ব্যারাকপুর, 17 জুলাই: ফুট ওভারব্রিজের দাবিতে ব্যারাকপুরে রেল অবরোধ করল নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ ৷ তার জেরে সপ্তাহের শুরুতেই ব্যাহত হল শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখার আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন পরিষেবা ৷ প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ ৷ এর ফলে অফিসের ব্যস্ত সময়ে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের ৷ 14 নম্বর রেল গেটের সামনে অবরোধের ডাক দেওয়া হয় ব্যারাকপুর নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে । সোমবার সেই মতো রেল অবরোধ করে নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ ব্যারাকপুর শাখা ।
সূত্রের খবর, শিয়ালদার সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র-সহ রেলের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ঘটনাস্থলে যান । এরপর 11টা নাগাদ অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। আরও পরে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় । তবে এই ঘটনায় জেরে মোট 12 জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয় এবং 20টি লোকাল ট্রেন এক ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে চলে ।
রেল জানিয়েছে, ব্যারাকপুর স্টেশনে নতুন ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই অনুমোদনের জন্য রেলওয়ে বোর্ডে পাঠানো হয়েছে । রেলওয়ে বোর্ডের প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলেই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। অবরোধ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, ব্যারাকপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয় ৷ এর ফলে সপ্তাহের শুরুতেই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে ৷ দুর্ভোগের সম্মুখীন হন যাত্রীরা ।
জানা গিয়েছে, 2020 সালে আমফান ঝড়ে ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের মাঝখানে থাকা ফুট ওভারব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারপর রেলের তরফ থেকে ওই ফুট ওভারব্রিজটি নতুন করে বানানোর কথা বলে ভেঙে দেওয়া হয় । কিন্তু দীর্ঘ তিনবছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত সেই ওভারব্রিজ তৈরি হয়নি। যার ফলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত নিত্যযাত্রীদের ।
এমতাবস্থায় আজ নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের তরফ থেকে ফুট ওভারব্রিজের দাবিতে রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয় । সেই মতো নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ ব্যারাকপুর শাখার তরফ থেকে স্টেশন চত্ত্বরে সকাল 8টা থেকে জমায়েত শুরু হয় । এরপর স্টেশন চত্ত্বরে একটি মিছিল করে তারা এবং তাদের বক্তব্য রাখে । তারপরই পূর্বপরিকল্পিত ঘোষণা অনুযায়ী 14 নম্বর গেটে অবরোধ শুরু হয় ।
আরও পড়ুন: দিল্লি-ভোপাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে আগুন-আতঙ্ক !
রেলের তরফ থেকে জিআরপি গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে । তবে তারা অবরোধ থেকে পিছপা হতে নারাজ ছিল ৷ আন্দোলকারীরা ব্যারাকপুর স্টেশন ম্যানেজার কেএল বিশ্বাসের ঘরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । স্টেশন ম্যানেজারকে তাদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমাও দেন । আন্দোলোনকারীদের দাবি ছিল, রেল কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট আশ্বাস ছাড়া অবরোধ তোলা হবে না । শেষমেশ রেলের তরফে আশ্বাস মেলায় অবরোধ উঠে যায়।