ETV Bharat / state

আমরা থাকতে আপনাদের কেউ নাগরিকত্ব কাড়তে পারবে না : মমতা

আজ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে বনগাঁয় ও নদিয়ায় জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল BJP-র মিথ্যে কথা বলে ভোট নেওয়ার কথা ৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Feb 4, 2020, 4:01 PM IST

বনগাঁ, 4 ফেব্রুয়ারি : ক্ষমতায় আসার পর মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ছিল তাঁর কাছে একটা শক্তিশালী অস্ত্র ৷ কিন্তু, লোকসভা ভোটে প্রথম ধাক্কাটা খান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের মধ্যে হয়েছে ভাগ ৷ কারও কারও সমর্থন BJP-কে, কারও তৃণমূল ৷

সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচন ৷ মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের ভোট হারানোর ভুল আর করতে চাইছেন না মমতা ৷ তাই, আজকের সভা থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তিনি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন, আছেনও ৷ BJP যে মিথ্যে কথা বলে আসনগুলো জিতেছে, অভিযোগ করলেন তাও ৷ বললেন, "শুধু মিথ্যে কথা বলে এখান থেকে আসন জিতে চলে গেল ৷ নির্বাচনের আগে কিছু টাকা দিয়ে দিচ্ছে ৷ যারা নির্বাচনের আগে টাকা দেয়, তাদের উদ্দেশ্য অন্য থাকে ৷" এই টাকা না নেওয়ার আবেদন করেন তিনি ৷ বলেন, "টাকা নেবেন না ৷ টাকার বদলে ভোট দেবেন না ৷ পাঁচ হাজার টাকা একদিনে ফুরিয়ে যায় ৷ কিন্তু, জীবন চলে গেলে জীবন দিতে কেউ এগিয়ে আসে না ৷ ঠিকানা হারিয়ে গেলে, কেউ ঠিকানা দিতে এগিয়ে আসে না ৷"

বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের BJP ভোট চাইতে আসবে ৷ সবই ভোট পাওয়ার বাহানা বলে কটাক্ষ করেন তিনি ৷ বলেন, "নির্বাচনের আগে এসে আবার অনেক বড় বড় কথা বলবে ৷ গত নির্বাচনের আগে হঠাৎ বড়মাকে দেখতে চলে এল ৷ যেন কত ভালোবাসে ৷ ওটা ভোটকে ভালোবাসা ৷ বড়মাকে ভালোবাসা নয় ৷ বড়মাকে ভালোবাসলে 30 বছরে একবারও খোঁজ নিয়েছিল ৷ মতুয়ারা কেমন ছিল কখনও খোঁজ নিয়েছে ৷"

আজ বনগাঁর স্টেডিয়ামে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর কথায় বারবার উঠে এসেছে BJP মিথ্যে কথা বলছে ৷ তারা যা করছে, সবটাই ভোট পাওয়ার জন্য ৷ বলেন, "আমি যা বলছি মিডিয়ার সামনে বলছি ৷ যে কেউ আমার কথার চ্যালেঞ্জ করতে পারেন ৷ আমি আইন যতটুকু দেখেছি, এটা নিয়ে আমরা প্রথম থেকেই লড়াই করছি ৷ ওরা আইন অনুযায়ী, আপনাদের নাগরিকত্ব দেবে কি না ঠিক করবে ৷ ওরা কে আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ? কেন্দ্রীয় সরকার যেমন নির্বাচিত, রাজ্য সরকারও নির্বাচিত ৷ আমরা আপনাদের সবাইকে নাগরিকত্বের অধিকার দিয়ে রেখেছি ৷ আমরা থাকতে আপনাদের নাগরিকত্ব কেউ কেড়ে নিতে পারবে না ৷"

জনসভায় তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে BJP-কে আক্রমণ করেন তিনি ৷ পৌনে দু'টো নাগাদ নদিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি ৷ সেখানে হাবিবপুরের ছাতিমতলা মাঠে জনসভায় যোগ দেন ৷ সেখানেও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেন তিনি ৷ সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "বাংলার ঘরে ঘরে রুখে দাঁড়াবেন মহিলারা ৷ আমি উদ্বাস্তুদের নিঃশর্তে জমির দলিল দিয়েছি ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গুলি চালাতে বলছেন ৷ ইচ্ছামতো রাস্তায় গুলি চালানো হচ্ছে ৷ গুলি চালানোর হুমকি দিচ্ছে BJP ৷"

বনগাঁ, 4 ফেব্রুয়ারি : ক্ষমতায় আসার পর মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ছিল তাঁর কাছে একটা শক্তিশালী অস্ত্র ৷ কিন্তু, লোকসভা ভোটে প্রথম ধাক্কাটা খান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের মধ্যে হয়েছে ভাগ ৷ কারও কারও সমর্থন BJP-কে, কারও তৃণমূল ৷

সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচন ৷ মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের ভোট হারানোর ভুল আর করতে চাইছেন না মমতা ৷ তাই, আজকের সভা থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তিনি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন, আছেনও ৷ BJP যে মিথ্যে কথা বলে আসনগুলো জিতেছে, অভিযোগ করলেন তাও ৷ বললেন, "শুধু মিথ্যে কথা বলে এখান থেকে আসন জিতে চলে গেল ৷ নির্বাচনের আগে কিছু টাকা দিয়ে দিচ্ছে ৷ যারা নির্বাচনের আগে টাকা দেয়, তাদের উদ্দেশ্য অন্য থাকে ৷" এই টাকা না নেওয়ার আবেদন করেন তিনি ৷ বলেন, "টাকা নেবেন না ৷ টাকার বদলে ভোট দেবেন না ৷ পাঁচ হাজার টাকা একদিনে ফুরিয়ে যায় ৷ কিন্তু, জীবন চলে গেলে জীবন দিতে কেউ এগিয়ে আসে না ৷ ঠিকানা হারিয়ে গেলে, কেউ ঠিকানা দিতে এগিয়ে আসে না ৷"

বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের BJP ভোট চাইতে আসবে ৷ সবই ভোট পাওয়ার বাহানা বলে কটাক্ষ করেন তিনি ৷ বলেন, "নির্বাচনের আগে এসে আবার অনেক বড় বড় কথা বলবে ৷ গত নির্বাচনের আগে হঠাৎ বড়মাকে দেখতে চলে এল ৷ যেন কত ভালোবাসে ৷ ওটা ভোটকে ভালোবাসা ৷ বড়মাকে ভালোবাসা নয় ৷ বড়মাকে ভালোবাসলে 30 বছরে একবারও খোঁজ নিয়েছিল ৷ মতুয়ারা কেমন ছিল কখনও খোঁজ নিয়েছে ৷"

আজ বনগাঁর স্টেডিয়ামে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর কথায় বারবার উঠে এসেছে BJP মিথ্যে কথা বলছে ৷ তারা যা করছে, সবটাই ভোট পাওয়ার জন্য ৷ বলেন, "আমি যা বলছি মিডিয়ার সামনে বলছি ৷ যে কেউ আমার কথার চ্যালেঞ্জ করতে পারেন ৷ আমি আইন যতটুকু দেখেছি, এটা নিয়ে আমরা প্রথম থেকেই লড়াই করছি ৷ ওরা আইন অনুযায়ী, আপনাদের নাগরিকত্ব দেবে কি না ঠিক করবে ৷ ওরা কে আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ? কেন্দ্রীয় সরকার যেমন নির্বাচিত, রাজ্য সরকারও নির্বাচিত ৷ আমরা আপনাদের সবাইকে নাগরিকত্বের অধিকার দিয়ে রেখেছি ৷ আমরা থাকতে আপনাদের নাগরিকত্ব কেউ কেড়ে নিতে পারবে না ৷"

জনসভায় তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে BJP-কে আক্রমণ করেন তিনি ৷ পৌনে দু'টো নাগাদ নদিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি ৷ সেখানে হাবিবপুরের ছাতিমতলা মাঠে জনসভায় যোগ দেন ৷ সেখানেও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেন তিনি ৷ সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "বাংলার ঘরে ঘরে রুখে দাঁড়াবেন মহিলারা ৷ আমি উদ্বাস্তুদের নিঃশর্তে জমির দলিল দিয়েছি ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গুলি চালাতে বলছেন ৷ ইচ্ছামতো রাস্তায় গুলি চালানো হচ্ছে ৷ গুলি চালানোর হুমকি দিচ্ছে BJP ৷"

Intro:নিচুতলার নেতারা হুঁশিয়ারি মমতার

বনগাঁঃ নিচুতলার নেতাদের ভালো না লাগলে ওদের কাছে আপনারা যাবেন না। নিচুতলার নেতারা দল চালায় না। দল চালাই আমরা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর জনসভায় ঠিক এই ভাষাতেই দলের নিচুতলার কর্মীদের সতর্ক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটের আগে মতুয়া ও হিন্দু ভোট এককাট্টা করতে এদিন তিনি সোচ্চার ছিলেন। বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যত মতুয়া, অনুকুলৃ ঠাকুর, লোকনাথ, তারকেশ্বর, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাট মন্দিরেই আটকে ছিলেন। সঙ্গে এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। দুপুর একটায় মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে নেমে মঞ্চে ওঠেন। পৌনে দুটো নাগাদ নদিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। Body:নিচুতলার নেতারা হুঁশিয়ারি মমতার

বনগাঁঃ নিচুতলার নেতাদের ভালো না লাগলে ওদের কাছে আপনারা যাবেন না। নিচুতলার নেতারা দল চালায় না। দল চালাই আমরা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর জনসভায় ঠিক এই ভাষাতেই দলের নিচুতলার কর্মীদের সতর্ক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটের আগে মতুয়া ও হিন্দু ভোট এককাট্টা করতে এদিন তিনি সোচ্চার ছিলেন। বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যত মতুয়া, অনুকুলৃ ঠাকুর, লোকনাথ, তারকেশ্বর, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাট মন্দিরেই আটকে ছিলেন। সঙ্গে এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। দুপুর একটায় মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে নেমে মঞ্চে ওঠেন। পৌনে দুটো নাগাদ নদিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। Conclusion:নিচুতলার নেতারা হুঁশিয়ারি মমতার

বনগাঁঃ নিচুতলার নেতাদের ভালো না লাগলে ওদের কাছে আপনারা যাবেন না। নিচুতলার নেতারা দল চালায় না। দল চালাই আমরা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর জনসভায় ঠিক এই ভাষাতেই দলের নিচুতলার কর্মীদের সতর্ক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটের আগে মতুয়া ও হিন্দু ভোট এককাট্টা করতে এদিন তিনি সোচ্চার ছিলেন। বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যত মতুয়া, অনুকুলৃ ঠাকুর, লোকনাথ, তারকেশ্বর, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাট মন্দিরেই আটকে ছিলেন। সঙ্গে এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। দুপুর একটায় মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে নেমে মঞ্চে ওঠেন। পৌনে দুটো নাগাদ নদিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.