হাসনাবাদ, 17 ডিসেম্বর : ছন্দ হারাচ্ছে তৃণমূলের ৷ বিরোধীদের দাবি 'ভাঙন' ধরেছে তৃণমূলে ৷ তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন রাজ্য থেকে জেলার প্রথম সারির নেতারা ৷ যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই পরিস্থিতিতে 'ভাঙন' হাসনাবাদ জেলা তৃণমূলে । তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন জেলা পরিষদের আরও এক কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ় কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার । জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তিনি । আজ দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি ৷ ইটিভি ভারতকে ফোনে তিনি জানিয়েছেন, "আমি দলে ভীষণ অসম্মানিত হচ্ছি । নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও বিচার পাইনি । এই দলে আর থাকা যায় না।"
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের 55 টি আসনে হাসনাবাদ এলাকা থেকে তৃণমূলের হয়ে জয়লাভ করেন বাবু মাস্টার । যদিও 2011 সালের আগে তিনি সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরবর্তীকালে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন । খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি দলে বেশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন । গত লোকসভা নির্বাচনে হাসনাবাদ বিধানসভা এলাকা থেকে নুসরত জাহান 57 হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন । কিন্তু তারপর থেকেই দলে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেন বাবু মাস্টার ।
আরও পড়ুন : সমুদ্র থেকে এক বালতি জল তুলে নিলে কিছু এসে যায় না : ফিরহাদ
সন্দেশখালি গণহত্যায় বাবু মাস্টারের নামে মামলা রয়েছে । সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলা রুজু হয়েছে । যদিও, বাবু মাস্টারের দাবি, সব ক'টি মামলাই মিথ্যা । কিন্তু দল তাঁকে সাহায্য করেনি । তিনি বলেন, "দলে থেকে আমি ভীষণ অসম্মানিত হচ্ছি । সম্মানের সঙ্গে কোনও রকম আপস করা যায় না । তাই, সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই দলে আর থাকব না ।"