বারাসত, 15 অক্টোবর : দুষ্কৃতীদের টার্গেট একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ! বারাসতে বয়স্কদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একাধিক অপরাধ ঘটায় নড়েচড়ে বসল জেলা পুলিশ । পুলিশের উপর বয়স্কদের আস্থা বাড়াতে ডোর টু ডোর ভিজিট করে অভয় দেওয়া হল । পুলিশ জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে চলবে ।
বারাসতে চুরি,ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দুষ্কৃতীরা মূলত সেই বাড়িগুলিকে টার্গেট করছে, যেখানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা একা থাকেন । অপারাধের এই নয়া ট্রেন্ডে উদ্বেগ বেড়েছে জেলা পুলিশের । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুজোর সময় বারাসতের পাইয়োনিয়ার এলাকায় সুকমল কান্তি দাস নামে এক বৃদ্ধকে মারধর করে তাঁর বাড়িতে ডাকাতি হয় । ঘটনার সময় সুকমলবাবু বাড়িতে একা ছিলেন । এর আগে নবপল্লি এলাকায় ভাগবত মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধর বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাঁর সর্বস্ব লুঠ করে পালায় ।
এলাকায় একাধিক এমন ঘটনায় ঘটায় আতঙ্কে বয়স্ক বাসিন্দারা । তাই তাঁদের অভয় দিতে তৎপর হয়েছে জেলা পুলিশ । পুলিশের টিম সোমবার নবপল্লি এলাকায় ডোর টু ডোর ভিজিট করে । মূলত,যে সমস্ত বাড়িতে বয়স্করা একা থাকেন, সেই বাড়িগুলিতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হয় পুলিশের তরফে ।
আচমকাই সাদা পোশাকের পুলিশকে দরজায় কড়া নাড়তে দেখে অনেকেই হতভম্ব হন। স্থানীয় বাসিন্দা ত্রিদিব দাশগুপ্ত বলেন,"গতকাল রাতে পুলিশের দু-জন সিভিল ড্রেসে আমার বাড়িতে আসে । তারা জিজ্ঞাসা করল,বাড়িতে আমি একাই থাকি কি না । কিছুক্ষণ কথা বলে চলে গেল । কিছুটা হতভম্বই হয়েছিলাম । তবে পুলিশের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই । এটা যদি পুলিশের প্রথম পদক্ষেপ হয় তবে সেই পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে । তাহলেই পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে ।" অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ত্রিদিববাবুর কয়েক মাস আগে স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে । একমাত্র মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে । বাড়িতে এখন তিনি একাই থাকেন ।
উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন,"বারাসতে পরপর কয়েকটি চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । বয়স্করা আক্রান্ত হয়েছেন । সেইজন্য পুলিশের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে । ধারাবাহিকভাবে এটা চলবে । "