ETV Bharat / state

ব্যাটের ডান্ডা গেঁথেছিল কপালে, সফল অস্ত্রোপচারে প্রাণে বাঁচল কিশোর - Barasat

আপাতাত ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে ওই কিশোর । এখন সে পুরোপুরি সুস্থ । শীঘ্রই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে হাসপাতাল থেকে ।

Injured boy
Injured boy
author img

By

Published : Oct 2, 2020, 1:41 PM IST

বারাসত, 2 অক্টোবর : সফল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল 13 বছরের কিশোর শেখ ফারহান জুনায়েদের । খেলতে গিয়ে ব্যাটের ডান্ডা ভেদ করে হাফ ইঞ্চি গেঁথে গিয়েছিল কিশোরের কপালে । চোখের উপরে এমনভাবে গেঁথেছিল যে দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা ছিল । এমনকী প্রাণ সংশয়ও হতে পারত । তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে ওই কিশোরের কপালে গেঁথে থাকা ডান্ডা নিখুঁতভাবে বের করলেন মধ্যমগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা । আপাতাত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে ওই কিশোর । এখন সে পুরোপুরি সুস্থ । শীঘ্রই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে হাসপাতাল থেকে ।

বারাসত পৌরসভার 18 নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়ায় বাড়ি শেখ ফারহান জুনায়েদের । তার বাবা শেখ আবদুল মাসুদ সরকারি কন্ট্রাকটর । মা নুর জাহান খাতুন সরকারি কর্মী । বাড়ির কাছে একটি জায়গায় ক্রিকেট খেলছিল ফারহান । খেলার সময় আচমকাই হাত থেকে ব্যাট ফসকে যায় অন্য এক কিশোরের । ব্যাটের ডান্ডা খুলে গেঁথে যায় জুনায়েদের কপালে। প্রায় হাফ ইঞ্চি কাঠের ডান্ডা ভেদ করে ঢুকে যায় তার চোখের ঠিক ওপরে । স্থানীয়রা ওই কিশোরকে প্রথমে নিয়ে যায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে । কিন্তু সেখানে থেকে পরামর্শ দেওয়া হয় অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার । এরপরই মধ্যমগ্রামের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জখম কিশোরকে । খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে চলে আসেন কিশোরের বাবা ও মা । তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ওই কিশোরের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক মনোরঞ্জন জেনা । দেড় ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারে নতুন জীবন ফিরে পায় শেখ ফারহান জুনায়েদ ।

এই বিষয়ে কিশোরের বাবা শেখ আবদুল মাসুদ বলেন, "চিকিৎসকদের জন্যই আজ আমার ছেলে নতুন জীবন ফিরে পেল । ব্যাটের ডান্ডা কপাল ভেদ করে এমনভাবে গেঁথেছিল যে ছেলের জীবনহানিও হতে পারত । দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারত ছেলে । তাই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমার কাছে ভগবান ।"

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক মনোরঞ্জন জেনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "অস্ত্রোপচার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল । তা সত্ত্বেও সফল অস্ত্রোপচার করে কিশোরকে নতুন জীবন দিতে পারায় ভালো লাগছে । ওই কিশোরকে শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে ।"

বারাসত, 2 অক্টোবর : সফল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল 13 বছরের কিশোর শেখ ফারহান জুনায়েদের । খেলতে গিয়ে ব্যাটের ডান্ডা ভেদ করে হাফ ইঞ্চি গেঁথে গিয়েছিল কিশোরের কপালে । চোখের উপরে এমনভাবে গেঁথেছিল যে দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা ছিল । এমনকী প্রাণ সংশয়ও হতে পারত । তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে ওই কিশোরের কপালে গেঁথে থাকা ডান্ডা নিখুঁতভাবে বের করলেন মধ্যমগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা । আপাতাত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে ওই কিশোর । এখন সে পুরোপুরি সুস্থ । শীঘ্রই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে হাসপাতাল থেকে ।

বারাসত পৌরসভার 18 নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়ায় বাড়ি শেখ ফারহান জুনায়েদের । তার বাবা শেখ আবদুল মাসুদ সরকারি কন্ট্রাকটর । মা নুর জাহান খাতুন সরকারি কর্মী । বাড়ির কাছে একটি জায়গায় ক্রিকেট খেলছিল ফারহান । খেলার সময় আচমকাই হাত থেকে ব্যাট ফসকে যায় অন্য এক কিশোরের । ব্যাটের ডান্ডা খুলে গেঁথে যায় জুনায়েদের কপালে। প্রায় হাফ ইঞ্চি কাঠের ডান্ডা ভেদ করে ঢুকে যায় তার চোখের ঠিক ওপরে । স্থানীয়রা ওই কিশোরকে প্রথমে নিয়ে যায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে । কিন্তু সেখানে থেকে পরামর্শ দেওয়া হয় অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার । এরপরই মধ্যমগ্রামের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জখম কিশোরকে । খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে চলে আসেন কিশোরের বাবা ও মা । তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ওই কিশোরের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক মনোরঞ্জন জেনা । দেড় ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারে নতুন জীবন ফিরে পায় শেখ ফারহান জুনায়েদ ।

এই বিষয়ে কিশোরের বাবা শেখ আবদুল মাসুদ বলেন, "চিকিৎসকদের জন্যই আজ আমার ছেলে নতুন জীবন ফিরে পেল । ব্যাটের ডান্ডা কপাল ভেদ করে এমনভাবে গেঁথেছিল যে ছেলের জীবনহানিও হতে পারত । দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারত ছেলে । তাই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমার কাছে ভগবান ।"

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক মনোরঞ্জন জেনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "অস্ত্রোপচার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল । তা সত্ত্বেও সফল অস্ত্রোপচার করে কিশোরকে নতুন জীবন দিতে পারায় ভালো লাগছে । ওই কিশোরকে শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.