সন্দেশখালি, 12 জানুয়ারি: সন্দেশখালিতে উদ্ধার মেধাবী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Student Dead Body)। মৃত ছাত্রীর নাম রিয়া সর্দার। বয়স 17। ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালির সিতুলিয়া গ্রামে। কী কারণে ওই মেধাবী ছাত্রী এমন কাণ্ড ঘটাল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
মৃতার পরিবারের লোকজনও বুঝে উঠতে পারছেন না কেন সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ! তাহলে কী এর পিছনে কোনও প্রেমঘটিত কারণ নাকি রয়েছে অন্য কোনও রহস্য ? উত্তর খুঁজতে ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকারই একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সে। পড়াশোনায় বরাবরই পরিচিত ভালো ছাত্রী হিসেবে। মা মেনকা সর্দার গৃহবধূ। বাবা স্বপন সর্দারের সামান্য উপার্জনে সংসার চলত তিনজনের পরিবারের।
এদিন সকালে বাড়িতে ছিলেন না রিয়ার বাবা ও মা। বাড়িতে একাই ছিল সে। ফাঁকা বাড়ির সুযোগে সে নিজের ঘরেই নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে আত্মঘাতী হয়। বেশ কিছুক্ষণ বাদে বাড়ি ফিরে এসে দম্পতি লক্ষ্য করেন, রিয়ার ঘরের দরজা বন্ধ। বারবার দরজায় ধাক্কা দিলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না-মেলায় সন্দেহ বাড়ে তাঁদের। এরপর বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দম্পতি। দেখেন, গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে রিয়া। এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: নৈশভোজে নিমন্ত্রিত মা, তার আগেই 'আত্মঘাতী' ছেলের পরিবার
চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি এসে একই দৃশ্য দেখতে পান ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে, সন্দেশখালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহটি। পরে, তা ময়নাতদন্তের (Post-Mortem) জন্য পাঠানো হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে। এই ঘটনায় স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। অন্যদিকে, মেধাবী ওই পড়ুয়ার সঙ্গে কারোর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল কি না, তার জেরেই এই আত্মহত্যা করল রিয়া? তা নিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।