বারাসত ও কলকাতা : কলেজে ভরতির মেধা তালিকা বিভ্রাট ! শিরোনামে সেই সানি লিওন । এ বার সঙ্গে আরও তিন-চারটি নাম । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বারাসত সরকারি কলেজ ।
আশুতোষ-বজবজের পর এবার বারাসত । আশুতোষের মতো এখানেও ইংরাজি অর্নাসের মেধা তালিকায় রয়েছে সানি লিওনের নাম । সঙ্গে মিয়া খালিফা, ড্যানি ড্যানিয়েলস, জনি সিনসের মতো তারকার নামও রয়েছে তালিকায় । সোশাল মিডিয়ায় সেই তালিকা ভাইরাল হতেই গুঞ্জন শুরু । যদিও কলেজের দাবি, মেরিট লিস্ট ভুয়ো । কলেজের প্রভিশনাল মেরিট লিস্টের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া লিস্টের কোনও মিল নেই বলেও দাবি তাদের । কলেজের বদনাম করতেই চক্রান্ত করে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে, এমন দাবিও করা হচ্ছে । ঘটনার তদন্ত চেয়ে বারাসত থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে । পাশাপাশি, তালিকা-বিভ্রাট নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে আশুতোষ কলেজ কর্তৃপক্ষও ।
বিতর্কের শুরু দিন দু'য়েক আগে । প্রথমে আশুতোষ কলেজের ইংরেজি অনার্সের জন্য আবেদন সানি লিওনের! তারপরই বজবজ কলেজের বাংলা অনার্সের জন্য আবেদন! সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বারাসত সরকারি কলেজে ইংরেজি অনার্সের মেধা তালিকায় সানি লিওনের নাম! আরও তিন তারকার নাম রয়েছে প্রথম সারিতে । ভাইরাল হওয়া তালিকায় দেখা যাচ্ছে একেবারে তিন নম্বরে নাম রয়েছে সানি লিওনে-র নাম । প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ নাম যথাক্রমে ড্যানি ড্যানিয়েলস, মিয়া খালিফা ও জনি সিনসের । তবে, কলেজের তরফে যে প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট অনলাইনে প্রকাশ হয়েছে তাতে প্রথম নাম রয়েছে জিৎ হালদারের । দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ নাম যথাক্রমে মেধালক্ষ্মী আচার্য, রীতেশ মণ্ডল ও অঙ্কুশ বিশ্বাসের ।
বিষয়টি নিয়ে TMCP-র বারাসত কলেজের ইউনিট সভাপতি ও কলেজ পড়ুয়া কৌশিক কর্মকার বলেন,"কলেজকে কালিমালিপ্ত করতেই কেউ ভুয়ো তালিকা তৈরি করে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে । আমরা পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছি ।" কলেজের অধ্যক্ষ দেবেশ রায় বলেন,"ওই তালিকা সম্পূর্ণ ভুয়ো । পুলিশের কাছে তদন্তে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে ।" বারাসত পুলিশ জানিয়েছে,অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ।
মেধা তালিকায় এই বিভ্রাটের কারণ কী?
রাজ্যের শিক্ষক মহলের একাংশের মন্তব্য, ভরতির খরচ মকুব করা হয়েছে । এটা তারই ফল । অধ্যাপক শান্তনু বসু বলেন, "আশ্চর্যের কিছু নেই । চলতি মাসের 10 তারিখ থেকে 13 তারিখ পর্যন্ত ভরতির জন্য টাকা লেগেছে । 13 তারিখ সিদ্ধান্তের পর ভরতির খরচ মকুব করে দেওয়ায় কলেজে কলেজে আবেদনের সংখ্যা পাহাড়প্রমাণ বেড়ে গিয়েছে । 39 বার একজন ব্যক্তি আবেদন করেছেন । পুরো বিষয়টা নিখরচায় হওয়ায় এই বিভ্রাট ঘটেছে । তৃতীয় সংস্থাকে অনলাইনের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়ায় এই সমস্যা, বলছেন শান্তনু বসু ।