ETV Bharat / state

Ichamati Immersion: প্রথা মেনে ইছামতিতে বিসর্জন টাকি রাজবাড়ির দুর্গা প্রতিমার

author img

By

Published : Oct 5, 2022, 6:40 PM IST

ইছামতিতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের শতাব্দী প্রাচীন রেওয়াজ । প্রথা মেনে আজও প্রতিমা নিরঞ্জন হল টাকি রাজবাড়ির (Taki Rajbari Immersion) ৷

Ichamati Immersion
ইছামতিতে বিসর্জন টাকি রাজবাড়ির দুর্গা প্রতিমার

টাকি, 5 অক্টোবর: চিরাচরিত প্রথা মেনে আজও শতাব্দী প্রাচীন টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে আসছে । যার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারও । দশমীর সকালে মা দুর্গাকে প্রথমে বরণ করা হয় এখানে (Taki Rajbari Immersion) । এরপর ঠাকুর দালানে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন রাজবাড়ির মহিলারা । নিয়ম মেনে আজও টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনে কোনও যানবাহনের ব্যবহার হয় না । কাঁধে করেই জলের দিকে নিয়ে যাওয়া প্রতিমাকে । সেই রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য এখনও বহন করে চলেছেন রাজবাড়ির বর্তমান বংশধররা । প্রতিমা নিরঞ্জনের পর ঠাকুর দালানে বসে সকলে মিলে পান্তা ভাত, কচু শাক, আলু সিদ্ধ, আলু ভাজা ও মিষ্টি খেয়ে থাকেন । পঞ্জিকা মতে সকাল এগারোটার মধ্যে টাকি রাজবাড়ি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে ইছামতিতে ।

রাজবাড়ির সদস্য শর্মিষ্ঠা ঘোষ বলেন, "গত পাঁচ বছর ধরে এই পুজোর দায়িত্ব আমাদের হাতে এসেছে । তখন থেকেই নিয়ম নিষ্ঠা এবং সমস্ত উপাচার মেনে পুজো হয়ে আসছে টাকি রাজবাড়িতে । আজ দশমী । মাকে বিদায়ের দিন । যার ফলে সকলের মন ভারাক্রান্ত । সকালে মা দুর্গাকে বিধি মেনে পুজো করা হয়েছে । যেহেতু পঞ্জিকা অনুযায়ী সকাল এগারোটার মধ্যে মাকে ভাসান দিতে হবে । সেহেতু ষোড়শ প্রচারে পুজো না করে অষ্ট প্রচারে পুজো করা হয়েছে । ভোগে মাকে নিবেদন করা হয়েছে পান্তা ভাত ও কচু শাক । এছাড়া ভোগ আরতি, যাত্রামঙ্গল পাঠ এবং মায়ের তর্পণ বিসর্জন হয়েছে । 24 জন বেয়ারার কাঁধে চেপে মাকে রাজবাড়ির ঘাটে নিয়ে গিয়ে নিরঞ্জন করা হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: প্রথা মেনে শূকর বলি দিয়ে যমুনা দিঘিতে বিসর্জন হল বড়দেবীর

এদিকে, প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে টাকির ইছামতি নদীতে সকাল থেকেই তুমুল ব‍্যস্ততা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে । চলছে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারিও । ইছামতির মাঝ বরাবর লক্ষণ রেখা টেনে দিয়ে দুই দেশের প্রতিমা বিসর্জন হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে । যার অন‍্যথা হয়নি এবছরও ।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ইছামতিতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের শতাব্দী প্রাচীন রেওয়াজ । ভৌগলিক বিভাজন ভুলিয়ে দিয়ে দুই দেশের মানুষকে এক করে দেয় এই দিনটা । এই নিরঞ্জনকে ঘিরে একেবারে অন‍্যরকম আবেগ এবং অনুভূতি কাজ করে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মানুষের । যেহেতু বিসর্জনের সাক্ষী থাকতে বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন টাকিতে । সেহেতু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয় বিএসএফ এবং বিজিবি-র তরফে । তৎপর থাকেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও ।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এপারের প্রতিমা ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে বিসর্জন হয়ে থাকে । অন‍্যদিকে, ওপারের প্রতিমা বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে ভাসান হয়ে থাকে । চিরাচরিত এই রীতি বজায় রাখতে ইছামতিতে স্পিড বোর্ডে করে সীমানা বরাবর চক্কর দেয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ।

