নৈহাটি, 26 সেপ্টেম্বর : হাইকের্টের নির্দেশে আগামী 1 অক্টোবর ( মঙ্গলবার ) নৈহাটি পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হবে অনাস্থা ভোট । পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় আজ প্রত্যেক কাউন্সিলরকে অনাস্থা ভোটের বৈঠকে থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন । লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে BJP জেতার পরে অনেক প্রার্থী তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন ৷ তৃণমূলের পৌরসভাগুলি BJP-র দখলে চলে যায় । তৃণমূলের হাতছাড়া হয় কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া ও গারুলিয়া পৌরসভা । পরে বনগাঁ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পৌরসভা পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল । গারুলিয়া পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর আবার BJP ছেড়ে তৃণমূলে আসেন । তারপরই পৌরপ্রধান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা ।
নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি তৃণমূলের দখলে ছিল । লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগদান করেন । BJP-র ওই 18 জন কাউন্সিলর গত 31 মে পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন । কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয় । ফলে BJP পুরসভা দখল নিতে পারেনি । বর্তমানে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23 । BJP-র 8 জন । নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিক ভাবে প্রশাসক নিয়োগের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে BJP ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় গতকাল রায় দেন , " 15 দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে । নৈহাটির বাসিন্দাদের নাগরিক পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে দিতে হবে । "
পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা 1 অক্টোবর অনাস্থা ভোট করব । আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলর দলত্যাগ করেছিলেন । তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে আবার ফিরে এসেছেন । অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব ।" নৈহাটির 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা BJP নেতা গণেশ দাস বলেন, "ভয় দেখিয়ে আমাদের কাউন্সিলরদের মত বদল করানো হয়েছে । তাঁরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন করছি। আমরা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে যা করণীয় তা করব ।"