বারাসত, 18 জুলাই : সংক্রমণ প্রতিরোধে কড়া লকডাউন চলছে ৷ অথচ,সেই লকডাউনের মধ্যেই শপিংমল,ডিপার্টমেন্টাল স্টোর,মদের দোকান খোলা ৷ ভাবছেন এ আবার হয় নাকি ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই বেনিয়মের ছবি সামনে এসেছে উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে ৷ পৌরসভার লকডাউনের নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না করেই সকাল থেকে রাত অবধি খোলা থাকছে একের পর এক শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও মদের দোকান! যার ফলে লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে৷ কিন্তু লকডাউন না মানা হলে তা দেখার দায়িত্ব পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের ৷ তাঁরা কি করছে? তাহলে কি শুধু খাতায় কলমেই লকডাউন? নাকি লকডাউন সফল করতে নজরদারির অভাব রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের ? এরকমই নানা প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে৷ যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ৷
কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর 24 পরগনা জেলা ৷ এই জেলায় কোরোনা গ্রাফ প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে ! জেলার মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে ৷ প্রায় প্রতিদিনই হুহু করে সংক্রমণ বাড়ছে এখানে ৷ লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর তালিকাও ৷ ইতিমধ্যে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে 14 জনের মৃত্যু হয়েছে জেলাসদর বারাসতে ৷ পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে সেদিকে তাকিয়ে বারাসত শহরে সাতদিনের জন্য লকডাউন জারি করে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড ৷ আংশিক ও সময়ভিত্তিক সেই লকডাউন বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে ৷ সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সমস্ত বাজার ও দোকানপাট খোলার ক্ষেত্রে ৷ কিন্তু তারপরও বেশকিছু দোকানপাট নিয়মের বাইরে খোলা থাকছে বলে অভিযোগ ৷ এক্ষেত্রে শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও মদের দোকানগুলি অভিযোগের তালিকায় প্রথম সারিতে ৷ অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সমস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ৷ রীতিমতো নিয়মের ফাঁক গলে দিব্যি তাঁরা লকডাউনের মধ্যেও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ড এলোন নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করছে শপিংমল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি,"রাজ্য সরকারের এক ছাদের তলায় এক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ মেনেই ব্যবসা করা হচ্ছে ! জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য বিধির উপরেও"! তবে,এক ছাদের তলায় এক দোকান খোলার থাকার বলা হলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এক ছাদের তলায় একাধিক দোকান খোলা ৷ অর্থাৎ নিয়ম মানছেন না শপিংমল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কর্তৃপক্ষ ৷
এদিকে,লকডাউনের মধ্যে শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খোলা থাকায় বিভ্রান্ত বাড়ছে বারাসতের ছোট বড় দোকানের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ৷ বারাসতের প্রতিষ্ঠিত এক বিপনি দোকানের মালিক গৌর সুন্দর পাল বলেন, "পৌরসভার তরফে প্রচার করে বলা হয়েছিল দুপুর একটার পর সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সেই নিয়ম ঠিকঠাক ভাবে মানা হচ্ছে না ৷ কেন মানা হচ্ছে সেটা অবশ্য প্রশাসনের ব্যাপার ৷ কিন্তু আমরা পৌরসভার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি ৷ আমরা মনে করি দেশ ও জনগণের স্বার্থ সবার আগে দেখা উচিত"।
লকডাউনের মধ্যেও বারাসতে খোলা একাধিক শপিংমল ও মদের দোকান
বারাসতে লকডাউনের মধ্যেই খোলা থাকছে শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর,মদের দোকান ৷ এই নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ কোরোনা সংক্রমণের দিক থেকে রাজ্যে উত্তর 24 পরগনা কলকাতার পরেই ৷ সংক্রমণ প্রতিরোধে এখানে নতুন করে আবার লকডাউন জারি হয়েছে ৷ অথচ সেই লকডাউনকে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
বারাসত, 18 জুলাই : সংক্রমণ প্রতিরোধে কড়া লকডাউন চলছে ৷ অথচ,সেই লকডাউনের মধ্যেই শপিংমল,ডিপার্টমেন্টাল স্টোর,মদের দোকান খোলা ৷ ভাবছেন এ আবার হয় নাকি ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই বেনিয়মের ছবি সামনে এসেছে উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে ৷ পৌরসভার লকডাউনের নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না করেই সকাল থেকে রাত অবধি খোলা থাকছে একের পর এক শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও মদের দোকান! যার ফলে লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে৷ কিন্তু লকডাউন না মানা হলে তা দেখার দায়িত্ব পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের ৷ তাঁরা কি করছে? তাহলে কি শুধু খাতায় কলমেই লকডাউন? নাকি লকডাউন সফল করতে নজরদারির অভাব রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের ? এরকমই নানা প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে৷ যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ৷
কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর 24 পরগনা জেলা ৷ এই জেলায় কোরোনা গ্রাফ প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে ! জেলার মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে ৷ প্রায় প্রতিদিনই হুহু করে সংক্রমণ বাড়ছে এখানে ৷ লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর তালিকাও ৷ ইতিমধ্যে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে 14 জনের মৃত্যু হয়েছে জেলাসদর বারাসতে ৷ পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে সেদিকে তাকিয়ে বারাসত শহরে সাতদিনের জন্য লকডাউন জারি করে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড ৷ আংশিক ও সময়ভিত্তিক সেই লকডাউন বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে ৷ সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সমস্ত বাজার ও দোকানপাট খোলার ক্ষেত্রে ৷ কিন্তু তারপরও বেশকিছু দোকানপাট নিয়মের বাইরে খোলা থাকছে বলে অভিযোগ ৷ এক্ষেত্রে শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও মদের দোকানগুলি অভিযোগের তালিকায় প্রথম সারিতে ৷ অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সমস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ৷ রীতিমতো নিয়মের ফাঁক গলে দিব্যি তাঁরা লকডাউনের মধ্যেও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ড এলোন নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করছে শপিংমল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি,"রাজ্য সরকারের এক ছাদের তলায় এক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ মেনেই ব্যবসা করা হচ্ছে ! জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য বিধির উপরেও"! তবে,এক ছাদের তলায় এক দোকান খোলার থাকার বলা হলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এক ছাদের তলায় একাধিক দোকান খোলা ৷ অর্থাৎ নিয়ম মানছেন না শপিংমল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কর্তৃপক্ষ ৷
এদিকে,লকডাউনের মধ্যে শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খোলা থাকায় বিভ্রান্ত বাড়ছে বারাসতের ছোট বড় দোকানের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ৷ বারাসতের প্রতিষ্ঠিত এক বিপনি দোকানের মালিক গৌর সুন্দর পাল বলেন, "পৌরসভার তরফে প্রচার করে বলা হয়েছিল দুপুর একটার পর সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সেই নিয়ম ঠিকঠাক ভাবে মানা হচ্ছে না ৷ কেন মানা হচ্ছে সেটা অবশ্য প্রশাসনের ব্যাপার ৷ কিন্তু আমরা পৌরসভার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি ৷ আমরা মনে করি দেশ ও জনগণের স্বার্থ সবার আগে দেখা উচিত"।