ETV Bharat / state

যশ ও ভরা কোটালের দাপটে জল থইথই সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ

author img

By

Published : May 27, 2021, 9:32 PM IST

বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও কোটালের জলোচ্ছ্বাসের জেরে ফের নদীর জল ছাপিয়ে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে । ফলে, নতুন করে আবারও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা ।

যশ ও ভরা কোটালের দাপটে জল থইথই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা
যশ ও ভরা কোটালের দাপটে জল থইথই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা

বসিরহাট, 27 মে : একে তো যশ । তার উপর দোসর ভরা কোটাল । এই জোড়া ফলায় কার্যত বিপর্যস্ত সুন্দরবন । নদীবেষ্টিত সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও মিনাখাঁর কোথাও ফাটল ধরেছে নদীবাঁধে, আবার কোথাও জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম । যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই শুধু দেখা মিলবে জলরাশির ৷ কোনটা রাস্তা আর কোনটা নদী তা বোঝাই এখন দুষ্কর । জলের তলায় চলে গিয়েছে ঘরবাড়ি, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি ও মাছের ভেড়ি ।

প্রশাসন সূত্রে খবর, প্লাবনের জেরে একাধিক মাছের ভেড়ি ও কৃষি জমিতে নদীর নোনাজল ঢুকে পড়েছে । যার ফলে একদিকে ধান, ঢেঁড়স, আলু, লঙ্কার মত সবজি ও ফসলের যেমন ক্ষতি হয়েছে ৷ অন্যদিকে তেমনই ভেড়ির বিভিন্ন ধরনের মাছও নষ্ট হয়ে গিয়েছে । যার জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন বসিরহাট মহকুমার কয়েক হাজার কৃষক এবং মৎস্যজীবী । সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁ ব্লক ।

হিঙ্গলগঞ্জের সান্ডেলবিল, সর্দারপাড়া, ভাণ্ডারখালি ও দুলদুলি এলাকা যেমন ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে । তেমনই আছে সন্দেশখালি 1 নম্বর ব্লকের আখড়াতলা, ভোলাখালি, বয়ারমারিও । হাসনাবাদ ব্লকের ঘূর্ণি, পাটলি, খানপুর, খাঁপুকুর ছাড়াও মিনাখাঁ ব্লকের রাম জয়ঘেরি, মল্লিকঘেরি, কুমারজোল । সন্দেশখালি 2 ব্লকের আতাপুর, ধামাখালি এবং মণিপুরের মতো নদীবেষ্টিত প্রতিটি গ্রাম জলের তলায় চলে যাওয়ায় দেখে মনে হতেই পারে এ যেন কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ । এই সমস্ত গ্রামে নোনা জল ঢুকে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে ।

যশ ও ভরা কোটালের দাপটে জল থইথই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা

আমফানের পর যশের বিপর্যয়ের ক্ষত সামলানোর মত সামর্থ্য কার্যত হারিয়ে ফেলেছেন সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্তরা । এখন প্রশাসনই একমাত্র ভরসা তাদের কাছে ।প্রশাসনের সহযোগিতার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সুন্দরবন অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ ।

আরও পড়ুন : রাজ্যে 15 জুন পর্যন্ত বাড়ল করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ



এদিকে, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও কোটালের জলোচ্ছ্বাসের জেরে ফের নদীর জল ছাপিয়ে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে ।ফলে, নতুন করে আবারও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা ।

প্রসঙ্গত, যশ পরবর্তী পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শুক্রবার হিঙ্গলগঞ্জে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ওইদিন আকাশপথে সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি । এরপর হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে । তার আগে বৃহস্পতিবার হিঙ্গলগঞ্জের বিডিওর সঙ্গে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল ।

বসিরহাট, 27 মে : একে তো যশ । তার উপর দোসর ভরা কোটাল । এই জোড়া ফলায় কার্যত বিপর্যস্ত সুন্দরবন । নদীবেষ্টিত সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও মিনাখাঁর কোথাও ফাটল ধরেছে নদীবাঁধে, আবার কোথাও জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম । যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই শুধু দেখা মিলবে জলরাশির ৷ কোনটা রাস্তা আর কোনটা নদী তা বোঝাই এখন দুষ্কর । জলের তলায় চলে গিয়েছে ঘরবাড়ি, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি ও মাছের ভেড়ি ।

প্রশাসন সূত্রে খবর, প্লাবনের জেরে একাধিক মাছের ভেড়ি ও কৃষি জমিতে নদীর নোনাজল ঢুকে পড়েছে । যার ফলে একদিকে ধান, ঢেঁড়স, আলু, লঙ্কার মত সবজি ও ফসলের যেমন ক্ষতি হয়েছে ৷ অন্যদিকে তেমনই ভেড়ির বিভিন্ন ধরনের মাছও নষ্ট হয়ে গিয়েছে । যার জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন বসিরহাট মহকুমার কয়েক হাজার কৃষক এবং মৎস্যজীবী । সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁ ব্লক ।

হিঙ্গলগঞ্জের সান্ডেলবিল, সর্দারপাড়া, ভাণ্ডারখালি ও দুলদুলি এলাকা যেমন ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে । তেমনই আছে সন্দেশখালি 1 নম্বর ব্লকের আখড়াতলা, ভোলাখালি, বয়ারমারিও । হাসনাবাদ ব্লকের ঘূর্ণি, পাটলি, খানপুর, খাঁপুকুর ছাড়াও মিনাখাঁ ব্লকের রাম জয়ঘেরি, মল্লিকঘেরি, কুমারজোল । সন্দেশখালি 2 ব্লকের আতাপুর, ধামাখালি এবং মণিপুরের মতো নদীবেষ্টিত প্রতিটি গ্রাম জলের তলায় চলে যাওয়ায় দেখে মনে হতেই পারে এ যেন কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ । এই সমস্ত গ্রামে নোনা জল ঢুকে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে ।

যশ ও ভরা কোটালের দাপটে জল থইথই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা

আমফানের পর যশের বিপর্যয়ের ক্ষত সামলানোর মত সামর্থ্য কার্যত হারিয়ে ফেলেছেন সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্তরা । এখন প্রশাসনই একমাত্র ভরসা তাদের কাছে ।প্রশাসনের সহযোগিতার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সুন্দরবন অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ ।

আরও পড়ুন : রাজ্যে 15 জুন পর্যন্ত বাড়ল করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ



এদিকে, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও কোটালের জলোচ্ছ্বাসের জেরে ফের নদীর জল ছাপিয়ে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে ।ফলে, নতুন করে আবারও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা ।

প্রসঙ্গত, যশ পরবর্তী পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শুক্রবার হিঙ্গলগঞ্জে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ওইদিন আকাশপথে সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি । এরপর হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে । তার আগে বৃহস্পতিবার হিঙ্গলগঞ্জের বিডিওর সঙ্গে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.