বনগাঁ, 22 এপ্রিল : প্রতিবেশী এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর 24 পরগনায় গাইঘাটা এলাকায় ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে দু'জন নবদ্বীপের বাসিন্দা। ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে বাড়ির মালকিন ও তার ছেলেকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police arrests 4 over allegedly minor gang rape in Gaighata North 24 Parganas) । ঘটনাচক্রে অভিযুক্ত বাড়ির মালকিন এলাকায় বিজেপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত পূর্ণিমা সরকার ও তার ছেলে অপর্ণ সরকার ৷ তাই এতে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ তবে ঘটনায় মুল অভিযুক্ত বাসুদেব বিশ্বাস ও এক নাবালক দু'জনের বাড়ি নদিয়া জেলায় ৷
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর গাইঘাটা থানা এলাকায় । ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে । পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রতিবেশীর বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল নাবালিকা । তখন বাড়ির কর্ত্রীর ছেলে নতুন ক্যামেরা দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে ঘরে ডেকে আনে । ওই বাড়িতেই বেড়াতে এসেছিল অভিযুক্ত দু'জন ।
আরও পড়ুন : Hanskhali Gang Rape : হাঁসখালি গণধর্ষণের তদন্তে ফের ঘটনাস্থলে সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল
নাবালিকার বাবার অভিযোগ, মেয়েকে বাড়িতে না-পেয়ে তিনি খুঁজতে খুঁজতে প্রতিবেশী তথা অভিযুক্ত মহিলার বাড়িতে যান । গিয়ে দেখেন ওই মহিলা এবং তার ছেলে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে । তাঁর সন্দেহ হওয়ায় তিনি দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পান তার মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় ধর্ষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে যুবক । পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক নাবালক ।
বাবাকে দেখতে পেয়েই মেয়ে বাধা দেয় । নাবালিকার অভিযোগ, সে চিৎকার করলেও বাড়ির মালকিন বা তার ছেলে, কেউই তাকে সাহায্য করেনি । খবর পেয়ে পুলিশ এসে চার জনকে গ্রেফতার করে । পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে কেরালায় থাকেন । সেখানেই কাজ করে নদিয়া নবদ্বীপের বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই দুই যুবক । সেই সূত্রেই তারা অভিযুক্ত মহিলা তথা বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ।
আরও পড়ুন : Ranaghat Rape Case : দময়ন্তী সেনের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রানাঘাটের নির্যাতিতার পরিবার
তৃণমূলের গাইঘাটা পশ্চিম ব্লকের সভাপতি বিপ্লব দাস বলেন, "ওই মহিলা বিজেপির মহিলা মোর্চার বুথ সভাপতি । বিজেপি উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি এখানে আনতে চাইছেন। ঘটনাটি খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব ।" বিজেপির গাইঘাটা বিধানসভার কো-কনভেনার রাজকুমার মিত্র অবশ্য বিজেপি নেত্রীর পরিচয় অস্বীকার করে জানিয়েছেন, "ওই মহিলা বিজেপি কর্মী হিসেবে আগে মিটিং-মিছিল করতেন । গত ছ'মাস তাকে মিটিং-মিছিলে দেখা যায়নি । তিনি বিজেপির কোনও পদে ছিলেন না । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ৷ দোষ প্রমাণিত হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে ৷"