বারাসত, 24 মে: সুপার সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবে তছনছ বারাসত জেলা আদালতের আইনজীবীদের সেরেস্তা। ক্ষতি হয়েছে জেলা বারেরও। ঝড়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রবেশ পথের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে, বাতিস্তম্ভ উপড়ে গিয়েছে। আশপাশের বড় গাছগুলি উপড়ে আইনজীবীদের সেরেস্তার ওপর পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে বলেই ধারণা আইনজীবীদের একাংশের। বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ 2 লাখ টাকা। পরবর্তীকালে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে জেলা উত্তর 24 পরগনা বিপর্যস্ত। চোখে পড়ার মতো প্রভাব পড়েছে বারাসতের 1 ও 2 নম্বর ব্লকে। এই দুই ব্লকেই অন্তত কয়েক হাজার কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকশো একর চাষের জমি, মাছ চাষের ভেড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ধানের গোলা, খড়ের গাদা, বাড়িঘর হারিয়ে কার্যত দিশেহারা মানুষ। বাড়িঘর, গাছপালা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য লাইটপোস্ট উপড়ে গিয়েছে। যার জেরে বারাসতের একাংশ এখনও বিদ্যুৎহীন। পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে কিছু এলাকায়। যা নিয়ে গত চারদিন ধরে বারাসতের বিভিন্ন এলাকা বিক্ষোভে উত্তাল। কোথাও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ হচ্ছে। কোথাও সেই আন্দোলন তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগও উঠেছে। এরই মধ্যে এবার সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবে জেলা আদালতের আইনজীবীদের সেরেস্তা ও বারের ক্ষয়ক্ষতি সামনে এল। গোটা সেরেস্তা ও জেলা বার বিধ্বস্ত। সেরেস্তার টালির ও টিনের চাল উড়ে কয়েক ফুট দূরে গিয়ে পড়েছে। এমনকী, আমফানের তাণ্ডবে জেলা বারের লাইব্রেরির টিনের চালটিও উড়ে গিয়েছে। বারের উদ্যোগে গাছ কাটার কাজ শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কিছু দিন লাগবে বলেই অনুমান জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের।
![Seresta and district bar devastated in Amphan](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-n24-01-amphandigesterondistrictbarassociationseresta-still-raju-10009_24052020142908_2405f_1590310748_1028.jpg)
এই বিষয়ে জেলা বারের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও বারাসত আদালতের আইনজীবী গৌরীশঙ্কর বল বলেন, "আমফানের দাপটে আইনজীবীদের সেরেস্তা ও বার কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে। আনুমানিক দু'লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটা রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পেশ করা হবে বার কর্তৃপক্ষের কাছে। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে।"