বারাসত, 8 এপ্রিল : মদ্যপান করা নিয়ে প্রথমে বচসা। আর তা নিয়ে হাসপাতালেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন পুলিশকর্মী ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছেন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । বারাসত জেলা হাসপাতালের ঘটনা। যদিও লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঘটনায় 7-8 জন অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করা হয়েছে।
হাসপাতালের ভিতরে মদ্যপান নিয়ে কয়েকদিন ধরে বচসা চলছিল ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের। আজ তা চরমে পৌঁছায় । সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দেয় বারাসত থানায়। পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের 5-6 জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে এক পুলিশকর্মী ও দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। আহত পুলিশ কর্মী বিদ্যুৎ পালের অভিযোগ, "ক'দিন ধরে লকডাউনের মাঝে হাসপাতালেই মদের আসর বসাচ্ছে কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। মানা করা সত্ত্বেও শুনছিল না । আজ দুপুরে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে থেকে এক টোটো চালক রোগীকে ওঠাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালক তাঁকে রোগী তুলতে বাধা দেয়। তা দেখে আমরা তাদের সরিয়ে দিতে যাই। এমন সময় আমাদের ধাক্কা দিতে শুরু করে ওরা। আমরা এর প্রতিবাদ করি। এরপর আরও অ্যাম্বুলেন্স চালক এসে আমাদের কয়েকজনের উপর হামলা চালায় ।তারপর তো থানা থেকে পুলিশ এসে যা করার করেছে ।"
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে পালটা পুলিশের বিরুদ্ধেই মারধর ও লাঠিচার্জের অভিযোগ এনেছে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন বারাসত পৌরসভার পৌর পারিষদ তাপস দাশগুপ্ত। এবিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন," মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। একটি টোটো রাখাকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সঙ্গে সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়তো সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধাক্কা দিয়ে থাকতে পারে। এখন সমস্যা মিটে গিয়েছে। সবাই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে"।
এবিষয়ে বারাসত থানার পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । ঘটনায় কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।