দেগঙ্গা, 10 মার্চ : দেগঙ্গার যুবক খুনে নয়া মোড়। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত আগেই ধরা পড়েছিল পুলিশের জালে । এবার ধরা পড়ল খুনের মূল চক্রী ৷ ধৃত সাইফুদ্দিন মোল্লা ও রাকিবুল জমাদার গ্রেফতার হতেই সামনে এসেছে সুপারি কিলার দিয়ে খুনের তথ্য । জানা গিয়েছে, নিহত যুবক রাজিবুল মণ্ডলকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করিয়েছে তাঁরই অভিন্নহৃদয় বন্ধু সাইফুদ্দিন জমাদার ৷ আর এই খুনের পিছনে রয়েছে রাজিবুল ও সাইফুদ্দিনের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোয় বন্ধু রাজিবুল মণ্ডল ওরফে রাহুলকে খুন করার পরিকল্পনা করে সাইফুদ্দিন জমাদার । সাইফুদ্দিন মোল্লা এবং রাকিবুল জমাদার নামে দুই সুপারি কিলারকে খুনের বরাত দেওয়া হয় । এর জন্য এক লাখ টাকাও দেওয়া হয় ওই দুই ভাড়াটে খুনিকে । তবে খুনের 24 ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে দু'জন । পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ধৃতদের জেরা করতেই উঠে আসে আসল তথ্য। এরপরই পাকড়াও করা হয় যুবক খুনের মূল চক্রীকে (Deganga Murder case)।
উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার কাউকে পাড়ার বাসিন্দা রাজিবুল মণ্ডল । একই পাড়াতে থাকেন সাইফুদ্দিন জমাদারও । দু'জনের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট । সেই সুবাদে সাইফুদ্দিনের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল রাজিবুলের । তারই মধ্যে রাজিবুলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে সাইফুদ্দিনের ৷ তবে সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই বন্ধুত্বের সম্পর্কে চিড় ধরে । সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজিবুলকে বারবার বলা হলেও সাইফুদ্দিনের কথায় কর্ণপাত করেনি । এরপরই রাগে, অপমানে বন্ধুকে খুনের পরিকল্পনা করেন সাইফুদ্দিন । এজন্য সাইফুদ্দিন মোল্লা এবং রাকিবুল জমাদার নামে রাজিবুলের পরিচিত দু'জনকে কাজে লাগান তিনি । রবিবার রাতে বাড়ি থেকে রাজিবুলকে ফোন করে স্থানীয় কলেজের পিছনে ডাকে দুই ভাড়াটে খুনি । সেখানে তিনজনে মিলে একসঙ্গে মদ্যপান করে ৷ মদ্যপানের পর রাজিবুল বেহুঁশ হয়ে পড়লে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে খুন করে ।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে বন্ধুকে খুন, ধৃত দুই
পরেরদিন অর্থাৎ সোমবার রাজিবুলের ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলতেই শোরগোল পড়ে এলাকায় । তদন্তে নামে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ৷ কয়েক ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় সাইফুদ্দিন মোল্লা এবং রাকিবুল জমাদারকে । এই দুই সুপারি কিলারকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য । খুনের মূল চক্রীর নামও জানতে পারে তদন্তকারীরা । তারপরই বুধবার রাতে কাউকে পাড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সাইফুদ্দিন জমাদারকে ।