ETV Bharat / state

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু বৃদ্ধার

author img

By

Published : Dec 29, 2020, 9:50 PM IST

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়েছিলেন পৌরসভায় ৷ ফেরার পথে রেলগেট পাড় হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল বৃদ্ধার ৷ ঘটনাটি বারাসত 11 নম্বর রেলগেটে ৷

train collision
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু বৃদ্ধার

বারাসত, 29 ডিসেম্বর : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়েছিলেন ৷ ফেরার পথে রেল লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। মৃতের নাম মণিকা ঘোষ (65)। ঘটনাটি ঘটে বারাসত 11 নম্বর রেলগেটে, 34 নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থানে বেশ কিছুক্ষণ দেহ পড়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। রেলপুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

আজ সকালে বারাসত পৌরসভায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। বাড়ি বারাসত নবপল্লির অমরাবতী এলাকায়। সেখান থেকে হেঁটে একাই ফিরছিলেন বাড়ির দিকে। সেই সময় 11 নম্বর রেলগেট পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। শিয়ালদাগামী ডাউন বনগাঁ লোকালের ধাক্কায় কয়েক ফুট দূরে ছিটকে পড়েন ওই বৃদ্ধা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে ছুটে আসেন মৃতার বৃদ্ধ স্বামী দুলাল চন্দ্র ঘোষ। ছুটে আসে বারাসত জিআরপি-ও। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু বৃদ্ধার

আরও পড়ুন : দুর্গাপুরে উদ্ধার বস্তাবন্দী কঙ্কাল

এদিকে ঘটনা জানার পর ভেঙে পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক দুলাল চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, "সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মণিকা বলে গিয়েছিল পৌরসভায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে যাচ্ছে। এরপরই শুনতে পাই ওর দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসে দেখি, ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছে স্ত্রী।" তাঁর কথায়, "বাড়িতে আমার দু'জনেই থাকি। ছেলে কর্মসূত্রে শিলিগুড়িতে থাকে। আর মেয়ের বিয়ে হয়েছে বালিঘাটে। কী করে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল, তা বুঝতে পারছি না"। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাপি হালদার বলেন, "11 নম্বর রেলগেটের পাশে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। উনি তখন রেললাইন পার হচ্ছিলেন। ট্রেন আসছে দেখে অনেকে ওঁকে বারণও করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও উঁকি মেরে রেললাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের সামনে চলে আসেন। পরে, ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান ওই বৃদ্ধা"। দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বারাসত জিআরপির তরফে। তাদের বক্তব্য, খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থানে গিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে, তা পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য"।

বারাসত, 29 ডিসেম্বর : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়েছিলেন ৷ ফেরার পথে রেল লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। মৃতের নাম মণিকা ঘোষ (65)। ঘটনাটি ঘটে বারাসত 11 নম্বর রেলগেটে, 34 নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থানে বেশ কিছুক্ষণ দেহ পড়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। রেলপুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

আজ সকালে বারাসত পৌরসভায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। বাড়ি বারাসত নবপল্লির অমরাবতী এলাকায়। সেখান থেকে হেঁটে একাই ফিরছিলেন বাড়ির দিকে। সেই সময় 11 নম্বর রেলগেট পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। শিয়ালদাগামী ডাউন বনগাঁ লোকালের ধাক্কায় কয়েক ফুট দূরে ছিটকে পড়েন ওই বৃদ্ধা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে ছুটে আসেন মৃতার বৃদ্ধ স্বামী দুলাল চন্দ্র ঘোষ। ছুটে আসে বারাসত জিআরপি-ও। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু বৃদ্ধার

আরও পড়ুন : দুর্গাপুরে উদ্ধার বস্তাবন্দী কঙ্কাল

এদিকে ঘটনা জানার পর ভেঙে পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক দুলাল চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, "সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মণিকা বলে গিয়েছিল পৌরসভায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে যাচ্ছে। এরপরই শুনতে পাই ওর দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসে দেখি, ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছে স্ত্রী।" তাঁর কথায়, "বাড়িতে আমার দু'জনেই থাকি। ছেলে কর্মসূত্রে শিলিগুড়িতে থাকে। আর মেয়ের বিয়ে হয়েছে বালিঘাটে। কী করে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল, তা বুঝতে পারছি না"। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাপি হালদার বলেন, "11 নম্বর রেলগেটের পাশে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। উনি তখন রেললাইন পার হচ্ছিলেন। ট্রেন আসছে দেখে অনেকে ওঁকে বারণও করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও উঁকি মেরে রেললাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের সামনে চলে আসেন। পরে, ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান ওই বৃদ্ধা"। দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বারাসত জিআরপির তরফে। তাদের বক্তব্য, খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থানে গিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে, তা পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য"।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.