রামপুরহাট, 7 জানুয়ারি: জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক । বীরভূমের রামপুরহাট 1 নং ব্লকের জঙ্গলের ভিতর থাকা পুরনো পরিত্যক্ত একটি ঘরে ওই বিস্ফোরক মজুত ছিল । মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্টের একটি দল সেখানে হানা দেয় । তাতেই 20 হাজার ডিটোনেটর ও 15 হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে বলে খবর ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলা এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সূত্র মারফত খবর পেয়ে এদিন সকালে ফোর্স নিয়ে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া রামপুরহাট 1নং ব্লকের কষ্টগড়া পঞ্চায়েতের হস্তিকাদা এলাকার একটি জঙ্গলে অভিযান চালানো হয় । জঙ্গলের ভিতরে একটি ছোট পরিত্যক্ত ঘরে তল্লাশি চালিয়ে মোট 22টি রোল জিলেটিন স্টিক ও 6 বাক্স ডিটোনেটর উদ্ধার হয় । যার মধ্যে 20 হাজার ডিটোনেটর ও 15 হাজার জিলেটিন স্টিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
ডিএসপি-ডিইবি স্বপন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের অনুমতিতে গোপন খবরের ভিত্তিতে কষ্টগড়া পঞ্চায়েতের হস্তিকাদা এলাকার একটি জঙ্গলে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ । এত পরিমাণে বিস্ফোরক কে, কারা কেন মজুত করা হয়েছিল সেই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে ।
জঙ্গল পেরোলেই প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড । ওই সব এলাকায় বহু পাথর খাদান আছে । এছাড়াও রামপুরহাটে একাধিক পাথর খাদান আছে । এই সব খাদানগুলিতে বেআইনিভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অনেক জায়গায় অবৈধভাবে পাথর কাটার অভিযোগও সামনে আসে । ওইসব ডিটোনেটর ও জিলেটিন স্টিক সেই কাজে ব্যবহারের জন্য বিক্রি হত বলে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়ির দেওয়ালে কালি দিয়ে সাধন কুড়ে ও ভজন কুড়ে, দু'টি নাম লেখা আছে । তাঁরা কারা ? এই বিস্ফোরকের সঙ্গে কী তাঁরা কোনওভাবে জড়িত ? তদন্তে আরও বেশ কিছু নাম সামনে এসেছে । তাঁদের খোঁজও শুরু হয়েছে । সেখান থেকে বিস্ফোরক ঝাড়খণ্ড হয়ে মুর্শিদাবাদে যায় বলেও জানা গিয়েছে ।