ETV Bharat / state

বারাসত : কোরোনা মোকাবিলায় দমকলকর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

কোরোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন বারাসত কেন্দ্রের দমকল কর্মীরা । সংক্রমণের আশঙ্কায় তটস্থ দমকল কর্মীরা জীবন রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

author img

By

Published : May 3, 2020, 4:46 PM IST

Updated : May 4, 2020, 2:24 PM IST

ছবি
ছবি

বারাসত, 3 মে : অন্যের কথা ভেবে প্রতিদিন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যেতে হয় ওঁদের । কখনও কখনও কাজের চাপে দম ফেলার ফুরসত থাকে না । অথচ, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ওঁদেরই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই । একপ্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোরোনা মোকাবিলায় নিঃশব্দে কাজ করে চলেছেন ওঁরা । ওঁরা বারাসতের দমকলকর্মী । নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও প্রকাশ্যে কেউই এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি । ফলে, সংক্রমণের আশঙ্কায় তটস্থ দমকলকর্মীরা প্রতিনিয়ত আতঙ্ককে সঙ্গী করেই জীবন রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ।

কোরোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশের মতো দমকলকর্মীরাও সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছেন । সংক্রমিত এলাকায় রাস্তাঘাট, প্রশাসনিক ভবন, হাসপাতাল সবকিছুই জীবাণুমুক্ত করতে হয় তাঁদের । কখনও আবার রোগী ও মৃতদেহ বহনকারী কোরোনোর অ্যাম্বুলেন্সও স্যানিটাইজ় করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয় দমকলকর্মীদের । আর এই দায়িত্ব যাঁরা নিরলসভাবে করে চলেছেন, তাঁদেরই সুরক্ষা কবচ(পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট)নেই ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটছে বারাসত দমকল কেন্দ্রের কর্মীদের ক্ষেত্রে । সরকারি কোপে পড়ার ভয়ে কেউ হয়ত মুখ খুলতে চাইছেন না ঠিকই। কিন্তু, তাঁদের ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ । দমকলকর্মীদের অভিযোগ মূলত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । সবকিছু জেনেও এনিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন তাঁরা । দমকলকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । ফলে, প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বারাসত কেন্দ্রের দমকলকর্মীরা ।

বারাসত 34 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই এই দমকল কেন্দ্র । স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় 52 জন কর্মী রয়েছেন সেখানে । কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসত রেড জো়নের আওতায় রয়েছে । সংক্রমণ বাড়ায় কনটেইনমেন্ট জো়নের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে এখানে । এই পরিস্থিতিতে দমকলকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়াও তো জরুরি । কিন্তু, যাঁরা ঝুঁকি নিয়ে অন্যকে সুস্থ রাখতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তা কোথায় ? ন্যূনতম সুরক্ষা কবচ অর্থাৎ PPE কেন নেই দমকল কর্মীদের ? তাঁরা সংক্রমিত হলে কোরোনার লড়াই তো ধাক্কা খেতে পারে ? জেনেও কেন প্রশাসন উদাসীন এবিষয়ে ?এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে । এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দমকলকর্মী বলেন," কোরোনা বলে নয়, আমাদের সবসময়ই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় । এখনও তাই করতে হচ্ছে । প্রশাসনকে বলব, আমাদের নিরাপত্তার দিকটাও একটু দেখতে । যাতে আমরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারি "।

এদিকে,বিষয়টি নিয়ে বারাসত দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক শ্রীকান্ত দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুখ খুলতে চাননি ।

উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "এরকম কোনও অভিযোগ আমার কানে আসেনি । তাই, বিষয়টি আমার ঠিক জানা নেই । তবে,অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে"।

দমকল সূত্রে খবর, বারাসত দমকল কেন্দ্রে মোট 52 জন কর্মী থাকলেও ব্যক্তিগত সুরক্ষা কবচ অর্থাৎ PPE দেওয়া হয়েছে সর্বসাকুল্যে মাত্র 10 জনকে । যা প্রয়োজনের তুলনায় নেহাতই কম । তাছাড়া, সংক্রমিত এলাকা হোক কিংবা কোরোনা রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে জীবাণুমুক্ত করার পর PPE কিট একবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ । কিন্তু,তারপরও নিরুপায় হয়ে ব্যবহার করা সেই ব্যক্তিগত সুরক্ষা কবচ দমকলকর্মীদের একাংশকে ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ । যা নিয়েও শঙ্কিত দমকলকর্মীরা । সব মিলিয়ে, আশঙ্কা ও আতঙ্ক নিয়েই কোরোনা মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বারাসত দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা ।

