ETV Bharat / state

হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার নৈহাটি পৌরসভায় অনাস্থা ভোট - naihati news

লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে BJP জেতার পরে অনেক প্রার্থী তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন ৷ পরে বনগাঁ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পৌরসভা পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল । পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় আজ প্রত্যেক কাউন্সিলরকে অনাস্থা ভোটের বৈঠকে থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন । হাইকের্টের নির্দেশে আগামী 1 অক্টোবর নৈহাটি পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হবে অনাস্থা ভোট ।

Naihati
author img

By

Published : Sep 26, 2019, 11:13 PM IST

নৈহাটি, 26 সেপ্টেম্বর : হাইকের্টের নির্দেশে আগামী 1 অক্টোবর ( মঙ্গলবার ) নৈহাটি পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হবে অনাস্থা ভোট । পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় আজ প্রত্যেক কাউন্সিলরকে অনাস্থা ভোটের বৈঠকে থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন । লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে BJP জেতার পরে অনেক প্রার্থী তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন ৷ তৃণমূলের পৌরসভাগুলি BJP-র দখলে চলে যায় । তৃণমূলের হাতছাড়া হয় কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া ও গারুলিয়া পৌরসভা । পরে বনগাঁ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পৌরসভা পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল । গারুলিয়া পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর আবার BJP ছেড়ে তৃণমূলে আসেন । তারপরই পৌরপ্রধান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা ।

নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি তৃণমূলের দখলে ছিল । লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগদান করেন । BJP-র ওই 18 জন কাউন্সিলর গত 31 মে পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন । কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয় । ফলে BJP পুরসভা দখল নিতে পারেনি । বর্তমানে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23 । BJP-র 8 জন । নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিক ভাবে প্রশাসক নিয়োগের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে BJP ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় গতকাল রায় দেন , " 15 দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে । নৈহাটির বাসিন্দাদের নাগরিক পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে দিতে হবে । "

পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা 1 অক্টোবর অনাস্থা ভোট করব । আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলর দলত্যাগ করেছিলেন । তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে আবার ফিরে এসেছেন । অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব ।" নৈহাটির 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা BJP নেতা গণেশ দাস বলেন, "ভয় দেখিয়ে আমাদের কাউন্সিলরদের মত বদল করানো হয়েছে । তাঁরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন করছি। আমরা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে যা করণীয় তা করব ।"

নৈহাটি, 26 সেপ্টেম্বর : হাইকের্টের নির্দেশে আগামী 1 অক্টোবর ( মঙ্গলবার ) নৈহাটি পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হবে অনাস্থা ভোট । পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় আজ প্রত্যেক কাউন্সিলরকে অনাস্থা ভোটের বৈঠকে থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন । লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে BJP জেতার পরে অনেক প্রার্থী তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন ৷ তৃণমূলের পৌরসভাগুলি BJP-র দখলে চলে যায় । তৃণমূলের হাতছাড়া হয় কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া ও গারুলিয়া পৌরসভা । পরে বনগাঁ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পৌরসভা পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল । গারুলিয়া পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর আবার BJP ছেড়ে তৃণমূলে আসেন । তারপরই পৌরপ্রধান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা ।

নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি তৃণমূলের দখলে ছিল । লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগদান করেন । BJP-র ওই 18 জন কাউন্সিলর গত 31 মে পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন । কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয় । ফলে BJP পুরসভা দখল নিতে পারেনি । বর্তমানে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23 । BJP-র 8 জন । নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিক ভাবে প্রশাসক নিয়োগের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে BJP ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় গতকাল রায় দেন , " 15 দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে । নৈহাটির বাসিন্দাদের নাগরিক পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে দিতে হবে । "

পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা 1 অক্টোবর অনাস্থা ভোট করব । আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলর দলত্যাগ করেছিলেন । তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে আবার ফিরে এসেছেন । অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব ।" নৈহাটির 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা BJP নেতা গণেশ দাস বলেন, "ভয় দেখিয়ে আমাদের কাউন্সিলরদের মত বদল করানো হয়েছে । তাঁরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন করছি। আমরা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে যা করণীয় তা করব ।"

Intro:হাইকোর্টের নির্দেশ, পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট

নৈহাটিঃ বনগাঁর পর নৈহাটি। হাইকের্টের নির্দেশে আগামী পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট। বৃহস্পতিবার পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় সব কাউন্সিলরকে অনাস্থা বৈঠকে থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন।

উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল একের পর এক নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করার পর থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। সেই জোয়ারে একের পর এক তৃণমূলের দখলে থাকা পৌরসভাগুলি বিজেপির দখলে চলে যায়। বহু তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূলের হাতছাড়া হয় কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া ও গারুলিয়া পৌরসভা।বনগাঁ পৌরসভাতে বিজেপি থাবা বসিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপি থেকে মোহভঙ্গ হয়ে দলত্যাগী কাউন্সিলররা আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। ফলে আবার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি। বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফেরায় ইতিমধ্যেই বনগাঁ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পৌরসভা পুনরুদ্ধার করেছে তৃণমূল। গারুলিয়া পৌরসভাও বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে। কারণ 21 ওয়ার্ড বিশিষ্ট গারুলিয়া পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তারপরই পৌরপ্রধান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।

প্রশাসক থাকায় বাকি ছিল কেবল নৈহাটি পৌরসভা। নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন।ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে যায় বিজেপি। বিজেপির ওই 18 কাউন্সিলর গত 31 মে পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব আনেন। কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয়। ফলে বিজেপি পুরসভা দখল নিতে পারেনি। বিজেপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা 18 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 10 জন আবার তৃণমূলে ফিরেছেন। ফলে বর্তমানে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23। বিজেপির রয়েছেন 8 জন। নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিকভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির করা মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বুধবার রায় দিয়েছেন, 15 দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে। নৈহাটির বাসিন্দাদের নাগরিক পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে চালাতে হবে। আদালতের নির্দেশের পর আজ বৃহস্পতিবারই সব কাউন্সিলরকে আগামী 01 অক্টোবর আস্থাভোট করার জন্য পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন। সকল কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন।

