দেগঙ্গা, 6 নভেম্বর: দেগঙ্গায় বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা (Deganga Bomb Blast) । বিশেষ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে । একই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মমতা রাজ্যে সবচেয়ে বেশি যদি কোনও শিল্পে অগ্রগতি হয় তা হল বোমা শিল্প । অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, মানুষের সমর্থন না থাকলেও ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া বিজেপি । তাই ডিসেম্বরে সরকার বদলের মিথ্যা গল্প শুনিয়ে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন তারা । আর দেগঙ্গার ঘটনা সেই উস্কানির ফল ।
এদিন এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলীয় মুখপাত্র শান্তনু সেন (Santunu Sen) । সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বিভিন্ন জায়গা থেকে সমাজবিরোধীদের গ্রেফতার করছে । বাংলার শাসক দল মানুষের আশীর্বাদে প্রত্যেকবার নির্বাচনে আগে থেকে বেশি ভোটে জিতছে । তাদের অন্তত সন্ত্রাস করে রাজনীতিতে জিততে হবে না । বিজেপির রাজনৈতিক নেতারা ক্রমশই জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছেন । আর এই দৈনতা থেকে সারা বাংলায় তারা সন্ত্রাসের উস্কানি দিচ্ছেন । যেভাবে মারব, ধরব, গুলি করে দেব-এসব কথা বলছেন তাতে এই ধরনের ঘটনায় তাদের কোনও চক্রান্ত আছে কিনা এটাও প্রশাসনকে ভেবে দেখতে হবে । এটাও প্রশাসনকে তদন্ত করে দেখতে হবে ।
আরও পড়ুন: তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, জখম 2 শ্রমিক
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) বলেন, "যেভাবে চারিদিকে বোমা পাওয়া যাচ্ছে । তাতে খাগড়াগড়ের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে । সম্প্রতি শাসনে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হল । একইসঙ্গে দেগঙ্গায় এত বড় বিস্ফোরণ । এর থেকে বোঝা যাচ্ছে সর্বত্র বোমা এবং অস্ত্র মজুত রয়েছে । পশ্চিমবাংলায় সবথেকে সফল শিল্প বোমা শিল্প । তা আজকে ঘরে ঘরে কুটির শিল্পের আকার ধারণ করেছে । যদি সরকার এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করতে চায়, তাহলে এনআইএকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক ।"