পানিহাটি, 14 মার্চ : তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল ৷ নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী ও ভাইয়ের দাবি, অবিলম্বে সিবিআই দিয়ে খুনের ঘটনার তদন্ত করতে হবে ৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেন তাঁরা। পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের ঘটনায় একজন সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Panihati Councillor Murder Case)। আটক করা হয়েছে আরও 2 জনকে। এদের মধ্যে একজন সিসিটিভি ফুটেজে উপস্থিত ছিল। ধৃত অমিত পণ্ডিতকে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রহস্য দ্রুত উন্মোচন করতে এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করল 5 সদস্যের সিআইডি দল।
এই ঘটনায় জড়িত আসল দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে এই দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা সোমবার দুপুরে দীর্ঘক্ষণ বিটি রোডে আগরপাড়া তেতুঁলতলা মোড়ে পথ অবরোধ করে। পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
কাউন্সিলর খুনের ঘটনার তদন্তে সোমবার দুপুরে তদন্তে আসে সিআইডি। সেই সঙ্গে এই খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে আরও সক্রিয় হচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় অমিত পণ্ডিত নামে এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার আগরপাড়া শালপাতা বাগান কামারহাটি পৌরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকাশ সাহা এবং তার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য খড়দহ থানা পুলিশ নিয়ে যায় ৷ কারণ অনুপম দত্ত খুন হওয়ার সময় সিসিটিভি ফুটেজে এই আকাশকে দেখা গিয়েছে, তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য খড়দহ থানা পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। এদিন ঘটনাস্থলে সিআইডির একটি দল আসে। তারা অনুপম দত্ত যে জায়গায় খুন হয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে জায়গাটা পরীক্ষা করেন।
এদিন নিহত অনুপম দত্তের বাড়িতে আসেন ব্যারাকপুর সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিক, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও সুবোধ অধিকারী।