বারাসত , 26 মে : ফের কোরোনা আক্রান্তের হদিস মিলল বারাসতের এক বেসরকারি হাসপাতালে । এবার আক্রান্ত হলেন ওই বেসরকারি হাসপাতালের এক নার্স । আজ তাঁর সোয়াব টেস্টের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে । এরপরই রাতে ওই হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তা ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ । ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে বারাসতের নবপল্লি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , 16 মে উত্তর 24 পরগনার অশোকনগরের এক ব্যক্তি মূত্রজনিত সমস্যার কারণে ভরতি হয়েছিলেন বারাসতের ওই বেসরকারি হাসপাতালে । ICU-তে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল ।চিকিৎসা চলাকালীন ওই ব্যক্তির কোরোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সোয়াব টেস্টের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য । 19 মে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । এরপরই কোরোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । তাঁর সংস্পর্শে আসায় বেসরকারি হাসপাতালের 10 জন চিকিৎসক ও নার্সকে কোয়ারানটিনে পাঠানো হয় । পাশাপাশি , হাসপাতালের দু’টি ইউনিউটও সিল করে দেয় পুলিশ প্রশাসন । এরই মধ্যে কোয়ারানটিনে থাকা চিকিৎসক ও নার্সদের সোয়াব টেস্টের নমুনা কোরোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । তার মধ্যে এক নার্সের পরীক্ষার রিপোর্ট আজ পজ়িটিভ এসেছে । ঘটনার পরই আজ রাতে ওই হাসপাতালের প্রবেশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় বারাসত থানার পুলিশ । তবে, হাসপাতাল সংলগ্ন সুরেন্দ্রনাথ কলোনিকে কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা না করায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । আতঙ্কিত নবপল্লির বাসিন্দারাও চাইছেন সংক্রমণ ঠেকাতে ওই এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হোক ।
এদিকে , কোরোনা আক্রান্ত ওই নার্সকে কলকাতার কোরোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তাঁর পরিবারকে কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে । ঘটনায় পরই ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর কণিকা রায়চৌধুরি । তিনি বলেন ,"বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার তপন জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবপল্লি এলাকাতেই একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে । সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে । কোনওরকম নিয়মনীতি মানছেন না উনি । সেখানে যে কারওর কোরোনা উপসর্গ নেই তা কে বলবে ! আমি চাইব , আপাতত ওঁর ডায়াগনস্টিক সেণ্টারও বন্ধ রাখা হোক প্রশাসনের তরফে ৷ "
অন্যদিকে, কাউন্সিলরের অভিযোগ অস্বীকার করে ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার ও চিকিৎসক তপন জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ,"সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা হয় । ওঁর এই অভিযোগের পিছনে কোনও অভিসন্ধি রয়েছে ৷ "