বারাসত, 20 মে : "রাজীব কুমার ও অর্ণব ঘোষকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন । তাঁরা সারদা কাণ্ডের বহু তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছেন । বহু প্রভাবশালীকে ছাড় দিয়েছেন ।" আজ বারাসত আদালত চত্বরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ । রক্ষাকবচ সরিয়ে নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট 7 দিন সময় দিয়েছে রাজীব কুমারকে । সেই মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আজ কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন । আর এমন দিনেই এইরকম বিস্ফোরক মন্তব্য করার পাশাপাশি তিনি CBI-এর কাছে দাবি করেন, "বিধাননগরের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক ।"
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রক্ষাকবচ উঠে যাওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল রাজীব কুমার বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন । এই বিষয়ে আজ সকাল থেকেই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয় বারাসত আদালতে । আইনজীবীরা কর্মবিরতিতে ছিলেন । তাই আদালতের দুটি গেটই বন্ধ করে রেখেছিলেন তাঁরা । এর মধ্যেই আদালত চত্বরে একটি পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখে ধোঁয়াশা আরও বেড়ে যায় । আইনজীবীদের ধারণা হয় গাড়িতে CBI-এর আধিকারিকরা ছিলেন । গতি প্রকৃতি জানার জন্যই এসেছিলেন তাঁরা । আজ বারাসত আদালতে CBI-এর গাড়ির পাশাপাশি কুণাল ঘোষের গাড়ি দেখা গেছিল । এপ্রসঙ্গে কুণালবাবু বলেন, "আর কেউ এসেছিলেন কি না তা আমি জানি না । তবে আমি এসেছিলাম । কারণ, এই আইনি প্রক্রিয়ায় আমার কৌতূহল আছে । তাই রাজীব কুমারের আগাম জামিন নেওয়ার পদ্ধতিগুলো কী হতে পারে বা কোন আদালতে তা নিতে পারেন বা ইতিমধ্যেই তিনি কোনও আবেদন করেছেন কি না, এই বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশেষ আদালত ও জেলা আদালতে খোঁজ নিতে এসেছিলাম ।"
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, "রাজীব কুমারকে সারদা মামলার অন্তর্ভুক্ত হয়ে এই বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে । উনি আগাম জামিন পেয়ে গেলেও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে ইতিমধ্যেই চলে এসেছেন । সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার পর সাতদিন সময় দিয়েছিল । এই সময়ের মধ্যে তাঁর পূর্ণ স্বাধীনতা আছে নিজের আত্মরক্ষার জন্য যে কোনও আইনি প্রক্রিয়া নেওয়ার ।"