ঠাকুরনগর, ২৫ মার্চ : রাজনীতি মুক্ত ঠাকুরবাড়ির দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন মতুয়াদের একাংশ। গতকাল ঠাকুরনগরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মিছিলও করেন। তাঁদের বক্তব্য, শান্তনু ঠাকুর ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি মুক্ত করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তাঁকে রাখতে হবে। শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, "বিক্ষোভকারীরা কেউ মতুয়া নন। মমতাবালা ঠাকুর কয়েকজন বহিরাগত লোক দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন।" যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মমতাবালা ঠাকুর।
শনিবার BJP প্রার্থী হিসেবে শান্তনু ঠাকুরের নাম প্রস্তাব হয়। এরপরই গতকাল বিকেলে শতাধিক মতুয়া ঠাকুরনগরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এক বিক্ষোভকারী বলেন, "শান্তনু ঠাকুর রাজনীতি মুক্ত ঠাকুরবাড়ির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন কোনও দিন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হবেন না। শান্তনু ঠাকুর আমাদের ব্যবহার করেছেন। বীণাপাণি দেবীর শেষকৃত্য হওয়ার পরদিনই শান্তনু দিল্লি গিয়ে প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম প্রস্তাব করেছেন। তাহলে আমাদের কেন ব্যবহার করা হল? রাজনীতির জন্য ঠাকুরবাড়ির আনন্দ নষ্ট হয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে শান্তনু ঠাকুর প্রার্থী হিসেবে নাম প্রস্তাব করেছে।"
শান্তনু ঠাকুর বলেন, "বিক্ষোভকারীরা কেউ মতুয়া নন। টিকিট না পাওয়ায় হয়ত কারও স্বার্থে আঘাত লেগেছে। যদিও আমি ভোটে দাঁড়াচ্ছি কি না তা এখনও ঘোষণা করিনি। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য এগুলো করা হচ্ছে। ঠাকুরবাড়িতে এসে বিক্ষোভ করে কোনও লাভ হবে না। আমার মনে হয় মমতা ঠাকুরের কয়েকজন লোক বিক্ষোভ করছে। মমতা ঠাকুর জানেন যে শান্তনু ঠাকুর যদি ভোটে দাঁড়ায় তাহলে তিনি গো-হারা হারবেন। সংগঠন আমাকে প্রার্থী হিসেবে চায়। কিন্তু আমি এখনও কিছু ঘোষণা করিনি। মমতাবালা ঠাকুর আর তৃণমূল কংগ্রেস এই বিক্ষোভ করিয়েছে।"
এবিষয়ে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, "আমি সকাল থেকে প্রচারে বেরিয়েছিলাম। এবিষয়ে কিছু জানতাম না। শান্তনু ঠাকুর নিজেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সে ভোটে দাঁড়াবে না। যাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাঁরাই এখন প্রতিবাদ করেছেন। এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যে। আমি এসব করিনি। "