স্বরূপনগর, 1 ফেব্রুয়ারি : সরষে খেতের ভিতর থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ কিশোরের দেহ । মৃতের নাম রকি গাইন (15) । ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনার স্বরূপনগর থানার মল্লিকপুরের ।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বালতি গ্রামে বাড়ি রকির । সে স্থানীয় একটি স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ত । বুধবার তাদের বাড়িতে সরস্বতী পুজো হয়েছিল । সেদিন বিকেলে জ্যাঠতুতো দাদা রবিশংকর গাইনের সঙ্গে রকি পুজোর প্রসাদ বিলি করেছিল । তারপর দাদার সঙ্গে সন্ধেবেলা পাশের মল্লিকপুরে জেঠুর বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় । তারপর থেকে রকি ও রবিশংকর নিখোঁজ হয়ে যায় ।
শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মল্লিকপুর গ্রামের বল্লির বিলের পাশে সরষে খেতের ভিতরে রকির দেহ পাওয়া যায় । রবিশংকরের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । বন্ধু-বান্ধবী ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেও দু'দিন তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । গতকাল বিকেল চারটে নাগাদ চাষিরা এক কিশোরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন । খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে । বাড়ির লোকেরা রকির দেহ শনাক্ত করেন । মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের পরিবারের মেয়ে শিউলির তেঁতুলিয়া গ্রামে বিয়ে হয়েছিল । সম্প্রতি সেই বিয়ে ভেঙে গেছে । মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল । শিউলির শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই পরিকল্পনা করে রকিকে খুন করেছে বলে অভিযোগ । স্বরূপনগর থানায় রকির পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে । নিখোঁজ রবিশংকরের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে । পুলিশ ইতিমধ্যে শিউলি শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।
মৃত রকির বাবা প্রকাশ গাইন বলেন, "ছেলে সারাদিন সরস্বতী পুজো নিয়ে ব্যস্ত ছিল । সন্ধেবেলা জেঠুর বাড়ি যাবে বলে দাদার সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল । তারপর আর ফেরেনি । আমাদের অনুমান মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই ওকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।"