নিউটাউন, 2 জানুয়ারি: গতকাল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) এক ছাত্রের ৷ তারপর সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন অন্যান্য পড়ুয়ারা ৷ গতকাল রাতের মতো অবরোধ উঠে গেলেও আজ আবার রাস্তা অবরোধ শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। পুলিশ ঘাতক গাড়ি এবং চালককে আটক করলেও তার নাম সামনে আনা হচ্ছে না বলে দাবি করেন (Police Have Traced the Car in Newtown Hit and Run Case) ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
তাঁদের দাবি, পুলিশ যাকে আটক করেছেন তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনা হোক ৷ আলিয়ার পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, দুর্ঘটনায় কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে ৷ এই দাবি তুলে পড়ুয়ারা এদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ব়্যালি বার করেন ৷ এরপর নিউটাউন পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব়্যালি আটকানোর চেষ্টা করা হয় ৷ কিন্তু ব়়্যালি আটকাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ ৷ পড়ুয়ারা নারকেলবাগান বিশ্ববাংলা গেটে অবস্থান বিক্ষোভ করেন ৷ রাস্তায় বসে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করেন তাঁরা ৷ পুলিশের সঙ্গে এরপরে তাঁদের কথা হয় ৷
পুলিশ তাঁদেরকে জানায়, ট্রেস করে এদিন একটি সার্ভিস সেন্টার থেকে ঘাতক গাড়িটির হদিশ মেলে ৷ গাড়ির চালক আলিকে আটক করে তারা ৷ কিন্তু আলিই গতকাল দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন কি না, জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়ারা জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ তাঁদেরকে দিতে হবে এবং আটক করা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে ৷ এই মর্মে পুলিশ প্রশাসনকে পড়ুয়ারা 24 ঘণ্টা সময় দেন ৷ তারপর যদি কোনও পদক্ষেপ না-নেওয়া হয় তাহলে ফের বিক্ষোভে সামিল হবেন তারা ৷ এরপর ছাত্ররা তাঁদের বিক্ষোভ আজকের মতো তুলে নেন ৷
আরও পড়ুন: আটক হওয়া ঘাতক ব্যক্তির নাম জানানো হোক, বিক্ষোভে অনড় আলিয়ার ছাত্ররা
উল্লেখ্য, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাকিল আহম্মেদ নামের ওই ছাত্র বাড়ি ফেরার জন্য হেঁটে ইকোস্পেসের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কদম পুকুর মোড়ের দিক থেকে একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। ততক্ষণাৎ শাকিল ছিটকে পড়েন সার্ভিস রোডে। তাঁকে ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে ঘাতক গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে এসে শাকিলকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা শাকিলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।