বারাসত, 3 মে : অন্যের কথা ভেবে প্রতিদিন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যেতে হয় ওঁদের । কখনও কখনও কাজের চাপে দম ফেলার ফুরসত থাকে না । অথচ, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ওঁদেরই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই । একপ্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোরোনা মোকাবিলায় নিঃশব্দে কাজ করে চলেছেন ওঁরা । ওঁরা বারাসতের দমকলকর্মী । নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও প্রকাশ্যে কেউই এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি । ফলে, সংক্রমণের আশঙ্কায় তটস্থ দমকলকর্মীরা প্রতিনিয়ত আতঙ্ককে সঙ্গী করেই জীবন রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ।

কোরোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশের মতো দমকলকর্মীরাও সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছেন । সংক্রমিত এলাকায় রাস্তাঘাট, প্রশাসনিক ভবন, হাসপাতাল সবকিছুই জীবাণুমুক্ত করতে হয় তাঁদের । কখনও আবার রোগী ও মৃতদেহ বহনকারী কোরোনোর অ্যাম্বুলেন্সও স্যানিটাইজ় করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয় দমকলকর্মীদের । আর এই দায়িত্ব যাঁরা নিরলসভাবে করে চলেছেন, তাঁদেরই সুরক্ষা কবচ(পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট)নেই ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটছে বারাসত দমকল কেন্দ্রের কর্মীদের ক্ষেত্রে । সরকারি কোপে পড়ার ভয়ে কেউ হয়ত মুখ খুলতে চাইছেন না ঠিকই। কিন্তু, তাঁদের ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ । দমকলকর্মীদের অভিযোগ মূলত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । সবকিছু জেনেও এনিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন তাঁরা । দমকলকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । ফলে, প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বারাসত কেন্দ্রের দমকলকর্মীরা ।

বারাসত 34 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই এই দমকল কেন্দ্র । স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় 52 জন কর্মী রয়েছেন সেখানে । কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসত রেড জো়নের আওতায় রয়েছে । সংক্রমণ বাড়ায় কনটেইনমেন্ট জো়নের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে এখানে । এই পরিস্থিতিতে দমকলকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়াও তো জরুরি । কিন্তু, যাঁরা ঝুঁকি নিয়ে অন্যকে সুস্থ রাখতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তা কোথায় ? ন্যূনতম সুরক্ষা কবচ অর্থাৎ PPE কেন নেই দমকল কর্মীদের ? তাঁরা সংক্রমিত হলে কোরোনার লড়াই তো ধাক্কা খেতে পারে ? জেনেও কেন প্রশাসন উদাসীন এবিষয়ে ?এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে । এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দমকলকর্মী বলেন," কোরোনা বলে নয়, আমাদের সবসময়ই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় । এখনও তাই করতে হচ্ছে । প্রশাসনকে বলব, আমাদের নিরাপত্তার দিকটাও একটু দেখতে । যাতে আমরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারি "।

এদিকে,বিষয়টি নিয়ে বারাসত দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক শ্রীকান্ত দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুখ খুলতে চাননি ।

উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "এরকম কোনও অভিযোগ আমার কানে আসেনি । তাই, বিষয়টি আমার ঠিক জানা নেই । তবে,অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে"।

দমকল সূত্রে খবর, বারাসত দমকল কেন্দ্রে মোট 52 জন কর্মী থাকলেও ব্যক্তিগত সুরক্ষা কবচ অর্থাৎ PPE দেওয়া হয়েছে সর্বসাকুল্যে মাত্র 10 জনকে । যা প্রয়োজনের তুলনায় নেহাতই কম । তাছাড়া, সংক্রমিত এলাকা হোক কিংবা কোরোনা রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে জীবাণুমুক্ত করার পর PPE কিট একবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ । কিন্তু,তারপরও নিরুপায় হয়ে ব্যবহার করা সেই ব্যক্তিগত সুরক্ষা কবচ দমকলকর্মীদের একাংশকে ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ । যা নিয়েও শঙ্কিত দমকলকর্মীরা । সব মিলিয়ে, আশঙ্কা ও আতঙ্ক নিয়েই কোরোনা মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বারাসত দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা ।

Last Updated : May 4, 2020, 2:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.