
শনিবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি । গুলি, সংঘর্ষে মৃত্যু হয় 3 জনের । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বসে পুলিশ পিকেট । কিন্তু, এরই মধ্যে মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে আসা নিয়ে নতুন করে শুরু হয় গন্ডগোল । বচসায় জড়ায় পুলিশ-BJP । শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের চাপে মৃতদেহ সন্দেশখালিতে দাহ করা হলেও, রাজ্যে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ তুলে কালা দিবসের ডাক দেয় রাজ্য BJP ।
এই সংক্রান্ত খবর : বাংলার পরিস্থিতি কী ? প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানালেন রাজ্যপাল
একদিকে BJP-র কালা দিবস পালন । অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদলের অনমনীয় মনোভাব । দু'য়ে মিলে শনিবারের ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সন্দেশখালি । শনিবার ফাঁকা হয়ে যাওয়া বাজার-হাট এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি । ভেড়ির ধারের রাস্তাটা মধ্যরাতের মতোই নিস্তব্ধ ।
এই সংক্রান্ত খবর : উত্তপ্ত সন্দেশখালি, জেলায় জেলায় রাস্তা অবরোধ BJP-র
সেদিন ছিল জামাইষষ্ঠী । এরই মধ্যে দু'দিন কেটে গেলেও গ্রামের বাইরে যাওয়া যুবকরা আজও ফিরতে পারেননি । কারা যেন নিশুতি রাতে ছড়িয়ে দিচ্ছে আতঙ্ক । হুমকি দেওয়া হচ্ছে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার ।
এই সংক্রান্ত খবর : পাঁচমাস আগেই বিয়ে হয়েছিল, এক বুলেটেই স্বপ্ন শেষ
রাজনৈতিক সংঘর্ষে কেউ হারিয়েছেন স্বামীকে কেউবা হারিয়েছেন ভাই । অনেকে জানেনই না তাঁর নিকট আত্মীয় ঠিক কোথায় রয়েছেন । সেদিনের সংঘর্ষের পর থেকে নিখোঁজ BJP কর্মী দেবদাস মণ্ডল । গুলির শব্দ, চাপচাপ রক্ত দেখে নিখোঁজ ভাইকে পাওয়ার আশা ত্যাগ করেছেন দেবদাসের দাদা নিমাই মণ্ডল। তিনি বললেন...
এলাকাটা শান্তই ছিল । কোনও কিছু নয়, হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে গ্রামের বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেগুলোকে গুলি করে দিল । প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে বলছি, আমার ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে দিন ।
এই সংক্রান্ত খবর : একরাতেই সন্দেশখালিতে শ্মশানের নিস্তব্ধতা !
ক্রমাগত দেওয়া হচ্ছে হুমকি । হাওয়ায় ভাসছে আতঙ্ক । তবু ঘর ছাড়তে নারাজ ওরা । দেবদাসের দাদার কথায়, "কাছের মানুষটা যখন মরে গেছে, তখন আমাকেও নয় মেরে দিয়ে যাবে । গ্রাম ছেড়ে যাব না ।"
এই সংক্রান্ত খবর : দেহ আনা গেল না কলকাতায়, সন্দেশখালিতেই সৎকার