বসিরহাট, 9 ডিসেম্বর: রেললাইনে ফোনে কথা বলাই হল কাল! রেললাইন ধরে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলার জেরে আপ শিয়ালদা-হাসনাবাদ লোকালের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শিক্ষকের। মৃত ওই শিক্ষকের নাম বঙ্কিম মিস্ত্রি। বয়স 53। শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদ শাখার মালতীপুর ও কাঁকড়া মির্জানগর হল্ট স্টেশনের মাঝে। খবর পেয়ে বসিরহাট জিআরপি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত ওই প্রাথমিক শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বারাসত রেল পুলিশ মর্গে।
ঘটনার জেরে সাময়িক ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। যদিও মৃতদেহ উদ্ধারের পর শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখায় পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বঙ্কিম মিস্ত্রির বাড়ি বসিরহাটের ন্যাজাট থানার সেহেরা অঞ্চলে। তিনি সেখানকার একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন। তাঁর ছেলে থাকেন কলকাতায়। এদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানেই যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রেন ধরার জন্য হাঁটছিলেন রেললাইনের ধার বরাবর। তখনই ঘটে এই বিপত্তি!
ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন রেললাইন থেকে বেশ খানিকটা দূরে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকে তাঁর দেহ। এরপর স্থানীয়দের নজরে আসে বিষয়টি। খবর দেওয়া হয় বসিরহাট জিআরপি'তে। শেষমেশ তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে তা পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, "ওই ব্যক্তি রেললাইন ধার দিয়ে হেঁটে ফোনে কথা বলতে বলতে যাচ্ছিলেন। তখনই আপ শিয়ালদা-হাসনাবাদ লোকাল চলে আসে তাঁর সামনে। লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।"
প্রসঙ্গত, কানে ফোন দিয়ে কিংবা মোবাইল ফোন কানে দিয়ে কথা বলার সময় রেল দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়! আগেও এই ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। এনিয়ে রেলের তরফে সতর্কতা করা হলেও একশ্রেণির মানুষের যে হুঁশ ফিরছে না তা আজ ফের স্পষ্ট হল এই দুর্ঘটনা থেকে। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে অসাবধানতাবশতকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট মহল ৷
আরও পড়ুন: