সল্টলেক, 12 জানুয়ারি: "জাকির হোসেন এবার ফকির হোসেন হয়ে যাবেন !" বৃহস্পতিবার কলকাতা লাগোয়া উত্তর 24 পরগনার কেষ্টপুরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar slams Jakir Hossain) ৷ উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি-সহ তাঁর একাধিক সম্পত্তিতে অভিযান চালিয়েছে আয়কর বিভাগ (IT Raid) ৷ তার জেরে সব মিলিয়ে প্রায় 15 কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে শুধুমাত্র জাকিরের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় 11 কোটি টাকা ৷ আপাতত সেই ঘটনা নিয়েই সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷
এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কোনও ব্যবসায়ী, বা যে কেউ টাকা রাখতেই পারেন ৷ কিন্তু, সেই টাকার উৎস কী, তা আয়কর বিভাগকে তো জানাতেই হবে ৷ আয়কর সময় মতো জমা করতে হবে ৷ যদি তা না হয়, তাহলে বেআইনিভাবে টাকা মজুত করে রাখার জন্য জরিমানা দিতে হবে ৷ সুকান্তর কটাক্ষ, জাকিরের যা অবস্থা, তাতে হয়তো এই জরিমানা দিতে গিয়েই ফতুর হয়ে যাবেন তিনি ! তখন আর তাঁর নাম জাকির হোসেন থাকবেন না, ফকির হোসেন হয় যাবে !
আরও পড়ুন: জাকির বড় ব্যবসায়ী, তবে টাকার হিসেব তাঁকেই দিতে হবে ! সাবধানী বার্তা তৃণমূলের
সূত্রের দাবি, জাকির হোসেনের চালকল থেকেও নাকি মোটা অঙ্কের নগদ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সেই ঘটনায় জাকিরের দাবি, সেখানে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ অর্থ রাখা হয়েছিল ৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পালটা প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত ৷ তাঁর বক্তব্য, কৃষকের জন্য বরাদ্দ টাকা একজন বিধায়কের কাছ কেন থাকবে ? তাছাড়া, সেই টাকা নগদেই বা রাখা হবে কেন ? কৃষকের জন্য বরাদ্দ সরকারি অনুদান এবং অন্য়ান্য সাহায্য তো সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্য়াকাউন্টে যাওয়ার কথা ! আর তাই জাকিরের সাফাইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত ৷
উল্লেখ্য, এদিন ছিল স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবের 160তম বর্ষপূর্তি ৷ সেই উপলক্ষে কেষ্টপুরে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয় ৷ সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই এদিন কেষ্টপুরে আসেন সুকান্ত ৷ তখনই তাঁকে জাকির হোসেনের বাড়িতে আয়কর অভিযান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় ৷