টাকি, 5 অক্টোবর: চিরাচরিত প্রথা মেনে আজও শতাব্দী প্রাচীন টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে আসছে । যার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারও । দশমীর সকালে মা দুর্গাকে প্রথমে বরণ করা হয় এখানে (Taki Rajbari Immersion) । এরপর ঠাকুর দালানে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন রাজবাড়ির মহিলারা । নিয়ম মেনে আজও টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনে কোনও যানবাহনের ব্যবহার হয় না । কাঁধে করেই জলের দিকে নিয়ে যাওয়া প্রতিমাকে । সেই রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য এখনও বহন করে চলেছেন রাজবাড়ির বর্তমান বংশধররা । প্রতিমা নিরঞ্জনের পর ঠাকুর দালানে বসে সকলে মিলে পান্তা ভাত, কচু শাক, আলু সিদ্ধ, আলু ভাজা ও মিষ্টি খেয়ে থাকেন । পঞ্জিকা মতে সকাল এগারোটার মধ্যে টাকি রাজবাড়ি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে ইছামতিতে ।

রাজবাড়ির সদস্য শর্মিষ্ঠা ঘোষ বলেন, "গত পাঁচ বছর ধরে এই পুজোর দায়িত্ব আমাদের হাতে এসেছে । তখন থেকেই নিয়ম নিষ্ঠা এবং সমস্ত উপাচার মেনে পুজো হয়ে আসছে টাকি রাজবাড়িতে । আজ দশমী । মাকে বিদায়ের দিন । যার ফলে সকলের মন ভারাক্রান্ত । সকালে মা দুর্গাকে বিধি মেনে পুজো করা হয়েছে । যেহেতু পঞ্জিকা অনুযায়ী সকাল এগারোটার মধ্যে মাকে ভাসান দিতে হবে । সেহেতু ষোড়শ প্রচারে পুজো না করে অষ্ট প্রচারে পুজো করা হয়েছে । ভোগে মাকে নিবেদন করা হয়েছে পান্তা ভাত ও কচু শাক । এছাড়া ভোগ আরতি, যাত্রামঙ্গল পাঠ এবং মায়ের তর্পণ বিসর্জন হয়েছে । 24 জন বেয়ারার কাঁধে চেপে মাকে রাজবাড়ির ঘাটে নিয়ে গিয়ে নিরঞ্জন করা হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: প্রথা মেনে শূকর বলি দিয়ে যমুনা দিঘিতে বিসর্জন হল বড়দেবীর

এদিকে, প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে টাকির ইছামতি নদীতে সকাল থেকেই তুমুল ব‍্যস্ততা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে । চলছে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারিও । ইছামতির মাঝ বরাবর লক্ষণ রেখা টেনে দিয়ে দুই দেশের প্রতিমা বিসর্জন হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে । যার অন‍্যথা হয়নি এবছরও ।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ইছামতিতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের শতাব্দী প্রাচীন রেওয়াজ । ভৌগলিক বিভাজন ভুলিয়ে দিয়ে দুই দেশের মানুষকে এক করে দেয় এই দিনটা । এই নিরঞ্জনকে ঘিরে একেবারে অন‍্যরকম আবেগ এবং অনুভূতি কাজ করে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মানুষের । যেহেতু বিসর্জনের সাক্ষী থাকতে বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন টাকিতে । সেহেতু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয় বিএসএফ এবং বিজিবি-র তরফে । তৎপর থাকেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও ।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এপারের প্রতিমা ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে বিসর্জন হয়ে থাকে । অন‍্যদিকে, ওপারের প্রতিমা বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে ভাসান হয়ে থাকে । চিরাচরিত এই রীতি বজায় রাখতে ইছামতিতে স্পিড বোর্ডে করে সীমানা বরাবর চক্কর দেয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.