নিউটাউন, 24 মে : মঙ্গলবার নিউটাউনে ছিল রাজ্য বিজেপি বৈঠক ৷ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ বৈঠক শেষে সৌমিত্র খাঁ-এর বাংলা ভাগ নিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত দলের মতামত আগেই স্পষ্ট করা হয়েছে (Sukanta and Suvendu on Saumitra Khan Statement) ৷ সোমবার সৌমিত্র খাঁ বাঁকুড়ায় মন্তব্য করেন জঙ্গলমহল, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম-সহ বর্ধমান অর্থাৎ রাঢ় অঞ্চলের জেলাগুলিকে 'রাঢ় বাংলা' করতে হবে ৷
সুকান্ত বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পূর্ব-পাকিস্তান থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এসে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গকে তৈরি করেছিলেন তা আমরা সেভাবেই দেখতে চাই। তবে এটা ঠিক আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত উন্নয়ন কলকাতা এবং তার আশপাশের 30 কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সে জন্য রাজ্যের বহু মানুষ বঞ্চিত। সেই বঞ্চনা থেকেই এ ধরনের স্বর শোনা যায়।"
আরও পড়ুন : বিধায়ক-সাংসদদের দলবদল আটকাতে শুভেন্দু-সুকান্তকে বিশেষ দায়িত্ব বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, জিটিএ নির্বাচন নিয়ে। তিনি তখন বলেন, "আমরা মনে করি জিটিএ পাহাড়ের সমস্যার সমাধান নয় পাহাড়ের সমস্যার সমাধান করতে গেলে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ৷ সেখানকার মানুষদের ঠিক করা উচিত কোনটা ঠিক কোনটা ভুল ৷ বিমল গুরুঙ্গও কিছুদিন আগে বলেছিলেন জিটিএ সমস্যার সমাধান নয়। শুধুমাত্র সরকারি কোষাগার থেকে কিছু লোককে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য জনগণের ট্যাক্সের টাকা তছরুপ করার জন্য জিটিএর মত তৈরি করা হয়েছে। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছি। কারণ হাইকোর্ট থেকে যে রায় আমরা পেয়েছি তাতে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল। আমরা উচ্চতর আদালতে যাওয়া যায় কি না, সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছি। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
পরেশ অধিকারীর বিষয়ে তিনি বলেন, "চুরি করে নিজের মেয়ের চাকরি নিয়েছেন এবং এই বিষয়ে তিনি খুব দক্ষ। বামফ্রন্টের আমলে তিনি যখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন সে সময় বাড়ির তিন ভাইকে চাকরি দিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই খাদ্য দফতরে চাকরি করেন। এখন মেয়েকে দিয়েছেন ৷ তৃণমূল ছাড়া এমন লোককে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সম্বর্ধনা না দিয়ে বই দেওয়া হলে ভাল হত। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মতো কোনও রাজ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী টুয়েলভ পাশ এটা শুনতে খারাপ লাগে। রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে বইটই দেওয়া উচিত। যাতে অন্তত গ্রাজুয়েশনটা হয়।"
আরও পড়ুন : সিবিআই নিয়ে চিন্তা নেই, দল পাশে আছে; মেখলিগঞ্জে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা পরেশের