তৃণমূল ও বিজেপি দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা পয়লা অক্টোবর অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হব। আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলর দলত্যাগ করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরে এসেছেন। আশা করছি, অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব।' নৈহাটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা গণেশ দাস বলেন, 'ভয় দেখিয়ে আমাদের কাউন্সিলরদের মত বদল করানো হয়েছে। তাঁরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন আশা করছি। আমরা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে যা যা করণীয় তা করব।'Body:হাইকোর্টের নির্দেশ, পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট

নৈহাটিঃ বনগাঁর পর নৈহাটি। হাইকের্টের নির্দেশে আগামী পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট। বৃহস্পতিবার পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় সব কাউন্সিলরকে অনাস্থা বৈঠকে থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন।

উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল একের পর এক নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করার পর থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। সেই জোয়ারে একের পর এক তৃণমূলের দখলে থাকা পৌরসভাগুলি বিজেপির দখলে চলে যায়। বহু তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূলের হাতছাড়া হয় কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া ও গারুলিয়া পৌরসভা।বনগাঁ পৌরসভাতে বিজেপি থাবা বসিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপি থেকে মোহভঙ্গ হয়ে দলত্যাগী কাউন্সিলররা আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। ফলে আবার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি। বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফেরায় ইতিমধ্যেই বনগাঁ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পৌরসভা পুনরুদ্ধার করেছে তৃণমূল। গারুলিয়া পৌরসভাও বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে। কারণ 21 ওয়ার্ড বিশিষ্ট গারুলিয়া পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তারপরই পৌরপ্রধান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।

প্রশাসক থাকায় বাকি ছিল কেবল নৈহাটি পৌরসভা। নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন।ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে যায় বিজেপি। বিজেপির ওই 18 কাউন্সিলর গত 31 মে পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব আনেন। কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয়। ফলে বিজেপি পুরসভা দখল নিতে পারেনি। বিজেপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা 18 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 10 জন আবার তৃণমূলে ফিরেছেন। ফলে বর্তমানে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23। বিজেপির রয়েছেন 8 জন। নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিকভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির করা মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বুধবার রায় দিয়েছেন, 15 দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে। নৈহাটির বাসিন্দাদের নাগরিক পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে চালাতে হবে। আদালতের নির্দেশের পর আজ বৃহস্পতিবারই সব কাউন্সিলরকে আগামী 01 অক্টোবর আস্থাভোট করার জন্য পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন। সকল কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন।

তৃণমূল ও বিজেপি দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা পয়লা অক্টোবর অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হব। আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলর দলত্যাগ করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরে এসেছেন। আশা করছি, অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব।' নৈহাটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা গণেশ দাস বলেন, 'ভয় দেখিয়ে আমাদের কাউন্সিলরদের মত বদল করানো হয়েছে। তাঁরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন আশা করছি। আমরা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে যা যা করণীয় তা করব।'Conclusion:হাইকোর্টের নির্দেশ, পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট

নৈহাটিঃ বনগাঁর পর নৈহাটি। হাইকের্টের নির্দেশে আগামী পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট। বৃহস্পতিবার পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় সব কাউন্সিলরকে অনাস্থা বৈঠকে থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন।

উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল একের পর এক নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করার পর থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। সেই জোয়ারে একের পর এক তৃণমূলের দখলে থাকা পৌরসভাগুলি বিজেপির দখলে চলে যায়। বহু তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূলের হাতছাড়া হয় কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া ও গারুলিয়া পৌরসভা।বনগাঁ পৌরসভাতে বিজেপি থাবা বসিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপি থেকে মোহভঙ্গ হয়ে দলত্যাগী কাউন্সিলররা আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। ফলে আবার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি। বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফেরায় ইতিমধ্যেই বনগাঁ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পৌরসভা পুনরুদ্ধার করেছে তৃণমূল। গারুলিয়া পৌরসভাও বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে। কারণ 21 ওয়ার্ড বিশিষ্ট গারুলিয়া পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তারপরই পৌরপ্রধান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।

প্রশাসক থাকায় বাকি ছিল কেবল নৈহাটি পৌরসভা। নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন।ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে যায় বিজেপি। বিজেপির ওই 18 কাউন্সিলর গত 31 মে পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব আনেন। কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয়। ফলে বিজেপি পুরসভা দখল নিতে পারেনি। বিজেপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা 18 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 10 জন আবার তৃণমূলে ফিরেছেন। ফলে বর্তমানে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23। বিজেপির রয়েছেন 8 জন। নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিকভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির করা মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বুধবার রায় দিয়েছেন, 15 দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে। নৈহাটির বাসিন্দাদের নাগরিক পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে চালাতে হবে। আদালতের নির্দেশের পর আজ বৃহস্পতিবারই সব কাউন্সিলরকে আগামী 01 অক্টোবর আস্থাভোট করার জন্য পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন। সকল কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন।

তৃণমূল ও বিজেপি দু'পক্ষই আস্থাভোটে জয়লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা পয়লা অক্টোবর অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হব। আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলর দলত্যাগ করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরে এসেছেন। আশা করছি, অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব।' নৈহাটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা গণেশ দাস বলেন, 'ভয় দেখিয়ে আমাদের কাউন্সিলরদের মত বদল করানো হয়েছে। তাঁরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন আশা করছি। আমরা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে যা যা করণীয় তা করব।'
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.